মর্নিং শিফটের ছাত্রীদের ছুটির সময় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ডে শিফটের ছাত্ররা গেটের বাইরে দাড়িয়ে গান গায়-
"আহালো করিয়া, বাজাওরে দোতারা, সুন্দরী কমলা নাচে... কু কু"।
ছাত্রীরাও মুচকি হেসে নিজেকে কমলা সুন্দরী মনে করে পেছন ফিরে বারবার তাকায়।
...... সেই কিশোর ছেলেগুলোকেই আবার দেখা যায়- এলাকার চায়ের দোকানে বসেই নতুন টাকার নোট মুড়িয়ে ইয়াবা খাওয়ার পাইপ বানাচ্ছে। খোজ নিয়ে জানলাম শুধু বখাটেরাই না, এদের মধ্যে মেধাবীরাও আছে। কৌশোর কাল হতে মানসিক বিকৃতি ঘটছে আমাদের। বাস্তবতা বিবর্জিত মানসিকতা। গত করেক বছরে মাদকের ভয়াল গ্রাসে জাতির মেধা বিপন্ন প্রায়। তাই আমাদের ব্রেইন ওয়াশ করা খুব সহজ ব্যপার। প্রশাসন যেন ইচ্ছে করেই মাদক সহজলভ্য করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমগ্র দেশে ছড়িয়ে দিয়ে জাতিকে ঘোরের মাঝে বন্দী রাখতে চায়।
টার্গেট- "পিনিকে থাক। চেতনাই জীবন, চেতনাই মরন।
......
গতকাল পুত হয়ে যাওয়া বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী নাজিমুদ্দিন সামাদের ব্যপারে বিবৃতি দিয়েছে এমেরিকা। তারা সন্ত্রাসবাদের ব্যপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বাংলাদেশকে।
...... শুনেছি সামাদের খুনিরা কোপানির সময় আল্লাহু আকবার বলে কুপিয়েছিল। তাই এটা সন্ত্রাসবাদ। বাংলাদেশ প্রতিদিন এই ব্যাপারে খুব সুন্দর কিছু প্রতিবেদন দিয়েছে।
(মনে করি, ছাত্রলীগের নেতারাও যদি দলীয় কোন্দলে "আল্লাহু আকবার" বলে কোপাইয়া মারে, দোষটা "আল্লাহু আকবার" এর ঘাড়েই পরে। খুনীরা হয়ে যায় লাপাত্তা। প্রশাসন তৎপর হয়ে বলে- "আইন শৃঙ্খলার ব্যপক উন্নতি হয়েছে। খুনীরা ধরা পড়বেই"। তারপর দু'চারটা দাড়িওয়ালা ধরে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো হয় সযতনে।)
.......
বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতে ছ'জন নিহত হওয়াটা সন্ত্রাসবাদ ছিলনা। তাই ব্যপারটা আমেরিকার দৃষ্টিতে আসে নাই। কারন-
"পুলিশ বাহিনী গুলি চালানোর সময় "আল্লাহু আকবার" বলে নাই।
.......
কিচ্ছু করার নাই। জাতির অধিকাংশই আজ পিনিকে আসক্ত। বাস্তব জ্ঞানহীন। এদের চোখে ধুলি দেয়া সহজতর।
.....
দেশময় আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ুক মাদকের থাবা। অকেজো জাতি গড়ে তোলার এটাই উৎকৃষ্ট পন্থা।
তবে- কাউকে খুন করে, কোন মায়ের বুক খালি করে, বহির্বিশ্বের কাছে মাতৃভূমিকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণে মরিয়া কারা?
......
সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালার নাম নিয়ে ড্রামা করার পরিনাম ভয়াবহ। এটা ঘোরের মধ্যে থাকা তারা বুঝবেনা।
.......
সংগ্রহ from Fb