somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারত মাতা কি জয়!

২০ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

সম্পূর্ণ লিখা কপি করা। তাই বলে জামাতের বন্দনা প্রচার করা উদ্দেশ্য নয়। বিএনপি'র দূরদর্শিতা (?) তথা সীমাবদ্ধতাই মূখ্য! জয় ভারত মাতা কি জয়!

সবাই ধরে নিয়েছিল এবার বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, জামাত হবে প্রধান বিরোধী দল। জামাতের তাতে কোন আপত্তি ছিল বলে মনে হয় না, কারণ এতে তারা ইন্টেরিম গভমেন্ট এবং বিএনপি গভমেন্টের বছর কয়েক প্রস্তুতির সময় পাবে, লোক তৈরির সময় পাবে আওয়ামী নির্যাতনের ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারবে এবং এর পরের নির্বাচনে তারা বিপুল ভোটে জয়লাভ করতে পারবে।

কিন্তু এই ক্যালকুলেশন আপনার আমার আগে ভারত করে বসে আছে। সঙ্গে সঙ্গে র এর এজেন্টরা বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে তাদের অতীত রেকর্ড দেখিয়ে দিল। এসব রেকর্ডে ইহুদী লবির সঙ্গে মিটিং এর ছবি, নারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি, আওয়ামী নেতৃবৃন্দ এবং ভারতীয় র এর এজেন্টদের সঙ্গে বসে মদ্যপানের ছবি আরো অনেক রকমের গোপন ছবি ও ভিডিও তাদের কাছে আছে। আছে অজস্র অডিও কল রেকর্ড। এসব ব্ল্যাকমেইলিং এর শিকার হয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ রাতারাতি বদলে ফেললেন মতামত। এবার ভারতের এজেন্ডাই হয়ে উঠলো বিএনপির এজেন্ডা।

ভারত চাই জামাত যেন প্রধান বিরোধী দলও হতে না পারে। কারণ জামাত যদি এবার প্রধান বিরোধী দল হয় আগামীবার নিশ্চিত তারা সরকার গঠন করবে।

রয়েল এজেন্টেবার প্রচারণা শুরু করলো জামাতের বিরুদ্ধে কিন্তু তাদের হাতে যেহেতু কোন অডিও কল রেকর্ড ভিডিও নাই তাই ওই সেই ৭১ এর রেকর্ড বাজাতে শুরু করল। এই ভাঙা রেকর্ড অবশ্য কেউ কেউ কানে তুলল বিশেষ করে নিজেকে সুশীল প্রমাণ করতে সচেষ্ট একদল তরুণ এবং মিডিয়াকর্মী এই প্রচেষ্টায় অংশ নিলো।

কিন্তু এখন ঘটনা ঘুরতে শুরু করেছে অন্যদিকে। জামাত-কে আর প্রধান বিরোধী দল নয় বরং সরকারি দল হিসেবে দেখতে চায় জনগণ।

আচ্ছা বিএনপি তো জানে তাদের জনসমর্থন আছে তাহলে তারা কেন আবার সেই ভারতের মেকানিজমে প্রবেশ করলো, ফাঁদে পা দিল?

মাহমুদুর রহমানের আজীবন প্রাণান্তকর চেষ্টা ছিল বিএনপিকে ভারতের ফাঁদ থেকে বাঁচানো এবং বাংলাদেশের জনগণের ওপর আস্থা রাখার জন্য। খোদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পর্যন্ত তিনি নসিহত করেছেন। কেন বিএনপি বারবার ক্ষমতায় আসার জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করবে? কেন তারা জনগণের উপর আস্থা রাখতে চায় না?

কারণ বিএনপি'র একটি বড় অংশ শীর্ষ নেতৃত্বের বড় অংশই ভারতপন্থী।

বিএনপি'র এই ভারতপন্থী অংশ ভারতপন্থী আওয়ামী লীগের তুলনায় কম হিংস্র নয়। আওয়ামী লীগে ভারতপন্থীদের দুইটা গ্রুপ ছিল, এক গ্রুপে ছিল পঞ্চপান্ডব, এই গ্রুপ এতটাই হিংস্র ছিল যে ভারতের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য তারা শেখ হাসিনাকেও কুরবানী দিতে প্রস্তুত। আরেকটা ভারতপন্থী গ্রুপ ছিল হাসিনা কেন্দ্রিক, তারা ভারতের জন্য নিজেদের শাড়ি শরীর এবং গোটা বাংলাদেশটাকে তুলে দিতে প্রস্তুত।

বাংলাদেশের পদ্মা সেতু ট্রানজিট রেলপথ সীমানা ইলিশ মাছ আইটি সেক্টর ব্যাংকিং খাত সবকিছু ভারত নির্ভর করে ভারতের স্বার্থসংশ্লিষ্ট করে সাজানো হয়েছে। আর ভারত তাদের সেই স্বার্থ রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগের পতনের পর বিএনপির উপর সওয়ার হয়েছে। বিএনপি'র এখন প্রতিটি কথাই রয়ের কথা আওয়ামী লীগের কথা, এতদিন আওয়ামী লীগ যা যা বলেছে, বিএনপি এখন থেকে ঠিক তাই তাই বলবে।

বিএনপির এখন প্রধান শত্রু ধর্ম, বিএনপি'র এখন প্রধান শত্রু ইসলাম, বিএনপি'র এখন প্রধান শত্রু জামাত ইসলাম, বিএনপি'র এখন প্রধান হাতিয়ার ১৯৭১ বিএনপির এখন প্রধান সম্পদ সংবিধান বিএনপির এখন প্রধান সম্পদ রাষ্ট্রপতি বিএনপির এখন প্রধান টার্গেট নির্বাচন।

জনগণ যে স্বপ্ন নিয়ে ৫ ই আগস্ট বাংলাদেশকে ভারতীয় তাঁবেদার মুক্ত করেছে সেই তাঁবেদারি আবার বাংলাদেশকে ঘিরে ধরে রেখেছে।

এই মুহূর্তে উচিত এমন কিছু সংস্কার হয় যাতে এমনভাবে পুরো পরিস্থিতি বদলে যায় যাতে বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো, বিচার বিভাগ, আইন আদালত, পুলিশ প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, সংসদ ব্যবস্থাকে আর কেউ কোন ভিনদেশী রাষ্ট্র চাইলেও নিজেদের মতো করে পরিচালনা করতে না পারে।

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে কোন অবস্থাতেই ভারতীয় তাঁবেদাররা সুবিধা করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:০০
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×