somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেলা শেষের গান

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হোটেলটা সত্যিই খুব সুন্দর । গতকাল রাতে উঠেছি তাই ভাল করে খেয়াল করা হয়নি । খুবই সাজানো, গোছানো এবং পরিচ্ছন্ন । ঘুম থেকে উঠে রুম সার্ভিস কল করে, চায়ের অর্ডার দিয়ে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াতেই কয়েকদিনের খারাপ মনটা ভাল হয়ে গেল । আমার ঘরের কাছে এত সুন্দর একটা জায়গা আছে অথচ আমি জানতামই না কখনো । অহেতুক বিদেশ – টিদেশ ঘুরে বেরিয়েছি । অবশ্য মনীষার কখনোই এসব পছন্দ ছিল না । সে সবসময় দেশের ভিতরেই ঘুরতে চাইতো । প্রতিবার আমি যখন বিদেশে যাওয়ার জন্য প্লেনের টিকেট কাটতাম, ও আহত চোখে তাকিয়ে থাকত, “আবার বিদেশ ?”
মনীষার সাথে আমার ডিভোর্সের সিদ্ধান্তটাও বিদেশের মাটিতেই । না, আমাদের সম্পর্কটা টেকেনি । ‘সম্পর্কটা টেকেনি’ বা ‘সম্পর্কটা টেকানো যায়নি’ এই জাতীয় কথাবার্তার মধ্যে এক ধরনের হেঁয়ালি-পনা কাজ করে । সাধারণত ডিভোর্সের পর মানুষ এই ধরনের ডায়ালগ দিতে খুব পছন্দ করে । তাতে আসলে মূল বিষয়টা উঠে আসে না । জীবনের এই পড়ন্ত বিকেলে এসে বন্ধুবান্ধবদের কাছে ব্যাপারটা নিয়ে আমি লুকোছাপা করিনি ।
সম্পর্কটা আসলে আমার কারণেই টেকেনি । মনীষাকে আমি ধরে রাখতে পারিনি । দাম্পত্য সম্পর্কটা আসলে দুই জনেরই ধরে রাখার বিষয় । আর এই ধরে রাখার ব্যাপারটার মধ্যে যে একটা আর্ট আছে, এটাই আসলে আমি বুঝিনি অনেকদিন । যতদিনে বুঝলাম ততদিনে অনেক দেরী হয়ে গেছে ।
দরজায় রুম সার্ভিসের নক পড়ল । চা নিয়ে এসেছে । এদের সিস্টেমটাই অন্যরকম । ফুল সব হোটেলেই দেয় । কিন্তু অর্কিডের এতো দুর্লভ কালেকশন দেশের মধ্যে কোন হোটেলে দেখতে পাব কল্পনা করিনি । মনটা অসম্ভব রকমের ভালো হল । সমুদ্রটা একদম কাছে । গর্জন শুনতে পাচ্ছি । আয়েশ করে চোখ বন্ধ রেখে যেই না শুনতে গেলাম ততক্ষণে গর্জন উধাও, তার বদলে ব্যাকগ্রাউন্ডে মনীষা খিল খিল করে হাসছে । সেই দুই বেণী ….সাদা শাড়ি লাল পাড়…. ।
বিশ বছর একটা মানুষের জীবনের অনেকটা সময় । কলমের খোঁচার বদৌলতে আজ এতগুলো বছর ধরে মনীষা আর আমার ছাদ আলাদা । কিন্তু আমার মনের ঘরে সে তো এখনও দৌর্দন্ড প্রতাপে ঘুরে বেড়ায়, শত নিষেধ স্বত্বেও । কোন অধিকারে জানিনা । কোনও আদালতের রায় তো তাকে আজও থামাতে পারেনি, পারবেও না ।

বিকেলে রিসেপশনে চাবি দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম । সন্ধ্যার পাগল পাগল হাওয়া সূর্যাস্তের সুন্দর মুহূর্তটাকে জমিয়ে দিচ্ছে । কি ভেবে সমুদ্র সৈকত ধরে হাঁটা দিলাম । যতদূর যাওয়া যায় । আপন মনে হাঁটছিলাম, হঠাৎ মনে হল কেউ যেন আমায় ডাকছে । ঠিক নাম ধরে নয়, “এই যে শুনছেন” জাতীয় ডাক । মনের ভুল নয়তো ? পেছনে ফিরে তাকাতেই দেখি একজন ভদ্রলোক একটা মোবাইল হাতে নিয়ে রীতিমতো দৌড়ে আসছেন । অগত্যা আমি থামলাম । উনি কাছে এসে মোবাইলটা এগিয়ে দিতেই চমকে উঠলাম । আরে এটা তো দেখি আমার মোবাইল ! মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল,
“সেকি আমার মোবাইল আপনি কোথায় পেলেন ?”
“দাঁড়ান বলছি ।” ভদ্রলোক হাঁপাচ্ছেন । প্রতিদিন সকালে মর্নিং ওয়াকের বদৌলতে আমার হাঁটার স্পীড মোটামুটি ঈর্ষনীয় পর্যায়ের । ভদ্রলোক কতক্ষণ যাবত আমার পেছনে দৌড়চ্ছেন কে জানে !
“দেখলাম, পকেট থেকে হাত বের করতে গিয়ে আপনার মোবাইলটা পড়ে গেল । অনেকক্ষণ ধরেই ডাকছি । শেষ কবে দৌড়েছি, ভুলে গেছি মশাই । আপনার সুবাদে অনেকদিন বাদে সেটারও প্র্যাকটিস হল ।”
এবার আমার লজ্জিত হওয়ার পালা । জিভ কেটে বললাম, “সরি, একদম শুনতে পাইনি । আগে শুনতে পেলে আপনাকে এতটা পথ দৌড়াতে হতোনা । কি দিয়ে যে আপনাকে ধন্যবাদ দিই ।”
ভদ্রলোক এবার সমুদ্রের দিকে মুখ করে হাসতে হাসতে আমার দিকে তাকালেন,”না না এত লজ্জিত হবার কিছু নেই । দৌড়াতে খারাপ লাগেনি । আসলে বয়স, অভ্যাস কোনটিই আর নেই তো । এই কারণে হাঁপিয়ে গেছি, আর কিছু না ।”
হ্যান্ডশেকের ভঙ্গীতে হাতটা বাড়িয়ে দিলাম, “আমি রেজাউল করিম রেজা ।”
ভদ্রলোকও হাত বাড়ালেন, “আমি হামিদুর রহমান । পরিচয় তো হল, চলুন এবার কোথাও বসে একটু চা – টা খাই । যদি আপনার কোন আপত্তি না থাকে ।”
আমার লজ্জার রেশ তখনও কাটেনি । এতটা উপকার যিনি যেচে এসে করলেন, তাকে অন্ততপক্ষে এক কাপ চা তো খাওয়ানোই উচিত । তবে সূর্যাস্তের এই সুন্দর মুহূর্তটার নিয়ন্ত্রণ আরেকজনের হাতে চলে গেল বলে মনটা অবশ্য একটু খারাপও হল ।
আমরা সমুদ্রের ধারেই একটা রেস্টুরেন্টে বসলাম । রহমান সাহেব আমার সমবয়সীই হবেন বোধহয় । তবে আমার সাথে তফাত এটাই যে বয়স অনুপাতে ওনার চুলগুলো এখনও যথেষ্ট কাঁচা ।
“কোথায় উঠেছেন ?” রহমান সাহেবের ডাকে আমার ভাবনায় ছেদ পড়ল ।
“হোটেল কিয়ানা, আপনি ?”
“আমিও ওটাতেই ।”
এখানে হোটেল এবং মোটেলের কোন অভাব নেই । কিন্তু কাকতালীয় ভাবে দুজন একই হোটেলের অতিথি, বিষয়টা অবাক হওয়ার মতো হলেও ভদ্রলোক অবাক হলেন না । মনে হয় তিনি সহজে অবাক হন না । অথবা জীবনটাকে সহজেই সহজভাবে নেন, কি জানি । এই পৃথিবীতে কত বিচিত্র মানুষই যে আছে । বিচিত্র তাদের চিন্তাভাবনা, বিচিত্র তাদের মতবাদ ।
চা চলে এসেছে । রহমান সাহেব চা খেয়ে সিগারেট ধরালেন । তারপর আমার দিকে আচমকা প্রশ্ন ছুঁড়লেন, “একা এসেছেন, না ফ্যামিলিসহ ?”
ফ্যামিলির প্রসঙ্গটা কেন যেন চলেই আসে । বিনা নোটিশে আসা এই প্রসঙ্গটা এড়াতে ব্যক্তি ভেদে আমি কৌশল পাল্টাই । তবে সবসময় যে শেষ রক্ষা হয় তা কিন্তু না । নাছোড়বান্দা গোছের কেউ কেউ যন্ত্রণার শেষ সীমা দেখিয়ে তবে ছাড়েন । বুঝিনা এই প্রসঙ্গটা এত জরুরী কেন ? একা একজন মানুষ সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসতে পারেনা ?
“না একাই এসেছি ।”
“কেন স্ত্রী, ছেলে মেয়ে ?” বুঝলাম ভদ্রলোক আমার নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকেই ছাড়বেন ।
“আমার স্ত্রী নেই ।”
“সরি ।”
যাক বাবা, বাঁচা গেল । উনি বোধহয় ‘মারা গেছে’, ধরে নিলেন । তাও ভালো ।
কিন্তু প্রশ্নের তীর ছোঁড়া একেবারে বন্ধ হয়ে গেল না ।
“আচ্ছা এখন তো ঠিক বেড়ানোর সিজন না । হঠাৎ এই আগস্টের গরমে সমুদ্র সৈকত কেন মশাই ?”
“বিষয়টা কি আপনার জন্য ও প্রযোজ্য নয় ?”
বলা শেষ করতে পারিনি, ভদ্রলোক হো হো করে হেসে উঠলেন, “যাক ডিফেন্স ছেড়ে এবার অ্যাটাকিং ফিল্ডে এসেছেন, ভালো । আমি ছোটখাটো একটা চাকরী করি । তাই বিদেশ – টিদেশ ঘুরে বেড়ানোর সামর্থ্য নেই । বছরে দুয়েক বার স্ত্রীকে নিয়ে দেশের ভিতরেই এদিক – ওদিক বেড়াই । বাই দি বাই, আপনার প্রফেশনটা তো জানা হল না ।”
অচেনা জায়গায়, অজানা মানুষের জন্য এই প্রসঙ্গটাও ঠিক আমার পছন্দসই না । তবুও উত্তর দিতে হয় বলেই দিলাম, “রিয়েল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ এর নাম শুনেছেন বোধহয় ।”
“কি বলছেন, ওটার নাম কে না জানে ।”
“আমি ওটার এম. ডি ।”
আমার ধারনাটা ভুল ছিল । ভদ্রলোক আসলে অবাক হতে জানেন । মুহূর্তে তার বদলে যাওয়া অভিব্যক্তিই সেটা প্রমাণ করল । রহমান সাহেব কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে অবশেষে মুখ খুললেন, “সরি, কিছু মনে না করলে একটা কথা জিজ্ঞেস করব ?”
“অফকোর্স, বলুন ।”
“আপনার মতো একজন ধনী ব্যক্তি সাধারণ মানের একটা থ্রি স্টার হোটেলে উঠেছেন । আপনি চাইলে তো …… ।”
“বুঝতে পেরেছি আপনি কি বলতে চাইছেন । ইনানী আর সেন্ট মার্টিনে আমার বাংলো আছে । যাইনি ইচ্ছে করে । একটু সাধারণভাবে সময়টা কাটাতে ইচ্ছে হল, বলতে পারেন ।”
“ভাগ্যিস ইচ্ছেটা হল, তা না হলে আপনার মতো একজন মানুষের সাথে কথা তো দূরে থাক, চোখে দেখার সৌভাগ্যও বোধকরি হতোনা ।”
“ছিঃ ছিঃ এভাবে বলবেন না প্লিজ । আপনার সাথে কথা বলে আমার সত্যিই খুব ভালো লেগেছে ।”
ঘড়ির দিকে তাকালাম । ৭টা । সূর্য অনেক আগেই ডুবে গেছে । সৈকতে কোলাহল এখন অনেকটাই কম । রহমান সাহেবও উসখুস করছেন, উঠতে চাইছেন মনে হয় ।
“কিছু মনে না করলে আজ উঠি, কি বলেন ?” হোটেলে স্ত্রীকে ফেলে এসেছি ……. ।”
“সে কি ওনাকে আবার রুমে রেখে এলেন কেন ?”
“বেরোবার মুখে হঠাৎ বলল, ‘অসুস্থ লাগছে’ । তাই রেখে এলাম ।”
“অসুস্থ স্ত্রীকে একা ফেলে আসাটা মনে হয় ঠিক হয়নি ।” রহমান সাহেব কথাটা শুনে হঠাৎ করেই হেসে উঠলেন, “কতদিন আছেন ?”
“আছি ৪ – ৫ দিন । বেশিদিন থাকার তো উপায় নেই ।”
“হ্যাঁ অবশ্যই, ব্যস্ত মানুষ আপনি । আমিও ঐ কদিনই আছি । রেজা সাহেব, আমি একটু ওষুধের দোকান খুঁজতে যাব । একটা ওষুধ কিনতে হবে । একই হোটেলে আছেন যখন দেখা হবে নিশ্চয়ই । আসি ।”
রহমান সাহেব দ্রুত হাঁটা দিলেন । আমিও অগত্যা হোটেলে ফিরে এলাম ।

রাতে খাবার খেয়ে ব্যলকনিতে হাঁটা আমার বহুদিনের অভ্যাস । সমুদ্র এখান থেকে ভালোই দেখা যাচ্ছে । প্রচণ্ড শব্দে ঢেউগুলো তীরে আছড়ে আছড়ে পড়ছে । হঠাৎ মনে হল দরজায় নক হচ্ছে । রুম সার্ভিস এলো বোধহয় । দরজা খুলে তো আমি হতবাক । রহমান সাহেব । উনি আমার ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া চেহারা দেখে মিটিমিটি হাসছেন,
“কেমন সারপ্রাইজ দিলাম, বলুন তো ?”
“দারুণ, পুরোপুরি বোকা বানিয়ে দিয়েছেন একেবারে । ভিতরে আসুন ।”
ভদ্রলোককে শুরুতে যেরকম বিরক্তিকর মনে হচ্ছিল, এখন আর সেরকম লাগছে না । বেশ মাই ডিয়ার লোক মনে হচ্ছে । ব্যলকনির পর্দাটা সরিয়ে দিয়ে বললাম, “চলুন ব্যলকনিতে বসে কথা বলি । চা – কফি কিছু খাবেন ? অর্ডার দেব ?”
“না, না, ডিনারের পর আমার ওসব কিছু খাওয়ার অভ্যাস নেই । তবে একটা সিগারেট খেতে পারি ।”
রহমান সাহেব বোধহয় চেইন স্মোকার । ওনার সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে ঐ একটা জিনিসই খুব মনযোগসহকারে এবং অনেকবার খেতে দেখলাম । আমি অ্যাশট্রেটা টেবিলে রাখতে রাখতে বললাম,
“আপনার স্ত্রীর শরীর এখন ভাল ?”
ভদ্রলোক কথাটা শুনে মনে হল একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন । তারপর আমার দিকে গভীর দৃষ্টি নিয়ে তাকালেন, “ওর শরীর আর কখনো ভাল হবেনা ।” আমি চমকে উঠলাম, “তার মানে ?”
রহমান সাহেব আরেকটা সিগারেট চেয়ে নিলেন । ওঁর ধূসর দৃষ্টিতে দূরের লাইটহাউজের বার্তাগুলো ক্রমাগত খেলা করে যাচ্ছে । ঐ উজ্জ্বল আলোতে আমি অজান্তেই যেন ভদ্রলোকের মনের অনেকটুকু পড়ে ফেললাম ।
“মাত্র তিনমাসের অতিথিকে নিয়ে এটাই আমার জীবনের শেষ সফর ।” আমি একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে রইলাম কথাটা শুনে । রহমান সাহেবের চোখের কোনাটুকু ততক্ষণে লাইটহাউজের আলোয় চিকচিক করছে । আমার দিকে তাকিয়ে সিগারেটটা অ্যাশট্রেতে গুঁজতে গুঁজতে বলে উঠলেন, “আপনার কাছে আমার প্রশ্ন ছিল, আগস্টের এই গরমে আপনি সমুদ্রসৈকতে কেন ? আপনি বলেছিলেন সেটা আপনারও আমার কাছে প্রশ্ন, মনে আছে ?”
“হুমম্, মনে আছে …… ।”
রহমান সাহেব চোখটা মুছে নিয়ে বললেন, ‘প্রতিবছর ১১ই আগস্টটা আমরা সমুদ্র সৈকতে কাটাই । ঐ দিনটা আমার স্ত্রীর জন্মদিন, এই জন্য ।”
আমার পৃথিবী কি ক্রমশ: স্তব্ধ হয়ে আসছে ? রীতিমত ভয় হচ্ছে ঝড় শুরু হবে কিনা এই ভেবে । যা ভেবেছি তাই । ঝড় শুরু হয়ে গেছে । কিসের আলামত বুঝতে পারছি না । মট্ মট্ শব্দে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে মনের সব কপাটগুলো । দু’হাতে আগলাতে পারছি না । দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি আমি ।
রহমান সাহেব হঠাৎ আমার হাতদুটো ধরলেন, “আজ রাত বারটায় আমার রুমে চলে আসবেন প্লিজ । একটা কেক কাটা হবে শুধু । আমরা তিনজনই থাকব । আর কেউ না । আসবেন তো ?”
কিছু একটা বলতে হয় তাই বললাম, “আমি আসলে আপনি খুশি হবেন ?”
“আমরা দু’জনেই খুশি হব । আমি ওকে আপনার কথা বলেছি । আসবেন প্লিজ । আমার রুম নাম্বার ১১০ ।”
মনের ভাঙ্গা কপাটগুলো কোনরকমে জোড়া লাগিয়ে রাত ১২ টায় ১১০ নাম্বার রুমে নক করলাম । দরজা খুলে গেল । সামনে হুইলচেয়ারে বসা এক বিধ্বস্ত মানবী । তার পায়ের কাছে পড়ে থাকা দৃষ্টিটা একমুহূর্তের জন্য আমার চোখের গভীরে এসে স্থির হল । বিশটা বছর আমার মনের দুয়ার দাপিয়ে বেড়ানো সেই চোখদুটো, যার জন্য শত কাজের মধ্যেও এতগুলো বছরের ১১ই আগস্টগুলোকে পরম মমতায় আজও আগলে রেখেছি ।
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পথ হারিয়ে-খুঁজে ফিরি

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৩


মনটা ভালো নেই। কার সাথে কথা বলবো বুঝে পাচ্ছি না। বন্ধু সার্কেল কেও বিদেশে আবার কেও বা চাকুরির সুবাদে অনেক দুরে। ছাত্র থাকা কালে মন খারাপ বা সমস্যায় পড়লে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×