মানবতার কন্ঠস্বর বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের লিখনী স্পষ্টতই প্রমাণ করে যে, তার সমসাময়িক কাল বা জীবদ্দশায় পবিত্র ইসলামের পূর্ণাংগ বিশুদ্ধ নির্ভেজাল দিশা ছিল না । সাম্যের কবি নজরুল বেদনাহত হৃদয়ে তার লিখনীতে উল্লেখ করেছেন,
"পীর মুর্শীদ পাইনি আমি, তাই তোমায় ডাকি দিবস যামী,
তোমারই নাম হউক হজরত আমার পরপারের নাও!!"
আশেকে রাসুল কবি নজরুল পীর-মুর্শীদ বিরোধি ছিলেন না । বরং সত্যিকারের পীর-মুর্শীদের সন্ধানী ছিলেন । তাই তো প্রাণাধিক প্রিয়নবীর সাহায্য ও শাফায়েত কামণা করেছেন দিবস-যামী ।
আশেকে রাসুল কবি নজরুলের অব্যক্ত হৃদয়ের আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন কালজয়ী দিশারী শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মোজাদ্দেদ আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা ।
আল্লামা ইমাম হায়াত একদিকে বস্তুবাদে নিমজ্জিত তথা সুন্নীয়তের ছদ্মবেশী সর্ব প্রকার অপশক্তির কবল থেকে ঈমানিয়াতের বিশুদ্ধ নির্ভেজাল পরিপূর্ণ ও পূর্ণাংগ দিশা পুনঃরুদ্ধার করেন ।
অন্যদিকে অপরাজনীতির অপকাঠামো থেকে মানব জীবনের রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ব অধ্যায়ের জীবননীতি ও রাষ্ট্রনীতির প্রাকৃতিক রাজনৈতিক দিশা ও দর্শন প্রবর্তন করেন, যা সাম্যের কবি, মানুষের কবি, বিশ্বের কবি নজরুলের স্বপ্নের ব্যবহারিক বাস্তবায়নের মহতি উদ্যোগের নাম “বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব বা বিশ্ব মানবতা বিপ্লব" ।
যেখানে ধর্ম-বর্ণ-জাতি-শ্রেণী-লুগু-গুরু বলতে কোন কিছুরই ব্যবধান নেই । ধর্ম যার যার, বিশ্ব ও মানবতা সবার ।
বিশ্ব মানবতার পরম বন্ধু ইমাম হায়াত বলেন:
"আর নয় রুদ্ধতা সংকীর্ণতা
সবাই বলো মানবতা মানবতা"
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩০