দেওয়ান বাগীর নাম শুনে নাই, এমন বাংলাদেশী খুঁজে পাওয়া কঠিন । ইসলামী ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ওহাবী মওদুদী এবং অনেক সুন্নী সমর্থিত পীর দরবার খানকা অনেকেই দেওয়ানবাগীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছে । স্যোসাল মিডিয়ার প্রায় সব সাইটেই দেওয়ানবাগীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায় । তাই বলে দেওয়ানবাগীর খাছ ভক্তবৃন্দ কি দেওয়ানবাগীকে ত্যাগ করেছে ? ত্যাগ করে নাই । যতটুকু শুনেছি এখনো দেশ বিদেশে দেওয়ানবাগীর অসংখ্য ভক্তবৃন্দ আছে এবং অনেকেই নিয়মিত ফান্ড দেয় ! কেন দেয় ? দেয় পরকালে মুক্তির আশায় । আবার অনেক ভক্তবৃন্দ দেওয়ানবাগীর অসংখ্য অলৌকিক ঘটনারও বয়ান দেয় ।
বিভিন্ন মহলের এত বিরোধীতা সত্ত্বেও দেওয়ানবাগ কিন্তু বন্ধ হয়ে যায়নি । তাদের কার্যক্রম কিন্তু নিঃশেষ হয়ে যায়নি । হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের বিশ্বাস এবং ভালোবাসার মাধ্যমেই দেওয়ানবাগীর কার্যক্রম চলমান আছে । কারণ তারা বাহিরের সমালোচনাকে পাত্তা দেয়না । ভক্তবৃন্দের দৃঢ় বিশ্বাস; পরকালে দেওয়ানবাগীই তাদের মুক্তিদাতা । এহেন বিশ্বাস না থাকলে কেউ দেওয়ানবাগ দরবারে টিকতে পারবেনা । অনুরূপভাবে পাকিস্থানী পীর তাহের শাহ, আটরশি, মাইজভান্ডারী, রেজভীয়া এবং সাইফুর রহমান নিজামী সাহেবেরও অসংখ্য ভক্তবৃন্দ দেশ বিদেশে ছড়িয়ে আছে । প্রত্যেক পীর ও ইমাম দাবীদারগণের ভক্তবৃন্দের দৃঢ় বিশ্বাস যে; প্রত্যেকের পীর ইমাম ই পরকালের ভয়ংকর পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করবেন ।
কোন ব্যক্তি কিংবা মহলের বিরোধীতার কারণে দেওয়ানবাগীর অনুসারিরা কিন্তু তাদের যুগের ইমাম দাবী বা প্রচার থেকে সরে আসেনি । সম্প্রতি এক ভিডিওতে দেখলাম প্রয়াত দেওয়ানবাগী সাহেবের এক সাহেবজাদা দেওয়ানবাগীকে ইমাম মাহদী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন
আমি কারো বিশ্বাস এবং আবেগ অনুভূতির বিরুদ্ধে বলছি না । প্রত্যেকের বিশ্বাস আবেগ অনুভূতিকে সম্মান জানাই । কার বিশ্বাস কতটুকু যৌক্তিক ছিল বা সঠিক ছিল তা দয়াময় স্রষ্টার বিচারিক আদালতেই প্রমাণ হবে । সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমান থেকে শুরু করে পীর ইমাম দাবীদার প্রত্যেকেই তাদের স্ব স্ব কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে ভালো কিংবা মন্দ ।
রাসেল সরকার (ব্রুনাই)
২২-১০-২০২২
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০৩