somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হিম্মাত আছে কি???

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

ব্লগে মনে হচ্ছে আবার ক্যাঁচাল মাথা তুলেছে। আর ক্যাঁচাল হলে তাতে জটিল ভাই উপস্থিত থাকবে না সেটা কি করে সম্ভব? তাতে কেউ আরক্ত বা বিরক্ত হলেও কিছু করার নাই। একটাই করার আছে, বিরক্ত লাগলে আমার পোস্ট এড়িয়ে যাওয়া।

যা বলতে চাচ্ছি, আসলে আমরা কতোটা ব্যর্থ তা চোখে আঙুল দিয়ে না দেখালেই কি নয়? বর্তমান ক্যাঁচালের বিষয়বস্তু দেখতে পাচ্ছি দুইটি। প্রথমত ফ্যাসিবাদী গুণগান। আর দ্বিতীয়টা পুরান পাপীর প্রলাপ। প্রথমটার বিষয়ে বলতে গেলে মনে করা উচিৎ স্বাধীনতা অর্জনের চাইতে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। অনেকের ধারণা এমন যে, জুলাই বিপ্লবের পর সব ফ্যাসিবাদী অটো নিপাত যাবে এবং অটো ফ্যাসিবাদ নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়ে যাবে। আর যাদের মনে এমন ধারণা তাদের সম্পর্কে বলতে হয় যে, বিপ্লব কাকে বলে সেটাই তারা জানেন না। পলাশী'র বিরোধীরা, ৪৭ বিরোধীরা, ৭১ বিরোধীরা, ২৪ বিরোধীরা ছিলো, আছে, এবং থাকবে। সুযোগ পেলেই মোড়ক বদলে মাথাচাড়া দেবে। সিরাজের বিরোধী ছিলো নিজের আপন খালা। ৭১ এ আলবদর, রাজাকাররা স্বদেশীই ছিলো। আর ২৪শেতো সবই স্বজাতি। সেখানে কিভাবে আশা করেন যে, এই ব্লগে ২-৪ পিস থাকবে না? বিপ্লবের ফল এতো সহজ? ভুলে গেলে হবে কি যে বিপ্লব একটি চলমান প্রক্রিয়া? কারণ, বিপ্লব মানেই ফল পাওয়া নয়। কেবল একটি চারাগাছ রোপন। কিন্তু যত্ন ছাড়া যেমনি সেই রোপিত চারাগাছের কোনো দাম নাই, বিপ্লবও তাই।

সুতরাং, বিপ্লব হয়েছে মানেই ব্লগে কেউ ফ্যাসিবাদের পক্ষে লিখবে না এই আশা সম্পূর্ণ বাচ্চামি। বরং সেসব লিখার কঠিন জবাব যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে পরিপক্কতা। জানি সেসব জবাব ফ্যাসিবাদীদের কর্ণকুহরে ঢুকবে না। তাতে কিবা আসে যায়? সার্থকতাতো সেখানে, যদি জবাবগুলো পড়ে সঠিক পথের দিশারিগণ দিশা খুঁজে পান। যাদের অন্তরে মোহর মারা হয়ে গেছে, তাদের পরিশুদ্ধির আশা করে কি লাভ? বরং তাদের নিয়ে আলোচনার মানে এই যে, বিনা পয়সায় তাদের প্রমোট করে চলা। আর এভাবেই শত হাতের প্রমোট ধরে এই ২-৪ পিছ যুগ-যুগ ধরে বেঁচে আছে। আমরাই তাদের বেঁচে থাকার রসদ যোগাচ্ছি, আবার আমরাই বলছি তারা কি করে টিকে আছে! হাউ ফানি! এদিকে তারা বসে-বসে মজা লুটে নেয় যে, তারা যাই লিখে তাই হট টপিক হয়ে যায়! তারপরও আমরা বুঝি না আসল গাধা কে!!!! আফসোস!!!

আমরা শুধু চিৎকার করতে জানি, কেনো তারা লিখে? এই যে তাদের লিখা বন্ধ করতে চাওয়া, সেটা কি স্বাধীনতা? কখনোই না। তারা লিখে কারণ তাদের চাইতে উত্তম কিছু আমরা লিখতে পারিনা। আর পারলেও অন্যদের তাতে আগ্রহ নেই। এই যে লিখতে না পারা, কিংবা অন্যকে আকর্ষণে ব্যার্থতা, এর দায় আমরা কিভাবে তাদের উপর দেই? তেঁতো হলেও সত্য মেনে নিতেই হবে। আর এই তিক্ত সত্যের কারণেই তারা লিখেছে, লিখছে, এবং লিখবেও। যে লিখতে জানে তাকে কখনো চিৎকার করে থামানো যাবে না যদি না সঠিক যুক্তি-তর্ক করার হিম্মাত থাকে।

দ্বিতীয় বিষয়টাও তেমনি। টুটি চেপে ধরা কোনো সমাধান নয়। আমরা পুরাতন পাপীদের নিয়ে নাচতে আনন্দ পাই বলেই তারা নাচে। কারণ, প্রথম পাতায় পাপীর উপস্থিতি নেই। তারপরও তাকে নিয়ে নাচার মহত্ব কি? তার আবিষ্কৃত শব্দ নিয়ে ফোঁড়ন কাটার মানে কি? মানে হচ্ছে আমাদের ব্যার্থতা। আমরা লিখতে ব্যার্থ বলেই প্রথম পাতা ছেড়ে ভেতরের পাতায় যেয়ে পড়তে হয়, কিংবা পড়তে মজা লাগে। আমরা কেনো পারিনা নতুন শব্দ আবিষ্কার করতে? পারিনা বললেও ভুল হবে। “বড় গাধা” শব্দটা আমাদেরই আবিষ্কার। এই ট্যাগ সহজেই সবাই বুঝেন। আবার আমার জটিলবাদ সম্পর্কেও আশা করি সম্যক অবগত আছেন। তবে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হচ্ছে আমাদের সৃষ্টিগতভাবেই পাপে আগ্রহ বেশি। তাইতো পাপীমুখের কথা ঘৃণা করি বলে বলে বারবার আওড়াই। আর এভাবে নিজেরাই প্রমোট করে আবার বলি কেনো উহা টিকে আছে! কতো মজার না!

পাপাী যদি ব্যাক পেইজে থেকেও আলোচনায় আসে, তবে সেই দায় কার? একবার কি এই প্রশ্নটা ভেবেছেন? সব সমাজেই পতিতাবৃত্তিকেকে খারাপ চোখে দেখা হয়। তারপরও নিষিদ্ধ পল্লীগুলো টিকে থাকে কেনো জানেন? আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত বাঁচাতে। নয়তো এই নিষিদ্ধ পল্লী না থাকলে রাস্তা-ঘাটে চুরি-ছিন্তাইয়ের মতো ধর্ষণও স্বাভাবিক হয়ে যেতো। এখন যদি আপনি আমি এই নিষিদ্ধ পল্লী নিয়েও আপত্তি করি তখন সেই দায় আমাদের মা-বোনের ইজ্জত দিয়া ঘুচাতে হবে। ব্লগেও তেমনি ল্যাদানোর জন্যে ব্যাক পেইজের দরকার আছে। এখন নিশ্চই আমি-আপনি সারাক্ষণ পরিবারে নিষিদ্ধ পল্লীর ঘটনা আলোচনা করি না? করলে কি হবে? পরিবারের সদস্যের মাঝে নিষিদ্ধ পল্লীর আকর্ষণ বাড়বে। বরং এটাও প্রমাণিত হবে যে, আমি নিষিদ্ধ পল্লীর একজন নিয়মিত খদ্দের।

বরং দুঃখ লাগে যে, ব্যাক পেইজে থেকেও পাপীর পোস্ট বা উক্তি যতোটা আলোচনায় থাকে, আপনি-আমি ফ্রন্ট পেইজের সুবিধাভোগ করেও তার এক ছিঁটে ফোঁটা পারি না। এই দায় কার? এটা নিয়ে কখনো ভেবেছি? এটা নিয়ে কখনো আলোচনা করেছি? শুধু জানি কেনো তারা লিখে এই প্রশ্ন করতে। আর ঘুরে-ফিরে এক গান গাইবার অভ্যাসের কারণে বিপ্লবের পর শুধু বিপ্লবই চলে। ফল আর ভোগ করা হয় না। আর তাই ফ্যাসিবাদ ঠ্যাকিয়ে আজ যাদের আসনে বসিয়েছি, তাদেরও আজ আমাদের কাছে ফ্যাসিস্ট লাগে। মূলকথা হচ্ছে, “ফ্যাসিস্ট” নামে নতুন যে শব্দ শিখেছি তার যত্রতত্র ব্যবহার না করে শান্তি পাই না। এতো সর্ট টেম্পার জাতি কিভাবে হাজার বছর টিকে থাকে?

পরিশেষে একটা চ্যালেঞ্জ দিয়ে শেষ করছি। নেবার হিম্মাত আছেতো? আগামী ১ সপ্তাহ যেনো কোনো পাপীর পোস্ট আলোচিত ব্লগ অংশে না আসে। পোস্ট না আসলে অসাড় কোনো পোস্ট আলোচিত অংশে যাক। কোনো পাপীর পোস্ট না। সূত্রও বলে দিচ্ছি। যে পোস্ট বেশি প্লাস, মন্তব্য, আর পাঠ্য হবে, সেটাই আলোচিত পাতায় যাবে। পাপীরা ক'জন মিলে যদি পোস্ট হিট করতে পারে, তবে কি ব্লগের সবাই মিলেও সেই হিম্মাত নেই?

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×