♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)

(ছবি নেট হতে)
“পাবলিক কি চায়” তথা পাবলিকের সেন্টিমেন্ট বুঝে উঠতে পারা খুবই জরুরী। এটা বুঝতে পারা শুধু দেশ নয়, পরিবার, সমাজ, প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই আবশ্যক। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যারা পরিচালক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তাদের বেশিরভাগই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে চান না বা ব্যর্থ হন। আর তাতেই সব হয়ে উঠে লেজেগোবরে। যেমন এই দেশে এই পর্যন্ত যতো শাসক এসেছেন তারা মেজরিটি পাবলিকের টোন বুঝার চেষ্টা না করেই নিজের মন মতো পরিচালনা করা শুরু করেন। তাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজও সময়ে তাদের জনপ্রিয় করতে পারেনি। আবার সামান্য কাজই অনেককে অসামান্য করে তুলেছে। অন্যদিকে ট্রাম্প বিশ্ব দৃষ্টিতে পাগল ঠেকলেও নিজ জনগোষ্ঠীর টোন বুঝে হয়েছে ২য় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট। বুশও তেমনি বিশ্বের চোখে টেরর হয়েও ২ মেয়াদ পূর্ণ করেছে। তেমনি পরিবারে মা বা বাবার মাঝে যিনি সন্তানদের টোন বেশি বুঝেন তিনিই প্রিয় হন। তাই কোনো ক্ষেত্রে সফলতা আনতে হলে পাবলিক টোন অনঅস্বীকার্য।
এবার মূল প্রসঙ্গে আসি। সামু খরা কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্কিম গ্রহণ করে চলেছে। নিঃসন্দেহে সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কিন্তু তাতে আদৌ সামু সফলতার মুখ দেখছে কি?
সামু আগেও ছবি ব্লগ, আর্টিকেল লিখা প্রতিযোগিতাসহ নানান ইভেন্ট পরিচালনা করে চলেছে। এখন নতুন করে যুক্ত হতে যাচ্ছে “পডকাস্টিং”। তাছাড়া চলছে ব্লগারদের ইন্টার্ভিউ। নিঃসন্দেহে উদ্যোগগুলো খুবই সুন্দর। কিন্তু তার সঙ্গেও আরো যা চলমান-
১/ যথাসময়ে নির্বাচিত পাতা আপডেট না হওয়া।
২/ সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কভার না বদলানো।
৩/ গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট স্টিকি না হওয়া।
৪/ ব্লগারদের সঙ্গে নীতিমালার সংঘর্ষ।
৫/ ব্লগ মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে না পারা।
৬/ যথাসময়ে ব্লগ নীতির যথাযথ প্রয়োগ দৃষ্টিগোচর না হওয়া।
৭/ যেখানে ব্লগই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সেখানে ব্লগের বিষয়ে অন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে আলোচনা, তথ্য আদান-প্রদান, সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
৮/ ব্লগে চলমান রেষারেষিতে ব্লগ প্রশাসনের সেভাবে দৃষ্টিপাত না করা।
৯/ প্রকাশ্যে ব্লগ প্রশাসন হতে নিজেদের বিরুদ্ধে বিবৃতি প্রদান করে দুর্বলতার প্রকাশ।
১০/ সময়ের সাথে ব্লগ প্রশাসনের উন্নতি প্রকাশ্যে না এসে শুধু অবনতিই দৃশ্যমান হওয়া।
১১/ সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ওয়েবসাইট আপডেট করতে না পারা।
১২/ ব্লগের নিজস্ব ভিডিও প্ল্যাটফর্ম, যোগাযোগ মাধ্যম, ও এ্যাপ স্থাপন করতে না পারা।
১৩/ ব্লগের ফিচারসমূহের একঘুয়েঁমি কাটিয়ে উঠতে না পারা।
এছাড়া বিভিন্ন অপারেটর হতে রেস্ট্রিকসনসহ অনেক চলমান বিষয় রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবেনা। আপাতত চর্বিতচর্বণ আর না করে আনলাকি 13 উল্লেখ করলাম। তাছাড়া কতজন স্বনাম-পরিচয়ে ব্লগে লিখে থাকেন? নিশ্চই হাতে গোণা। অপরদিকে সিংহভাগ ব্লগারই এনোনিমাস থাকতে পছন্দ করেন। প্রইভেসিরও একটা ফ্যাক্ট রয়েছে। আর যাদের ওপেন প্রাইভেসি তাদের সম্পর্কে পাঠকের হয়তো অনেককিছুই জানা। সেক্ষেত্র জীবনের গল্প পডকাস্ট…….
এই লিখাটা বরাবরের মতোই পাগলের প্রলাপ হিসেবে উড়িয়ে দেবার অনুরোধ থাকবে। শেষে আরেকটা প্রলাপ বকে নিই-
“সুঁচের পেছনে সুতা লাগাতে কুড়াল আনার দরকার আছে কি?”
“সেগুনের কাম কোনোদিন শিমুলে হয় না!”

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


