♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)

(ছবি নেট হতে)
তো গাইজ, কেমন আছেন? কি অবস্থা সবার? জ্ঞাত আছেন যে, আমি এখন আর এ পাড়ায় খুব একটা আসি না। ইচ্ছে থাকলেও সেভাবে চেষ্টা নেই। কেনো নেই সেসব নিয়ে আর কাসুন্দি ঘাটতে চাই না। তো যা বলছিলাম,
আজও একটু উঁকি দিয়েছিলাম চলে যাবো বলেই। কিন্তু হঠাৎ বড় ভাইয়ের পোস্ট চোখে পরায় এবং শিরোনামে চোখ আটকে যাওয়ায় একটু চেখে দেখার ইচ্ছে হলো। আর এটাই ছিলো আজ ঘুম হতে উঠে করা প্রথম ভুল। সারাক্ষণ ঘুমিয়ে যে এনার্জি অর্জন করেছিলাম তা নিমেষেই বলি হলো। এখন মাথা ঘুরছে। একেই বলে “ধান ভানতে শিবের গীত”!
যদিও প্রথমে চোখ আটকে গেলো 'আখলাকুল মকলুকাত’ লিখাতে, পরে বুঝলাম এটা টাইপো, মূলত শব্দটি “আশরাফুল মাখলুকাত”। তবে এটা আমার আলোচ্য বিষয় নয়। মূল বিষয় হচ্ছে, আমি কি পড়তে গেলাম? কেন পড়তে গেলাম? আমার মতো নাদান পাঠকরে এমন চটকদার শিরোনাম দিয়া পোস্টে আকর্ষণ করাইয়া, মানুষের শিরা-উপশিরা দিয়া প্যাঁচ খাওয়াইয়া, বন-জঙ্গলসহ সাত সমুদ্দুর তেরো নদী ঘুরাইয়া, মহাকাশে ছুড়িয়া মারিয়া, গ্রহ গ্রহান্তর করাইয়া, দুনিয়ার তাবৎ থিউরি গুলাইয়া খাওয়াইয়া, ডিএনএ-ডুয়েনে সব টেস্ট-ফেস্ট করাইয়া শেষে “আপনার চিকিৎসা আমার কম্ম নয়” বলিয়া ছাড়িয়া দেওয়ার মতো এহেন কার্য সংঘটনের হেতু কি? বিষয়টা উপাদেয় খাবার পরম মমতায় মুখে পুড়িয়া, দন্ত দ্বারা পিষ্ট করিয়া, পেটের ভেতরের সকল নাড়ি-ভুঁড়ি ভ্রমণ করাইয়া পশ্চাৎ দিয়া ছুড়িয়া ফেলিবার মতো হইয়া গেলো না? কেন আমার মতো এমন নাদান পাঠকের উপর ব্লগিং-এর নামে এরূপ মানসিক নির্যাতন পরিচালিত হইবে? তদন্ত সাপেক্ষে আমি ইহার সুষ্ঠ বিচার চাই! নয়তো আমি স্বাধীনতাকামী ভাইদের রাজুতে ডাকতে বাধিত হইবো!!!
পুনশ্চঃ বড় ভাই, কানেকানে এবার আসল কথা কই। আসলে আমি আপনার পুরা পোস্ট পড়িই নাই। পড়তে যাইয়া যখন দেখলাম দাঁত ভাঙ্গা সব শব্দ আর থিউরি তখন স্ক্রল করতে লাগলাম সারকথা কই? কিন্তু যতোই স্ক্রল করি, দেখি শক্ত-শক্ত কথা-বার্তা বাড়া ছাড়া কমে না!!! তখনই বুঝলাম, এই লিখা আমার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যেই দেশে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুকলেই দেখা যায়, “আমরা অমুক স্থানের মানুষ, অমুকরে কই তমুক”। সেখানে আপনার এমন শ্রমসাধ্য, জ্ঞাণগর্ভ আর তাৎপর্যপূর্ণ লেখার মূল্যায়ণ হাতে গুণা কয়জন করতে পারবে। বাদ বাকি পুরাটাই উলুবনে মুক্ত ছড়ানো। তাই আর দেরি না কইরা মন্তব্যের ঘরে গেলাম। যদি অমূল্য রতন কিছু পাই! কঠিন লিখার সারমর্ম পাওয়ার এইডা কিন্তু একটা অপ্রতিরোধ্য উপায়।
কুতুব সাহেবের “পড়লাম” টাইপ মন্তব্যে মনে একটু সাহস পাইলাম, যাক আমার ধারণা ততোটা অমূলক না। তারপর গেনারসুনের মন্তব্যতো আমার জন্যে পোয়া বারো! এইনা আমার সোনার বাংলা! তবে আপনার প্রতিউত্তরের ধৈর্য্য প্রশংসনীয়। পরে সদাপূজনীয় জুল ভার্ন ভাইয়ের তেলবিহীণ সত্য মন্তব্য মনকে আন্দোলিত করিলো। পাঠকের এমন সত্য প্রতিক্রিয়াই লেখকের পাথেয়। না পড়ে তেলবাজির চাইতে সত্য বলার সৎ সাহস থাকা অতি জরুরী। তারপর ১৮ নম্বর *মালের মন্তব্য পড়ে হাসলাম। আবারো উলুবনের কথা মাথায় আসলো। তবে এবারো আপনার প্রতিউত্তরের প্রশংসা করতেই হয়। তবে দফাদার সাহেবের মন্তব্যে নিজের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পেলাম। এদিকে সুলায়মান হোসেন, আর সুজন ভাইয়ের মন্তব্য আমার কাছে “পড়লাম” টাইপেরই মনে হলো বলে দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে আশাজাগানিয়া জিএস ভাইয়ের মন্তব্য আমায় আশাহত করলো। ভেবেছিলাম অমূল্য রতন তথা সারমর্ম এবার হয়তো পাবো। কিন্তু…. তবে কিরকুটের মন্তব্যের অগ্রগতি দেখার মতো, যদিও ধারণা করি ইহা পরিচিত কারো প্রক্সি! তবে এরপরের মন্তব্য পড়ে “তুলকালাম” সিনেমার ২:১৯ মিনিটের নিচের সিনটা চোখে ভেসে উঠলো। নিচে দিচ্ছি, চাইলে দেখতে পারেন।
না, অনেক প্রলাপ বকলাম। এবার আপনাকে একটা হোমওয়ার্ক দিয়ে বিদায় নিচ্ছি।
বলেনতো,
*এই প্ল্যাটফর্মে কতোজন মনযোগ দিয়ে আপনার ঐ লিখা পড়েছেন?
*যারা পড়েছেন তার কতো % সব থিউরি-মিউরি বুঝতে পেরেছেন?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




