somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন! মিরাজ ভাইয়ের পাশে দাঁড়াই।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফেনীর ছেলে মিরাজ ইসলাম। ইদানিং "অস্টিমাইলিটিস" নামের একজনের সাথে বসবাস করছেন। হাড় গুলোকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে এই অস্টিওমাইলিটিস। নেভার গিভ আপ নীতিতে বিশ্বাসী একজন মানুষ মিরাজ ভাই। তিনি বারবার হোঁচট খেয়েছেন, কিন্তু অদম্য এই মানুষটা একবারও হারেননি এখনো। আসুন তাঁর নিজের মুখের গল্পটাই একটু শুনি। প্লিজ একটু। মনযোগ দিয়ে পুরোটা পড়বেন। সময়টা বৃথা যাবেনা। মিরাজ ভাই সম্পর্কে জানতে তার ফেসবুক আইডি লিংক দিলামঃ https://www.facebook.com/miraz.islam.330

চলুন এবার মিরাজ ভাইয়ের কথা গুলো একটু পড়ি। এটা তার নিজের লেখা।


গল্প শুনবেন?? আসেন আজ আমারই একটা গল্প বলি।

জানি হয়তো অনেকেই এইটা এড়িয়ে যাবেন। কারন আমি আম জনতা। তাও বলি...........

ফেসবুক এ যে মিরাজ এর সাথে আপনাদের পরিচয় বা তাকে ভারচুয়ালি যেভাবে চিনেন। যতটা অবস্থাসম্পন্ন আর হাসিখুশি মনে হয় ততটা আসলে আমি না। চাইনাই কখনো নিজের এই চলমান গল্প আপনাদের বলবো। আমি আমাকে ব্যাস্ত রাখতে চাই সবসময়, হাসি খুশি থাকতে চাই আর মাঝে মধ্যে অনেকেই জানেন আমি কিছুটা রান্না পারি , ঐ রান্না করেও নিজেকে ভুলিয়ে রাখতে চাই যে আমার চলাফেরায় কতটা কষ্ট। কারন আমি বিরল রোগ " অস্টিওমাইলিটিস" দ্বারা গত ৪ বছর ধরে আক্রান্ত। যা অনবরত খাচ্ছে আমার হাড়। ঘুন পোকার মতো। মজার ব্যাপার হল খুব কম মানুষ ই জানেন আমার এই সমস্যার কথা। ৪ বছরের ও বেশি সময় ধরে চিকিৎসা করাচ্ছি এই রোগের । আর নিজে নিজেই সামাল দিচ্ছি সব। আজ মনে হলো আপনাদের সাথে বলি কিছুক্ষন। হালকা হই।

ফেসবুক এ আমি খুব ই কম কথা বলি, আর অসুস্থতার কথাতো কখনই বলিনাই। সব অপারেশন এর আগে বলতাম যাচ্ছি যেন ফিরে আসি। ফিরে আসি ঠিক ই কিন্তু আবারো যাওয়া লাগে। আর যাওয়ার মত শক্তি বা সামর্থ্য কোনটাই নাই। প্রতিদিন ই ভাবি সুইসাইড করবো । আবার নিজের সাথেই
নিজে যুদ্ধ করে চিন্তা সরাই।

আমি একজন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। বাবা মারা গেছেন ৮ বছর আগে। সেই থেকেই জীবনের যুদ্ধ শুরু করেছি। জীবন চলার যুদ্ধ। যেটা কম বেশি সবাই করি। ভাবছেন এইগুলা কেন বলছি? গল্প শুরু হয়নাই তাই বললাম আর কি।

২০১২ সালে আগস্ট মাসের ১৬ তারিখ এ আমার ডান পায়ের উপর কলপারের ওয়াল পরে ভেঙ্গে জায় আমার ডান পা। ৩ টুকরা হয়। সাথে থেতলাইয়া যায় সব মাংসপেশি। পা ভাংছে এ আর এমন কি!!! তাইতো ভাবতেছেন। এইখানে একটা অনুরোধ ৪ বছরের গল্পতো একটু সময় নিয়ে পড়বেন প্লিজ।

জীবন চলছিলো আর ১০ জন স্বাভাবিক মানুসষের মত করেই। কিন্তু এই পা ভাঙ্গা আমার জীবনটাকে মোটামুটি নরক বানিয়ে দিছে। কদরের রাত ছিল। এ্যাম্বুলেন্সে করে ছুটছে আমার আপন কয়েকটা মানুষ। ফেনীর নামি হাসপাতাল " আলকেমি হসপিটাল এ নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ওরা আমাকে ভর্তি না করিয়ে বা কোন ইমারজেন্সিতে না রেখে ঢাকা বা চিটাগাং নিয়ে যেতে বলে। আমরা রওনা হই চিটাগাং এর উদ্দেশে রাত ১১ টায়। আমার পায়ে প্রচুর ব্লিডিং হয় টানা ৪ ঘণ্টা। ঐ রাতে আমাকে চিটাগাং মেডিক্যাল কলেজের পাশে হলি হেলথ নামের একটা হসপিটাল এ ভর্তি করা হয় অচেতন অবস্থায়। কোন প্রকার ডাক্তার বা কিছু হসপিটাল এ উপস্থিত ছিলোনা। ওয়ার্ড বয় আমাকে কোন রকম পা টা বেধে দেয় আর একটা ভি আই পি কেবিন এ শিফট করে কোন প্রকার প্রাথমিক চিকিৎসা ছারাই। ডাক্তার আসেন পরদিন দুপুর ২ টায়।
উনি ই প্রধান ডাক্তার ওনারি হসপিটাল। আমি অচেতন ই ছিলাম। উনি এসে কোন অস্ত্রপাচার না করেই শুধু ড্রেসিং করে প্লাস্টার করে দেন। কিন্তু আমার পায়ের ভিতর ফিক্সিটর বসানোর কথা ছিল। ঐটা বসালে তখন আজ হয়তো আমাকে আপনাদের এই গল্পটা বলতে হতনা।
যাই হোক আমি মোটামুটি সচ্ছল পরিবারের ছেলে। তখন আর এতো কিছু কেও ভাবিনাই। ডাক্তার করসে নিশ্চয়ই ভালর জন্যই। পরের ২ দিন ডাক্তার এসে এসে আমাকে দেখে যেত। এইদিকে আমার পা সহ রান পর্যন্ত অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে উঠতেছে। ডাক্তার বলল সমস্যা নাই এইটা বেথার কারনে। ঈদ এর দিন ডাক্তার আসেনাই। অইদিন থেকে আমার পা দিয়ে পচা গন্ধ আসছিলো। পরেরদিন দুপুরে ডাক্তার এসে কিছু না দেখেই বলল আমার দ্বারা সম্ভবনা ঢাকা নিয়ে যান। আমার বাবা নাই। উনি মারা গেসেন ২০০৯ এ। আমি নিজে নিজেই মানুষ। যাই হোক ৩ দিন এ ৩৫.০০০/= টাকা বিল দিয়ে আমরা আবার রওনা হই ঢাকার উদ্দেশ্যে। ফেনীর কাছাকাছি আসার পর আমার এক আত্মীয় বলল এখন তো ডাক্তার আছে জিজ্ঞেস করি পারবে কিনা। ঐ রাতে আমরা ফেনী রয়েল হসপিটাল এ ভর্তি হই কারন নিটোর এর এক প্রফেসর ঐ হসপিটাল
এ আছেন। উনি দেখে বললেন পারবেন। ওনার নাম ছিল ডাঃ আব্দুল কাদের, সহকারি অধ্যাপক (নিটোর)। পরেরদিন আমাকে একটা অপারেশন করা হয়। আবার প্লাস্টার করা হয় অপারেশন এর পর। এরপর প্রতিদিন অবর্ণনীয় কষ্টের ড্রেসিং চলতে থাকে কারন ভিতরে হাড় নড়ে।
ওইটার দিকে ডাক্তারের ভ্রুক্ষেপ নেই। উনি প্রতি অপারেশন এ ৩০,০০০/= করে নিতেন আর ড্রেসিং ২০০০/= ১০ দিন ভর্তি থাকার পর পা থেকে অনবরত গন্ধ আসতেছিল। উনি বললেন আবার অপারেশন লাগবে। আমাকে আবারো অপারেশন করা হয়। কি করসে আমি জানিনা।
মাংস সব কাইটা ফেলে দেয়া হইসিল। এভাবে ২২ দিন যাওয়ার পর আবার ওটি তে নিয়ে যায় আমকে। অইখানে আমার পায়ের রগ বাদে সব কেটে ফেলে ভিতরে তুলা দিয়ে কোনরকম প্লাস্টার করে বলে এখনি ঢাকা নিয়ে যাইতে। ১,৭২,৭০০/= বিল করসিল। যাই হোক আমরা রওনা
দেই ঢাকার উদ্দেশে। পায়ের পচা শুরু সেই যে ঐটা আর থামেনাই। পঙ্গু হসপিটাল এ নিয়ে যাওয়া হয় আমাকে। তারা পুরাটা খুলে দেখে বলল পা কেটে ফেলেন। যাই হোক কোনরকম একজনকে কিছু টাকা খাওয়ানোর পর বলল দেখা যাক এখন সিট নাই। টানা ৩ দিন বারান্দায় অমানুসিক কষ্ট করে থাকার পর কোন এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার টেলিফোন এ আমার জন্য সিট মিলে। আবার অপারেশন হয়। ৩৫ দিন এর মাথায় শুধু হাড় আর চামড়াটা রেখে সব ফেলে দিয়ে পারে ৭ টা ফিক্সিটর বসায় পর পর ২ টা অপারেশন করে পায়ের উপর বসায়। কিন্তু ডান পায়ের হাঁটুর নিছ থেকে ডান পাশ দিয়ে সোজা পায়ের ছোট গিরা পর্যন্ত সবটা হা করান থাকে। ঐটা ড্রেসিং করে প্রতিদিন গজ তুলা দিয়ে বেধে রাখা হতো। আমাকে তারা রিলিজ করে দেয়। বলল ১ মাস পর পর যাইতে। আমাকে বাড়ি নিয়ে আশা হয় প্রতিদিন ই পা পচতে থাকে আর ড্রেসিং এর সময় তা কেটে ফেলা হতো। আর প্রতি মাসে ১৫ হাজার দিয়ে এম্বুলেন্স করে ঢাকা এসে ৫ মিনিটের জন্য ডাক্তার
দেখাইতে আসতাম। এর মাঝে ফেনীও ডাক্তার দেখাতাম। আমারতো কেও নাই দেখা শুনা করার মতো। এরি মাঝে মোটামুটি আমার সব বন্ধুবান্ধব নাই হয়ে যায়। কারণ তারা ব্যস্ত আর আমার সংস্পর্শে থাকলে লস ছাড়া লাভ নাই। এইভাবে ১৬ মাস পর আমার পায়ের ফিক্সিটর খোলা হয়।
মাঝখানে আরো ২ টা অপারেশন হয় কারন আমার কাটা মাংস জোড়া লাগতেছিলনা। টাকা খরচের সীমা অতিক্রম করে ফেলছে অনেক আগেই। এর মধ্যেই আমার হাড়ে "OSTEYOMILITIES" এর জীবাণু বাসা বাঁধে। কিন্তু ডাক্তার রা তখন ঐটা আমার কাছ থেকে গোপন করে। ফিক্সিটর খলার পর আমি আস্তে আস্তে থেরাপি সেন্টারে ভর্তি হই কারন পায়ে কোন প্রকার সেন্স ছিলোনা। হাঁটতেও পারতামনা। ৩ মাস থেরাপি দেয়ার পরও কোন পরিবর্তন হলনা। প্রতিদিন ই ড্রেসিং লাগতেছে আর পা কালো হয়ে যাচ্ছে। আমি তখন ল্যাব এইড এর অরথপেডিক এর প্রধান
ডাঃ আমজাদ হোসেন কে দেখাই। উনি বললেন সমস্যা নাই ঠিক হয়ে যাবে। তারপরও আমি জোরাজোরি করি যে, আমাকে কোন টেস্ট দিতে। উনি এম আর আই আর সিটি স্ক্যান দিলেন আর ICDDRB থেকে পুজ টেস্ট করাতে বললেন আমি করালাম। ৩ দিন পর ওনাকে দেখাতে গেলাম উনি দেখে তারপরও বললেন কোন সমস্যা নাই। যেটা আমার নিজের চোখেই সমস্যা মনে হচ্ছিলো। আমি বাসায় এসে ICDDRB তে করানো টেস্টটা তে পাওয়া জীবানুর
নাম দিয়ে গুগল করলাম । বার বারই OSTEYOMILITIES এই নাম আসতেছিল। যেখানে আমি জানিনা এইটা কি রোগ। পরদিন আমি আবার ওনার কাছে যাই আর বলি আমার কি OSTEYOMILITIES হইছে?? উনি বললেন হুম তোমার OSTEYOMILITIES হইসে।
তখন আমাকে বুঝানো হল এইটা কি। আর এইটা যে হইসে প্রায় তখন ১ বছর হইয়া গেছে তাই মাংস জোড়া লাগেনাই। ছবিগুলোর লিঙ্ক আমি দিচ্ছি। কারণ এত হরেবল ছবি এইখানে দিতে চাচ্ছিনা। লিঙ্ক এ গেলেই দেখবেন আমার অতীত আর বর্তমান কেমন চলছে। উনি বললেন তোমার হাড়ও জোড়া লাগেনাই আর OSTEYOMILITIES ও হইছে।
হাড় কেটে "ELISAREVE" সিস্টেম করতে হবে ৫ লাখ দিয়া ভর্তি হও তবে ১ বছর পর ফলাফল পাবা। এরপর উনি আমাকে CURING এর জন্য অপারেশন করেন। ১৫ দিনের মাথায় একি অবস্থা। উনি বললেন এলিযারেভ করতে। কিন্তু কোন সমস্যা হলে উনি দায়ি না।
একটু হাঁটতে পারার পর আমি গেলাম ডাঃ আক্তার মরশেদ , মেডিনোভা তে। উনি দেখে বললেন লেব এইড এর ট্রিটমেন্ট ভুল ছিল। OSTEYOMILITIES হইছে ঠিক আছে এখন পায়ে প্লাস্টিক সার্জারি করা ছাড়া কোন ভাবেই ঐ জায়গা জোড়া লাগবেনা যেখানে স্পষ্ট বলা আছে যে
এই রোগে কোন প্রকার প্লাস্টিক সার্জারি করা যাবেনা আমি ওনাকে দেখানোর পর উনি বললেন ঐটা ভুল। উনি প্লাস্টিক সার্জারি করলেন। পুরা পা জোড়া লাগালেন কাটা জায়গা। ৬ দিনের মাথায় ঐটা ফাইটা যায়। আবার পা পচা শুরু করে। তারপর উনি বলেন যে পা কাইটা আর্টিফিশিয়াল লিম্ব লাগাতে যার কোন প্রয়োজন এ নাই। নাহলে উনি আর পারবেননা। আমি গেলাম স্কয়ার হসপিটাল এর ডাঃ ফজলুর রহমান এর কাছে। ওনাকে জিজ্ঞেস করলাম লিম্ব দরকার আছে কিনা? উনি বললেন কে বলল লিম্ব দরকার?? OSTEYOMILITIES হইছে ঠিক আছে এখন CURING করতে হবে বার বার। কয়বার তা জানিনা। একসময় ভালো হবা। উনি আবারো CURING করেন। ১ মাস ভালো ছিলাম আবার পা ফাইটা পুজ যায়। উনি ভয় পাইয়া বলেন অপেক্ষা করো। এই পায়ে র অপারেশন করা এখন আর সম্ভব না। অনেক টেস্ট করাইয়া একটা ইঞ্জেকশন পাওয়া যায় যেটাতে কিছুটা সময়ের জন্য ভালো থাকা যাবে। প্রতিদিন ৩ টা করে ১৪ দিন। প্রতিটা ১,৩০০/= করে। তখন মাসে ৫৬,০০০/= টাকার ইঞ্জেকশন লাগতো। এইভাবে ৪ মাস পর আবার CURING করেন। পায়ের ভিতরের অবস্থা খুবই গুরুতর। এই ভাবে মোট ১৩ টা অপারেশন
আর ২২ লাখ+ টাকা যাওয়ার পর আমি জিজ্ঞেস করলাম আমার আসলে কি করা উচিত?? উনি বললেন তুমি আর এই দেশে চিকিৎসা না নিয়া বাইরে চলে যাও। এই দেশে আর কেও নাও পারতে পারে কারন প্রথম থেকেই ব্যাপারটা কমপ্লিকেটেড করা হইছে। আমাকে
উনি ব্যাংকক এর হেলথ কেয়ার হসপিটাল এর ঠিকানা দেন। আমি ঐখানে যোগাযোগ করি। তারা আমাকে মেইল করে সব পাঠানোর জন্য। আমি পাঠাই। সব দেখে তারা বলে তারা পারবে আর ওদের খরছ পরবে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৫ লাখ। আমি ওদের বুঝাইয়া বলি
আর এইটাও বলি আমাকে ইন্ডিয়া পারলে রেফার করতে। ওরা তাই করে। ইন্ডিয়া ২ টা হসপিটাল এর সাথে অরা যোগাযোগ করতে বলে। আমি করি। যখন প্রায় আমার সব ই শেষ।
জমা যা ছিল টা দিয়া ইঞ্জেকশন কিনতে হচ্ছে। বাইরে কিভাবে যাব । তাও চেষ্টা করতে থাকি। একসময় দেখি আমার দ্বারা আসলে বাইরে যাওয়াটা প্রায় অসম্ভব। কারন প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্যাশ আমার কাছে নাই। যা কামাই তা স্বাভাবিক চলা আর নিজের ওষুধেই চলে যায়।
নিজের ড্রেসিং নিজেই করি প্রতিদিন। আমার জন্য এগিয়ে আসে JUSTICE FOR WOMEN BANGLADESH এই সংস্থার ২ জন মানুষ। একটা ইভেন্ট ও করে। কিন্তু ঐটা থেকে আসে মাত্র ২২৫/= । একটা ক্লোজড গ্রুপ এ আমাকে নিয়ে পোস্ট করা হয়। যেটা থেকে ৮ মাস লাগে হেল্প নামের কিছু একটা আসতে। যেখানে আমার মাসে ২৮,০০০/= লাগে সুধু ইঞ্জেকশান এ। সেখানে ৮ মাসে আসে ৩৩,৮০৮/=। কারণ অফলাইন এ আমার জন্য কেও নাই।

Jannatul Ferdous আপু চেষ্টা করছেন।

অনেক ইনবক্স আসতে থাকে। কেউ বলে ভাই আপনি মেয়ে হলে অনেক হেল্প আসতো। ঝাপাইয়া পড়তো সবাই। আমি হাসি। যাক কপাল খারাপ আমি মেয়েনা। কেউ বলে ভাই আপনি ছোট বাচ্চা হলে আমরা কিছু করতে পারতাম!!! যাক কপাল খারাপ ছোট বেলায় আমার রোগ না
হইয়া বড় হওয়ার পর হইছে।
কপালটা আসলেই খারাপ যে আমি নিজে এত এত খরচের পর কেন ভাল হইলাম না। আশায় আশায় ২ বার ভিসা করার পর তার মেয়াদ ও চলে গেছে। ভিসা করাইয়া লাভ কি। মুলধন ই তো নাই। আজ আপনাদের সাথে গল্পটা বলার কারণ হল আমার ফেসবুক দেখে আমাকে বিচার করবেননা। অনেক কথা বলেন অনেকে যা আমি শুনি। একটা কথা বলি আমাকে হেল্প করতে না পারেন কিন্তু আমার পিছনে আমার ফেসবুক দেইখা আমার নিন্দা করবেন্না। খুব কস্টে আছি। প্রতিনিয়ত পচতেছি। প্রতি মুহূর্তে পচতেছি। যা কেউই দেখেন্নাই। জানতেও চান নাই। না জানার ভান ও করছেন অনেকেই। ১ বছর টানা মেলা নামি দামি মানুষের কাছে গেছিলাম। সবাই দেখবে বলছে।
দেখতে দেখতে পুরাটাই আমি পচে
যাচ্ছি। সবাই দেখছেন। আর আমি শেষ হচ্ছি। কেউ কেউ ইন্ডিরেক্ট বললেন যাদের নিয়ে কাজ করলে মিডিয়া বা হাইলাইট হওয়া যাবে ওইটা হলে করতেন। আমি মেয়ে না, আমি ছোট বাচ্চা না এইটার দোহাই শুনেছি অসংখ্যবার। প্রতি মুহুরতেই ভাবি আত্মহত্যা করবো । কারণ
এতো কষ্ট চাপা দিয়া প্রতিদিন নিজেকে নিজে ব্লেড আর সুই এর যন্ত্রণা থেকে বাঁচানোর আর কোন পথ দেখিনা। প্রতি কদমে ব্যাথা পাই। তাও কদম দেই। কারণ পেট তো চালাতে হবে। কিন্তু আমি পচেই যাচ্ছি অবিরত। পা দিয়ে পুঁজ রক্ত বের হয় প্রতিদিন ই। স্ট্যাটাস টা পোস্ট করার পরই যাব ড্রেসিং করতে। ছুরি আর সুই , ব্লেড এর অবর্ণনীয় কষ্ট সাথে বিকট পচা গন্ধে থাকাটা বড় দুস্কর। এই পা নিয়া আবার সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত অফিস ও করা লাগে। যা ৪ বছরের বেশি সময় ধরে করে আসছি। এইবার একটু শান্তিতে হাঁটতে চাই। কুড়ে কুড়ে খাওয়া এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চাই।
অনেক লম্বা করে ফেললাম। বিরক্ত
করলাম অনেক। ক্ষমা করবেন।

আমি নিজ পায়ের উপর দাড়ানোর জন্য আমার পাশে দাড়াইতে চাইলে দাড়াতে পারেন।

কথা বলার জন্য কল দিতে পারেনঃ ০১৬৮৭-৭২১৪৯৬

-বিকাশ করুন
-01815444478
-01838-176158
-01816760091
-01911-712051
-01821-638054
-01686-436594

টাকা পাঠালে অবশ্যই আমার কাছ থেকে কনফার্ম হয়ে নিবেন।

ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংক ( রকেট)

01687-721496-3

Bank details:
Name: Mainul Islam
Ac no: 140.151.78466
Dutch Bangla bank LTD
Feni Branch.

ব্যাংক একাউন্ট: মাইনুল ইসলাম
একাউন্ট নং: 140.151.78466
ডাচ বাংলা ব্যাংক লি:
ফেনী শাখা।

প্রথম দিকের অবস্থাঃ Click This Link

বিভিন্ন টেস্টঃ Click This Link

যাবতীয় প্রেসক্রিপশনঃ Click This Link

সিটি স্কেনঃ Click This Link

ড্রেসিং এবং তার পরের অবস্থাঃ Click This Link

অপারেশন ডিসচার্জঃ Click This Link

ইনফেকশন বাড়লে যা হয়ঃ Click This Link

যে সব ইনজেকশন নেয়া লাগেঃ Click This Link

পাসপোর্ট এবং ভিসাঃ Click This Link

কিছু ভিডিও লিঙ্ক ইউটিউবঃ Click This Link









এইটা ছিলো মিরাজ ভাইয়ের সংগ্রামের একাংশ। মিরাজ ভাই আবারো নিজের পায়ে মুক্তভাবে দাঁড়াবেন, যদি আমরা এসময়ে তার পাশে দাঁড়াই। মিরাজ ভাই জিতে গেলে আমরাই জিতে যাবো। এ জয়টা পৃথিবীর সেরা জয় হবে। আপনি কি এর অংশীদার হতে চান না? আজকে বৈশাখেও হয়তো অনেক টাকা নষ্ট করছেন। এই ভাইটার জন্য কি কিছু করা যায়না? প্লিজ একটু চেষ্টা করে দেখুন, প্লিজ। শেষ কালো রাতটাতে ওনার সঙ্গ দিলেই অনায়াসে ভোরের মিষ্টি আলো দেখতে পারবেন তিনি। সিনিয়র ব্লগার এবং সামু মডারেটর প্যানেল থেকেও যদি একটু প্রচারণা বা সহযোগিতা করা হয় তাহলে কাজটা আরো একটু সহজ হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২০
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×