রহিম বেপারী, করিম বেপারী ছগির বেপারী আর মতিন বেপারী চারজন ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। তাদের প্রত্যেকেরই আছে ৪ জন করে বউ। একদিন রোড এ্যাকসিডেন্টে তাঁরা ৪ জনই মারা গেলো। রহিম বেপারীর ৪ জন স্ত্রী লাশ নিজেদের সাথে নিয়ে যেতে চায়। চার জনের কথাই হল, "উনি আমারে সবচেয়ে বেশী ভালোবাসতেন তাই আমি যেখানে চাইবো তাঁর লাশ সেখানেই দাফন হবে। " এই নিয়ে তুমুল ঝগড়ার এক পর্যায়ে এলাকার মুরুব্বীরা ঘোষণা দিল। রহিম বেপারীর লাশ ৪ ভাগে ভাগ করে ৪ বউকে দেয়া হোক। বউয়েরাও প্রস্তাবে রাজী হল। একই ঘটনা ঘটল করিম বেপারী ছগির বেপারী আর মতিন বেপারী।
*
এরপর ৪ টা লাশ কোমর থেকে পা এবং মাথা থেকে পর্যন্ত দুই ভাগ করে আবার দুই পায়ের অংশ দুইভাগ করে আবার মাথা থেকে কোমর দুই ভাগ করে মোট প্রতি লাশের ৪ খন্ড করে ৪ লাশের মোট ১৬ খন্ড ভাগ করে দেয়া হল সেই ৪ জনের ১৬ জন স্ত্রীর কাছে।
যেহেতু রহিম বেপারীর বড় বউ তাঁর ৩ সতীন কে অপছন্দ করে তাই সে করিম বেপারী ছগির বেপারী আর মতিন বেপারীর বউ দের কাছে তাদের ৩ ভাগের সাথে তাঁরা যেন মিলিয়ে পূর্ণাংগ মানুষ বানিয়ে কবর দেয়ার প্রস্তাব রাখল। তাতে তাঁরা রাজী হল। এবং একটি কবরে রহিম বেপারী, করিম বেপারী ছগির বেপারী আর মতিন বেপারী চার বন্ধুর লাশের ৪ টা টুকরা দাফন হল। ভাবে প্রতিজনের বাকি তিন বউও প্রতি কবরে ৪ বন্ধুর ৪ টা টুকরা লাশ দাফন করে মোট ৪ টা কবরে ১৬ টুকরা দাফন করল
*
প্রতি কবরেই রহিম বেপারী, করিম বেপারী ছগির বেপারী আর মতিন বেপারীর একটি করে টুকরা বিদ্যমান।
নোয়াখালীতে দাফন করা কবরটি রহিম বেপারীর প্রথম বউ দাবী করল, সেটা রহিম বেপারীর কবর। কিন্তু করিম বেপারির বড় বউ বলল, না এটা করিম বেপারীর কবর। এদিকে ছগির বেপারীর বউ বলল, এটা ছগির বেপারীর কবর সেইদিকে মতিন বেপারীর বড় বউ বলল, না এটা মতিন বেপারির কবর।
এই শুনে মতিন বেপারির দ্বিতীয় বলল না। ঐ টা মতিন বেপারীর কবর না। মতিন বেপারি কবর আমি দিয়েছি ময়মনসিংহে। এই শুনে ছগির বেপারির ২য় বউ বলল, না ময়মনসিংহের টা মতিন বেপারীর না ছগির বেপারীর কবর। এই শুনে করিম বেপারির ২য় বউ বলল, না এটা করিম বেপারির কবর। এই শুনে রহিম বেপারীর ২য় বউ বলল না এটা রহিম বেপারির কবর।
এই শুনে রহিম বেপারীর ৩য় বউ বলল উহু রহিম বেপারীর কবর তো আমার আমি দিয়েছি যশোরে। এই শুনে করিম বেপারির ৩য় বউ বলল, উহু যশোরেরটা রহিম বেপারির না ঐটা করিম বেপারীর কবর। এই শুনে ছগির বেপারীর ৩য় বউ বলল, না এটা ছগির বেপারির কবর এই শুনে মতিন বেপারীর ৩য় বউ বলল, না এটা মতিন বেপারির কবর।
এই শুনে মতিন বেপারির ৪র্থ বউ বলল, না মতিন বেপারীর কবর তো আমি বরিশালে দ্দিয়েছি। এই শুনে ছগির বেপারির ৪র্থ বউ বলল, না ঐটা তো ছগির বেপারির কবর। এই শুনে করিম বেপারির ৪র্থ বউ বলল, না এটা করিম বেপারির কবর এই শুনে রহিম বেপারির ৪র্থ বউ বলল না এটা রহিম বেপারীর কবর।
এই নিয়ে ১৬ বউ এর মাঝে লাগল তুমুল মারামারি। ১৬ বয়ের ছিল ৮০ জন পোলাপাইন ঐ ৮০ জনের ছিল ৪০০ পোলাপাইন। কোনটা কার কবর এই নিয়ে ব্যাপক মারামারির চলছেই। পোলাপাইন যত বাড়তেছে মারামারিও তত বাড়তেছে।
কিন্তু রহিম বেপারী, করিম বেপারী ছগির বেপারী আর মতিন বেপারী চারজন ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন।
যাইহোক, বংশধরেরা যেমন কোনটা তাঁর দাদার লাশ ঠিক মত না জাইনা মারামারি করতেছে। আমরাও তেমন ১৯৭১-১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সত্য-মিথ্যা মিশ্রিত ইতিহাস পড়ে ফালাফালি করতেছি
যাইহোক আমার ব্লগ আইডি টা অনেক দিনের তবে ব্লগের মানুষ দের সাথে পরিচিত নই
https://www.facebook.com/Purnoy

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





