somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজনীতিবিদরা যখন “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া “ B-)

১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ছাহারা কাতুন –

আমি ছিলাম অপরূপ রুপের অধিকারী । যেদিন আমি হাসতাম সেদিন আকাশে চাঁদ হাসত না , কারন আমি হাসলে আমার রুপোর মতো মুখে ফুটে উঠতো একসাথে ৪৮ খানা চাঁদ ! ;)
হটাত একদিন গভীর রাতে বাঁশবনে গুনগুন করে গান গাওয়ার সময় আমার মুখে মুতে দেয় এক কুৎসিত কাঁক !
তার ঠিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমার মায়াবী রুপোর মতো মুখ কনভার্ট হয়ে লাভ করে কাকিনি মুখ ( কাকের স্ত্রী ভার্শন )
আমার সেই কাকিনি মুখ দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে মানুষ জন দল বেঁধে আসা শুরু করে , তারা আমার নামে কটু কথা বলা শুরু করে । কিন্তু আমি তাদের মুখের উপর কিছুই বলতে পারতাম না ।
এইভাবে একদিন আমার বাড়ির দুয়ারে এসে হাজির এক পিয়ন । তার হাতে এক আমন্ত্রনপত্র , পাঠিয়েছে “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া “ , সেই আমন্ত্রনপত্র আমার জীবন বদলে দেয় । তাদের আমন্ত্রনে আমি যাই তাদের ক্যাম্পাসে । তারা আমাকে অ্যাডমিট করে নেয় । সেই থেকে আমার পথচলা

আজ আমি এক ভিন্ন রূপসী । এম এ জলিল অনন্ত আমার সাথে চিনেমা করার জন্য আমাকে অফার দিয়েছে । কিন্তু আমি তার অফার ফিরিয়ে দিয়েছি । কারন আমি কারও একার হতে পারি না । আমার রূপ আজ সবার জন্য উন্মুক্ত । আপনারা চাবি নিয়ে আসুন , আমি আমার রুপের তালা খুলে দিব । :P


ঈর্ষাদ কাগু --

যখন থেকে আমার বুদ্ধি হওয়া শুরু করলো , তখন থেকেই আমি প্রেমিক পুরুষ হতে চাইতাম । আমি চাইতাম রোমান্টিক কবিতা লিখে সবার মন ভরিয়ে তুলতে । কিন্তু এলাস ! আই এম আনডান ! :((
কোন মেয়েই আমাকে ফুটু পয়সা দাম দিত না । আমার লেখা কবিতার কাগজ মেয়েরা টয়লেট পেপারের সাব্লিমেন্ট হিসেবে ইউস করতো । রাগে দুক্ষে আমি দিশা হারিয়ে বিদিশা ! তখন আমি খবর পেলাম “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া “
আমি পেয়ে গেলাম যৌবনের অমৃত সুধা ।
আজ আমি প্রেমের জীবন্ত কিংবদন্তী । আজ আমার অনেক গুলা গার্লফ্রেন্দ । :D তারা আমার গলার ভেসে উঠা রগের জন্য পাগল । তাই আমার স্বপ্ন পুরনের দিশারী “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া “” আমি একটি কবিতার দু লাইন উৎসর্গ করলাম –

- এই যে “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া “
তোমার কারণে নারীরা যায় আমার প্রেমে ফাসিয়া “





আভুল -

আমি আভুল । বাল্যকালে থেকেই আমি খুব দৌড়াই । আমার পরিবার , পাড়া , প্রতিবেশী , স্কুল এর শিক্ষক কেউ আমাকে আমার বেহায়াপনার জন্য কক্ষনই ধরতে পারতো না আমার দৌড় প্রতিভার জন্য । B-)
একদিন হটাত করেই আমার তীব্র আমাশয় হয় । সেই আমাশয় আমার দৌড় প্রতিভা নষ্ট করে দেয় ! /:) অবস্থা এমন হল আমি দৌড় দিলে আমার আগে এলাকার ডিমপেটে ধরা মুর্গীরা দৌড়ে ফাস্ট হয়ে যেত । আমি হতাশ হয়ে পড়ি । :(( জীবনের লাইসেন্স মেলাতে পারছিলাম না । আনাড়ি ড্রাইভার নামক চিন্তারা আমার জীবনের রাস্তায় চরম যানজট এর আঁকার ধারন করেছিল । চলতে না পেরে আমি শেষ পর্যন্ত পরে গেলাম গাঁতায় ।

কিন্তু না ! আমি চিরকাল গাঁতায় পরে থাকি নি । কারন জানতে চান ? কারন---- “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া”
তারা আমাকে নতুন করে ভো দৌড় দেয়া শিখিয়েছে । শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া” কল্যাণে আজ আমি দৌড় – মন্ত্রী ।
ধন্যবাদ “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া “



আশারাফি ফাঁপিয়া --

কিশোরী অবস্থা থেকেই আমার ফেবারিট তসলিমা নাসরিন । তার ঊরু আমাকে মুগ্ধ করতো , তাই আমিও চাইতাম এমন ঊরু কারন এমন ঊরু থাকলে অনেক স্মার্ট লাগে । ;)

তাই আমিও ঊরু মোটা করতে উঠেপরে লাগলাম । কিন্তু ঊরুর বদলে আমার হাত মোটা হতে লাগলো ! কি আচানক !
তারপর স্কুল পাস করে কলেজে যখন উঠলাম ওমা এইটা কি ! কিছু দুষ্টু ছেলে আমার মোটা হাতের দিকে “ বদ নজর “ লাগায় । তাদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে আমি ঠোঁটে কড়া লাল লিপস্টিক লাগাতে আরম্ভ করলাম । বাঁট এলাস ! /:)
যে দেশে সুপারস্টার হার্ডথ্রব লাখো তরুণের দিলের সম্রাট মহানায়ক এম এ জলিল অনন্ত এর মায়াবী ঢ্যাঁশা বুকের নিরাপত্তা প্রশাসন দিতে পারে না , সেখানে আমি কিভাবে আমার থকথকে ঊরুর হেফাজত করবো !
আপনারা বিশ্বাস করবেন না , কলেজ জীবনের শেষ ক্লাসে বাঙলা শিক্ষক পরিমল আমার সেই মোটা হাত নিয়ে নগ্ন খেলায় মেতে উঠে । সেই খেলা আবার symphony সেটে ভিডিও করে । এই লজ্জা আমি কই হান্দাবো ? :|
আমি সুইসাইড করতে যাই বনানী । সেখানে গিয়ে যখনই আমি এক পালসার বাইকের নিচে হাত দিব ঠিক করলাম তখনই আমার চোখে পড়লো – “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া “ পোস্টার !
এ এক জাদু ! এ এক মায়ার পরশ ! আমি দৌড় দিয়ে হান্দাই ক্যাম্পাসে । তারা আমাকে অ্যাডমিট করিয়ে নেয় তাদের রঙ্গমঞ্চে ! তারা আমাকে আর আমার ঊরুর যত্ন নেয় । এইভাবে আজ আমার ঊরু , হাত , মুখ সব ঢ্যাঁশা ঢ্যাঁশা ! আজ আমি অনেক স্মার্ট ।:P

তাই কৃতজ্ঞ তোমার কাছে হে “ ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া “



( সকল চরিত্র নাতি কাল্পনিক ) ;)

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৫
১৭টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×