♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)
(ছবি নেট হতে)
”অতিবাড় বেড়ো না ঝড়েতে উড়াবে,
অতি ছোট হয়ো না ছাগলে মুড়োবে!”
কথাগুলো শুধু মাথায় ঘুরছিলো। ভাবছিলাম এ নিয়ে কিছু লিখি। কিন্তু ইদানিং কি হয়েছে, লিখতে ইচ্ছে করে না! মাথাটা সবসময় কেমন যেনো করে লিখতে গেলেই। তাই নেটে পড়ে নিচের ব্লগটা ভালোই লাগলো। তাই শেয়ার করছি।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে একটি মোটিভেশনাল উক্তি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব, তবে চলুন শুরু করি।
জীবনে চলার পথে অনেক কিছুরই দরকার পরে, কোনগুলো ভালো জিনিস আবার কোনগুলো খারাপ জিনিস। ভালো জিনিস গুলো কে গ্রহণ করতে হয় আবার খারাপ জিনিস কে বর্জন করতে হয়। এভাবে করেই আমাদের জীবনে এগিয়ে যেতে হয়। তবে কিছু কিছু জিনিস আমরা মাত্র অতিরিক্ত করে ফেলি যার কারণে পরবর্তী জীবনে আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।
আপনারা হয়তো কোন না কোন সময় গুরুজনদের কাছ থেকেই শুনেছেন। কোন কিছুই বেশি করা ঠিক নয়। আসলে কিন্তু ঠিক নয়। এটা বৈজ্ঞানিকভাবে ও প্রমাণিত হয়েছে। ধরুন আপনার একটি বই এর চ্যাপ্টার শেষ করতে তিন ঘন্টা সময় লাগবে কিন্তু আপনি যদি একটানা ৩ ঘন্টা পড়াশোনা করে চ্যাপ্টারটি শেষ করেন পরবর্তীতে দেখা যাবে অনেক কিছুই আপনি ঠিক ভাবে মনে করতে পারছেন না, তবে আপনি যদি সেই তিন ঘন্টাকে আলাদা আলাদা ভাবে ভাগ করে পড়াশোনা করতেন অর্থাৎ পড়াশোনার মাঝে মাঝে ৫-১০ মিনিটের ব্রেক নিয়ে পড়াটি পড়তেন তাহলে দেখা যেত সেই পড়াটি আরো ভালোভাবে আপনি সম্পন্ন করতে পারতেন।
এই বিষয়টি যে শুধুমাত্র আমি বলছি তা কিন্তু নয়। এটা কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের জীবনে আমরা যত কাজ করি না কেন কোনটাই মাত্রা অতিরিক্ত ঠিক নয়। ধরুন আপনি খুব গান শুনতে ভালোবাসেন কিন্তু প্রতিনিয়ত যদি আপনি বেশিভাগ সময় গান শোনার পিছনে ব্যয় করেন তাহলে আপনার জীবনে খারাপ সময় আসতে চলেছে এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। তবে হ্যাঁ কাজের ফাঁকে ফাঁকে গান শোনা যায়। মাঝে মাঝে গান শুনলে মন ভালো হয়ে যায় তবে সেটা যদি মাত্র অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলেই হবে সমস্যা।
অনেকেই রয়েছেন ঘন্টার পর ঘন্টা বসে ফেসবুক চালায়, ইউটিউব চালায় সেই বিষয়টি কিন্তু আসলে খারাপ। এই বিষয়গুলো আমরা সকলেই বুঝি কিন্তু অনেকেই মানতে চাই না। শুধুমাত্র কাজ করা এবং কোয়ালিটি ফুল কাজ করার মধ্যে কিন্তু অনেক বড় একটি পার্থক্য রয়েছে। আপনাকে কোন একটি কাজ দেওয়া হল। সেই কাজটি আপনি ভালোভাবে সম্পন্ন করলেন সেটি হবে ইফেক্টিভ কাজ কিন্তু আপনাকে একটি কাজ দেওয়া হলো কিন্তু আপনি বেশি সময় ধরে সেই কাজটি করে ফেলেন কিন্তু সেই কাজটি কোয়ালিটি ফুল হলো না, তাহলে কিন্তু ফলাফল শুন্য।
একটি বিষয় আমি ব্যক্তিগতভাবে মেনে চলার চেষ্টা করি, আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে ততটুকুই চাপ দেন যতটুকু আমরা কিংবা আমাদের শরীর সহ্য করতে পারে। এর থেকে বেশি কিন্তু চাপ সৃষ্টি কর্তা আমাদের দেন না। তাই যাই করুন না কেন বেশি অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কোন কিছু করার চেষ্টা করবেন না। তাহলে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। সেই কাজটিও নষ্ট হবে সেই সাথে আপনার মূল্যবান সময় গুলো।
কোন কিছু যদি অতিরিক্ত করে থাকেন সেক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যা হলো সময় নষ্ট। আসলে এই সময় যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কতটা মূল্যবান সেই বিষয়গুলো হয়তো আমরা এখন বুঝতে পারছি না কিন্তু আজ থেকে ৫-১০ বছর পরে এই সময়ের মূল্য গুলো আমরা ঠিক বুঝতে পারব।
বিষয়গুলো আগে আমার বাবা-মা আমাকে বলত কিন্তু তখন বুঝতে পারতাম না তখন আর শুধুমাত্র বিরক্ত লাগতো কিন্তু এখন বুঝতে পারছি সেই সময়ের মূল্য কতখানি। তাই গুরুজন যেসব বিষয়ে আমাদের উপদেশ দেন সেগুলো অবশ্যই আমাদের মেনে চলা উচিত। আমরা সেই সব বিষয়গুলোই উপদেশ পাই যেগুলো আমরা বুঝতে পারি না, কিংবা যেগুলোর অভিজ্ঞতা এখনও আমরা গ্রহণ করতে পারেনি।
যাইহোক আজ বেশি কিছু লিখছি না, সবার প্রতি একটাই অনুরোধ মাত্র অতিরিক্ত কোন কিছুই করবেন না, মাত্রা অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না, ধন্যবাদ সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪২