বিংশ শতাব্দীর ফ্যাসিবাদের জনক মুসোলিনি । পুরোনাম "বেনিটো আ্যমিলকেয়ার আন্দ্রে মুসোলিনি (জন্ম ১৮৮৩ সালের ২৯ জুলাই, নিহত হন ১৯৪৫ সালের ২৮ এপ্রিল) । এরও পূর্বে খেলাফতে ইসলামের রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ব ব্যবস্থাগত অধ্যায় এবং জীবন মানবতার অধ্যায় খেলাফতে ইনসানিয়াত উৎখাতের পর থেকেই ফ্যাসিস্টদের ফ্যাসিবাদ শুরু হয়, যুগে যুগে নুতন করে ফ্যাসিস্টদের ফ্যাসিবাদের প্রাদুর্ভাব ঘটে চলেছে ।
নৈতিকতার সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে সাধারণ মানুষের ওপর শোষণ শ্রেণীর একচেটিয়া আধিপত্য ও কর্তৃত্ব স্থাপনের উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা মতবাদকে বলা হয় ‘ফ্যাসিবাদ’। এই মতবাদ সবকিছুকেই রাষ্ট্রের নামে নিজেদের অধীন বলে মনে করে । রাষ্ট্র হচ্ছে বর্ম, নেপথ্যে থাকে মানব সত্ত্বা বিনাশী একটি সর্বগ্রাসী দল বা গোষ্ঠী । ফ্যাসিবাদে ভিন্ন মতের কোন ঠাঁই নেই । এ জন্য ফ্যাসিবাদে ভিন্নমতকে সহ্য না করে দমন করা হয় । ১৯২০ সালে মুসোলিনি ‘ফ্যাসিস্ট দল’ নামে একটি দল গঠন করে। ফ্যাসিবাদে রাষ্ট্রই সর্বশক্তিমান । ব্যক্তির জন্য রাষ্ট্র নয়, রাষ্ট্র্রের জন্যে ব্যক্তি। ফ্যাসিবাদ ব্যক্তি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক কাঠামোর পরিপন্থী । বর্তমান বিশ্বে স্বৈর ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন রূপ ভিন্ন ভিন্ন পক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয়ভাবে সক্রিয় আছে । যেমন: কোথাও রাজতন্ত্রের নামে, কোথাও সমাজতন্ত্রের নামে, কোথাও গণতন্ত্রের নামে ।
এই স্বৈর ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মানবত্মা ও মানব জীবন উদ্ধার ও মুক্তির জন্য মহামান্য ইমাম হায়াত প্রবর্তন করেন সার্বজনীন অসাম্প্রদায়িক স্বৈরতামুক্ত জবর-দখলবিহীন কল্যাণময় মানবিক রাষ্ট্র ও বিশ্ব ব্যবস্থা, যা খেলাফতে ইনসানিয়াত নামে অভিহিত । বিশ্ব রাজনৈতিক ময়দানে যার নাম "বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব পার্টি" / World humanity revolution party
যেখানে ফ্যাসিবাদ মানুষের আত্মা ও জীবন অস্বীকার করে, সেখানে খেলাফতে ইনসানিয়াত আত্ম-মালিকানা স্বীকৃতি দেয়, মানব মন্ডলীর সার্ব ভৌমত্ত্বের নিশ্চয়তা প্রদান করে । মহামান্য ইমাম হায়াত বলেন:
সব মানুষ ভাই ভাই
মানবতার দুনিয়া চাই
(লেখাটি অসমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৭