somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্যান্টনমেন্ট হতে ৩২ নম্বর! আল্লাহ্ কারো একার নন!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

”অতিবাড় বেড়ো না ঝড়েতে উড়াবে,
অতি ছোট হয়ো না ছাগলে মুড়োবে!”


কথাগুলো শুধু মাথায় ঘুরছিলো। ভাবছিলাম এ নিয়ে কিছু লিখি। কিন্তু ইদানিং কি হয়েছে, লিখতে ইচ্ছে করে না! মাথাটা সবসময় কেমন যেনো করে লিখতে গেলেই। তাই নেটে পড়ে নিচের ব্লগটা ভালোই লাগলো। তাই শেয়ার করছি।

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে একটি মোটিভেশনাল উক্তি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব, তবে চলুন শুরু করি।

জীবনে চলার পথে অনেক কিছুরই দরকার পরে, কোনগুলো ভালো জিনিস আবার কোনগুলো খারাপ জিনিস। ভালো জিনিস গুলো কে গ্রহণ করতে হয় আবার খারাপ জিনিস কে বর্জন করতে হয়। এভাবে করেই আমাদের জীবনে এগিয়ে যেতে হয়। তবে কিছু কিছু জিনিস আমরা মাত্র অতিরিক্ত করে ফেলি যার কারণে পরবর্তী জীবনে আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।

আপনারা হয়তো কোন না কোন সময় গুরুজনদের কাছ থেকেই শুনেছেন। কোন কিছুই বেশি করা ঠিক নয়। আসলে কিন্তু ঠিক নয়। এটা বৈজ্ঞানিকভাবে ও প্রমাণিত হয়েছে। ধরুন আপনার একটি বই এর চ্যাপ্টার শেষ করতে তিন ঘন্টা সময় লাগবে কিন্তু আপনি যদি একটানা ৩ ঘন্টা পড়াশোনা করে চ্যাপ্টারটি শেষ করেন পরবর্তীতে দেখা যাবে অনেক কিছুই আপনি ঠিক ভাবে মনে করতে পারছেন না, তবে আপনি যদি সেই তিন ঘন্টাকে আলাদা আলাদা ভাবে ভাগ করে পড়াশোনা করতেন অর্থাৎ পড়াশোনার মাঝে মাঝে ৫-১০ মিনিটের ব্রেক নিয়ে পড়াটি পড়তেন তাহলে দেখা যেত সেই পড়াটি আরো ভালোভাবে আপনি সম্পন্ন করতে পারতেন।

এই বিষয়টি যে শুধুমাত্র আমি বলছি তা কিন্তু নয়। এটা কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের জীবনে আমরা যত কাজ করি না কেন কোনটাই মাত্রা অতিরিক্ত ঠিক নয়। ধরুন আপনি খুব গান শুনতে ভালোবাসেন কিন্তু প্রতিনিয়ত যদি আপনি বেশিভাগ সময় গান শোনার পিছনে ব্যয় করেন তাহলে আপনার জীবনে খারাপ সময় আসতে চলেছে এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। তবে হ্যাঁ কাজের ফাঁকে ফাঁকে গান শোনা যায়। মাঝে মাঝে গান শুনলে মন ভালো হয়ে যায় তবে সেটা যদি মাত্র অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলেই হবে সমস্যা।

অনেকেই রয়েছেন ঘন্টার পর ঘন্টা বসে ফেসবুক চালায়, ইউটিউব চালায় সেই বিষয়টি কিন্তু আসলে খারাপ। এই বিষয়গুলো আমরা সকলেই বুঝি কিন্তু অনেকেই মানতে চাই না। শুধুমাত্র কাজ করা এবং কোয়ালিটি ফুল কাজ করার মধ্যে কিন্তু অনেক বড় একটি পার্থক্য রয়েছে। আপনাকে কোন একটি কাজ দেওয়া হল। সেই কাজটি আপনি ভালোভাবে সম্পন্ন করলেন সেটি হবে ইফেক্টিভ কাজ কিন্তু আপনাকে একটি কাজ দেওয়া হলো কিন্তু আপনি বেশি সময় ধরে সেই কাজটি করে ফেলেন কিন্তু সেই কাজটি কোয়ালিটি ফুল হলো না, তাহলে কিন্তু ফলাফল শুন্য।

একটি বিষয় আমি ব্যক্তিগতভাবে মেনে চলার চেষ্টা করি, আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে ততটুকুই চাপ দেন যতটুকু আমরা কিংবা আমাদের শরীর সহ্য করতে পারে। এর থেকে বেশি কিন্তু চাপ সৃষ্টি কর্তা আমাদের দেন না। তাই যাই করুন না কেন বেশি অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কোন কিছু করার চেষ্টা করবেন না। তাহলে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। সেই কাজটিও নষ্ট হবে সেই সাথে আপনার মূল্যবান সময় গুলো।

কোন কিছু যদি অতিরিক্ত করে থাকেন সেক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যা হলো সময় নষ্ট। আসলে এই সময় যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কতটা মূল্যবান সেই বিষয়গুলো হয়তো আমরা এখন বুঝতে পারছি না কিন্তু আজ থেকে ৫-১০ বছর পরে এই সময়ের মূল্য গুলো আমরা ঠিক বুঝতে পারব।

বিষয়গুলো আগে আমার বাবা-মা আমাকে বলত কিন্তু তখন বুঝতে পারতাম না তখন আর শুধুমাত্র বিরক্ত লাগতো কিন্তু এখন বুঝতে পারছি সেই সময়ের মূল্য কতখানি। তাই গুরুজন যেসব বিষয়ে আমাদের উপদেশ দেন সেগুলো অবশ্যই আমাদের মেনে চলা উচিত। আমরা সেই সব বিষয়গুলোই উপদেশ পাই যেগুলো আমরা বুঝতে পারি না, কিংবা যেগুলোর অভিজ্ঞতা এখনও আমরা গ্রহণ করতে পারেনি।

যাইহোক আজ বেশি কিছু লিখছি না, সবার প্রতি একটাই অনুরোধ মাত্র অতিরিক্ত কোন কিছুই করবেন না, মাত্রা অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না, ধন্যবাদ সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪২
৭টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=১। কে বা চিনে আমায় ২। চলো যে যার মত ভালো থাকি =

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:২৭


©কাজী ফাতেমা ছবি
#ভাবনা'রা
যত্ন করে লাগানো পাতাবাহার
কিংবা বারান্দার ঝুলে পড়া ঘাস ফুল
আর মানি প্লান্ট, কাঠ বেলী ওরা আমাকে চিনে,
রোজ বসে যেখানে দেখে নেই মুখশ্রী
ড্রেসিং টেবিলের আয়না সে আমাকে চিনে।

যে গ্লাসটায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। পৃথিবীতে ফিরলেন বুচ ও সুনিতা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:৩৫

মহাকাশ স্টেশনে ৯ মাস আটকে থেকে পৃথিবীতে ফিরলেন বুচ ও সুনিতা


আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) দীর্ঘ ৯ মাস কাটিয়ে অবশেষে পৃথিবীতে ফিরতে সক্ষম হলেন দুই বিশিষ্ট মার্কিন নভোচারী... ...বাকিটুকু পড়ুন

'ওরা' পারেও....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:১৭

'ওরা' পারেও....

২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর ফজরের ওয়াক্তে আমাকে আর Zahid Hassan কে র‍্যাব-১০ থেকে মিরপুর থানায় হস্তান্তর করে। সেই দিনই আমাদের কোর্টে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আনে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার রক্তাক্ত রমজান: বিশ্ব দেখছে নিরবে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২



রমজানের পবিত্রতা উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন। এই হামলায় গাজার ডি-ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রী ইসাম দা'আলিসসহ চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নুরের চে গুয়েভারা

লিখেছেন ঠাকুরমাহমুদ, ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:২৯



(১)
কয়েক দিন যাবত রাজীব নুরের মারাত্মক ধরনের মন খারাপ, তাঁর সেলফোন বন্ধ হয়ে গিয়েছে এখন আর চার্জ নিচ্ছে না, অনও হচ্ছে না! মনে হয় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একদিকে ভালোই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×