somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাব্বি রহমান
যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!

চলমান দিনলিপি

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার এই জীবনে অনেক কিছু হবার স্ব-প্রসারিত ইচ্ছেগুলো দিনে দিনে মৃতপ্রায় হয়ে গেলেও জীবনে অনেক গুণী মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি। যাদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি। তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনার সময় গভীর হতাশা পেয়ে বসেছিলো আমাকে। একদিন একজন বুদ্ধি দিলো হতাশা নিবারনে পাওলো কোয়েলহোর বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস 'দ্য আলকেমিস্ট' টা পড়ে ফেলার জন্যে। বাংলা অনুবাদ এবং ইংরেজী দু রকমই পড়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু এই বহুবিক্রিত গ্রন্থও আমার হতাশা নিবারন করতে পারেনি। আলকেমিস্ট সেদিনগুলোতে ক্যানো আমাকে অনুপ্রেরনা জোগাতে পারেনি তা বুঝতে পারলাম আমার জীবনে সব থেকে বহুবার পড়া গ্রন্থ - জ্ঞান তাপস আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে আহমদ ছফার রচিত বন্দনাগ্রন্থ যদ্যপি আমার গুরু পড়ে। আহমদ ছফাকে উদ্দেশ্য করে রাজ্জাক স্যার যা বলেছিলেন তা হুবহু এরকম -

“ বুঝলেন, মৌলভি আহমদ ছফা, লেখার ব্যাপারটি অইল পুকুরে ঢিল ছোড়ার মতো ব্যাপার। যতো বড় ঢিল যতো জোরে ছুড়বেন পাঠকের মনে তরঙ্গটাও তত জোরে উঠবো এবং অধিকক্ষন থাকবে। আর পড়ার কাজটি অইল অন্যরকম। আপনে যখন মনে করলেন, কোনো বই পইড়্যা ফেলাইলেন, নিজেরে জিগাইবেন যে – বইটা পড়ছেন, নিজের ভাষায় বইটা আবার লিখতে পারবেন কিনা? আপনার ভাষার জোর লেখকের মতো শক্তিশালী না অইতে পারে আপনের শব্দ ভান্ডার সামান্য অইতে পারে, তথাপি যদি মনেমনে আসল জিনিসটা রিপ্রোডিউস না করবার পারেন, ধইরা নিবেন আপনার পড়া অয় নাই।”

সে সময়টাতে আমার হয়তো আলকেমিস্ট পড়া হলেও বুঝে ওঠা হয় নি যে কারনেই বইটা আমার হতাশা দূর করে মরুতে আলোকশিখা দেখাতে পারেনি। যা বলছিলাম আমি নিজে কিছু না হলেও আমার সাথের সবাই অনেক কিছু হয়েছে সেটা নিয়েই গর্ব করি। তাদের দেখিয়ে বলি ঐ যে উনি , উনার সাথে কত আড্ডা দিয়েছি আমি। মননশীল ক্রিয়েটিভ মানুষেরা সাধারনত একটু বিপজ্জনক হয়ে থাকেন। তারা একটা ইনোসেন্ট লুক নিয়ে সোসাইটিতে চলাফেরা করলেও ভিতরে ভিতরে মারাত্বক ধরনের একটা ডিক্টেরশীপ পুষে থাকেন। যে কারনে গুণী মানুষদের সাথে মিশলে আপনি যেমন অনেক কিছু শিখবেন ঠিক তেমনি মাঝে মাঝে তাদের না বুঝে ওঠার ফলে ভীষন কষ্টও পেয়ে বসতে পারেন। নিজের কর্মজীবন শুরুর পরে আমি আমার অনেক প্রিয় মানুষ এবং অনেক প্রিয় বিষয় ছেড়ে বেশ দূরে চলে এসেছি। এমন অনেক মানুষের সঙ্গ/আড্ডা আমি হারিয়েছি যারা আমার অভিমানের ভাষা বুঝতে পারতেন।

নিজের একান্ত ব্যক্তিগত বেদনাগুলো যখন খুব বেশি অনুভব করাতে শুরু করলো ঠিক তখনই আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার, আজীবনের পথচলার সঙ্গী আমার জীবনে প্রবেশ করলো। যার সাথে সারাদিনের খুনসুটিই আমার অনেক নিজস্ব বেদনাকে তার অসীম মায়ায় ভুলিয়ে দেয়। মাস শেষের চার অংকের ঘরের স্বল্প বেতনের কর্মময় জীবন খুব অল্প কিছু নিয়েই সুখী থাকতে চায় আজকাল। বুদ্ধের বিখ্যাত ঐ উক্তিটাই দিন শেষে অনুপ্রেরনা দেয় “Thousands of candles can be lighted from a single candle, and the life of the candle will not be shortened. Happiness never decreases by being shared.”

Looking back to my back do not find what I left behind.But I Strongly believe that I miss you all loving people who was with me in my dhaka day's.

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×