♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)

(ছবি নেট হতে)
এই কেন? সেই কেন? অমুক কেন? তমুক কেন?
এ এটা করে কেন? সে সেটা করে কেন?
আচ্ছা, এসব কেন বাদ দিয়ে আসুন একটি গল্প শুনি। অনেকদিন আগে এলাকাতে নতুন মসজিদ নির্মাণ হবে। উৎসুক জনতার স্বঃতস্ফূর্ততায় মসজিদ নির্মাণ হলো ঠিকই। কিন্তু বিপত্তি দেখা দিলো নামাজের সময়। জামাতে মুসুল্লি নাই। দিন যতো যাচ্ছে মুসুল্লি ততোই কমছে। নামাজের জন্য ইমাম সাহেব বললেই সবাই বলে এই কাজ, সেই কাজ, এই ব্যস্ততা, সেই ব্যস্ততা। আগে না পেট ভরা, তারপর ইবাদত করা। এমন জরা-জীর্ণভাবেই চলতে লাগলো মসজিদের সব কার্যক্রম। ইমাম সাহেবের মনেও কষ্টের শেষ নাই। মসজিদের সভাপতিও এখন বেশি মসজিদমূখী হন না। আবার সভাপতির নানান ধান্দার খবরও ইমাম সাহেবের কানে আসছে।
এই যখন এলাকার অবস্থা তখন জানা গেলো এলাকার আবাসিক হোটেলে নাকি অনৈতিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই শুনে ইমাম সাহেবের ঈমানি হুংকার। যদিও সেই হুংকারে সবাই দলবদ্ধ হয়ে আওয়াজ তুলে আবাসিক হোটেল বন্ধ করার, কিন্তু সেই আওয়াজ আর আবাসিক হোটেল পর্যন্ত পৌঁছায় না। দিন যতো বাড়ছে আবাসিক হোটেলের আশ-পাশ ততোই রমরমা হচ্ছে। তাই বলে কেউ সেই আবাসিক হোটেলের কার্যক্রম মেনে নিতে পারেনি। সেই আবাসিক হোটেলের বিরুদ্ধে সবার বিপ্লবী মন্তব্য অব্যহত রয়েছে। সবাই সমস্বরে বলে ইহা অন্যায়। কিন্তু আবার সন্ধ্যার পরই দেখা যায় কম-বেশি সবারই সেই হোটেলের দিকেই আসা-যাওয়া।
আর এদিকে মসজিদ কাঁদে মুসুল্লির জন্যে। ইমাম সাহেব এই ভেবে পেরেশান যে, কেনো মানুষ হোটেলের দিকে যায়? প্রায়ই এই নিয়ে ইমাম সাহেব ইমানি হুংকার দেন। সবাই হুংকার শুনে যার যা আছে তা নিয়েই ঝাঁপিয়ে পরে। কিন্তু সেই ঝাঁপ ইমাম সাহেবের চোখের সামনেই সীমাবদ্ধ। ইমাম সাহেব বলেন, সবাই মিলে হোটেলে যাওয়া বন্ধ করলেইতো হয়। সবাই এতে একমত হয়। সবারই এটা চাওয়া কেউ না গেলেইতো হয়। কিন্তু কেউ মন হতে এটা চায় না যে, আমি যাবো না। তাই ইমাম সাহেবের এসব ইমানি হুংকার কানে আঙুল দিয়ে শুনে শেষ করে আবার গুটি গুটি পায়ে সবাই এগিয়ে চলে সেই হোটেলের দিকে। আর অন্যদের দেখে বলে, “কত্তো খারাপ! মাত্র ইমাম সাহেবের এখানে বলে আসছে যাবেনা, আর এখনই যাচ্ছে! শেষ! সমাজটা ধ্বংস হই গেলো!”
আর এদিকে ইমাম সাহেব ভেবে পাননা, যেখানে এলে মৃত্যুর পর নিশ্চিত জান্নাত সেখানে বাদ দিয়ে যেখানে গেলে মৃত্যুর পর জাহান্নাম অবধারিত, সেখানে সবাই যায় কেনো? এই কেনোর উত্তর জানতে ইমাম সাহেব মসজিদের সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন। সভাপতি জানান, এটা ব্যক্তিস্বাধীনতা। এতে হস্তক্ষেপ করা অন্যায়। ধর্ম কারো উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। এসব শুনে ফিরার পথে ইমাম সাহেবরে এক না'লায়েক দুষ্টু জানায়, মসজিদের সভাপতি সাহেব নাকি এখন সেই আবাসিক হোটেলেরও সভাপতি!!!
এতোসবের পর পেরেশান ইমাম সাহেব আরো পেরেশান হয়ে যান! ইমাম সাহেবের মাথায় এখন শুধু ঘুরে, “কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো!”
ইমাম সাহেবের পেরেশানিতে আমার কানে খালি নিচের গানটা বাজে…..

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



