somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সিগারেট খাচ্ছেন ??? তাহলে জেনে নিন কী খাচ্ছেন ! পর্ব-১

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকেই সিগারেটে চরমভাবে আসক্ত। সিগারেট ছাড়া থাকতেই পারেন না। কিন্তু আপনি কী জানেন যে আপনি কী খাচ্ছেন ? হয়তো বা বলবেন আমার সিগারেট খাওয়া নিয়ে আপনার মাথা ব্যাথা কেন ? তাহলে এই পোস্টটি পড়ুন। আমি নিশ্চিত যে সিগারেটখোর মানুষদের হার্ট চমকে যাবে এ পোষ্টটি পড়লে।


আসুন প্রথমে দেখি সিগারেটে কী কী রাসায়নিক উপাদান আছেঃ
১.ক্যাডমিয়াম
২.স্টেরিক এসিড
৩.হেক্সামিন
৪.টলুইন
৫.নিকোটিন
৬.অ্যামোনিয়া
৭.রঙ
৮.মিথানল
৯.কার্বন মনোক্সাইড
১০.আর্সেনিক
১১.মিথেন
১২.এসিটিক এসিড
১৩.বুটেন

এই তেরোটি রাসায়নিক উপাদান বিশিষ্ট দ্রব্য হলো সিগারেট। এবার চলুন দেখি এই তেরোটি দ্রব্য কী কী কাজে ব্যাবহৃত হয়।

১.ক্যাডমিয়ামঃ ক্যাডমিয়াম হলো ব্যাটারীতে ব্যাবহৃত উপাদান। এটি একটি ধাতু এবং মানব শরীরের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর।

২.স্টেরিক এসিডঃ মোমবাতির রাসায়নিক উপাদান যখন বাতাসের অক্সিজেন এর সাথে বিক্রিয়া করে দাহন কার্য সম্পন্ন করে, অর্থাৎ সলতে তে আগুন দেওয়ার পর মোমবাতি যখন জ্বলে তখন উচ্ছিষ্ট হিসেবে এই এসিড তৈরি হয়। এই এসিড এ কার্বনের মাত্রা প্রচুর।

৩.হেক্সামিনঃ এটি একটি দাহ্য পদার্থ যা আগুন জ্বালাতে সাহায্য করে।

৪.টলুইনঃ টলুইন একটি হাইড্রোকার্বন অর্থাৎ জ্বালানি গ্যাস। তবে টলুইনের ব্যাবহার ব্যাপক এটি রঙ এ, ছাপার কালিতে, আঠা তৈরিতে, সিমেন্ট রঙ করতে, পারমানবিক চুল্লিতে ব্যাবহার হয়। এটি হয়তোবা আপনার ফুসফুসের ভিতরে একটি রঙিন আস্তরন বসিইয়ে দিবে।

৫.নিকোটিনঃ সিগারেটের ক্ষতিকারক দ্রব্যগুলোর মধ্য সবচেয়ে পরিচিত হচ্ছে এই নিকোটিন। কখনো পোকা মারার স্প্রে দেখেছেন ??? সেই স্প্রে তৈরিতে ব্যাবহৃত হয় এই নিকোটিন। মানব দেহকে একই ভাবে নিস্ক্রিয় করতে এই বিষাক্ত পদার্থ সমান ভাবে কার্যকর।

৬.অ্যামোনিয়াঃ ডাষ্টবিনের পাশে হেটে গেলে যেই দুর্গন্ধ হয় তা এই অ্যামোনিয়ার জন্য। হারপিক বা এই জাতীয় টয়লেট ক্লিনার তৈরির মূল উপাদান গুলোর একটি হচ্ছে এই অ্যামোনিয়া।

৭.রঙঃ রঙ সম্পর্কে তেমন কিছু বলার নেই। সিগারেটের ফিল্টারে যেই রঙ থাকে তা মুখে দেওয়ার জন্য অনুপোযোগী কিন্তু সিগারেট খেতে হলে তা মুখে নিতেই হয়।

৮.মিথানলঃ রকেট চালানোর জন্য যেই জ্বালানি ব্যাবহৃত হয় তা হলো এই মিথানল।

৯.কার্বন মনোক্সাইডঃ কার্বন মনোক্সাইড নামটা অচেনা থাকার কথা নয়। আমি এটাকে সরাসরি বিষ বলেই আখ্যায়িত করব। কারন, কার্বন মনোক্সাইডের বিক্রিয়া নিয়ে আপনারা নিশ্চয়ই জেনেই থাকবেন।

১০.আর্সেনিকঃ এটি একটি বহুল পরিচিত নাম। এর ক্ষতি সম্পর্কে সকলেই জানেন নিশ্চয়ই।

১১.মিথেনঃ বাড়িতে গ্যাসের চুলায় যেই গ্যাসটি দিয়ে আপনি রান্না করছেন সেই গ্যাসটি হচ্ছে এই মিথেন। বহুল ব্যাবহৃত এই হাইড্রোকার্বন গ্যাসটি যে মানব শরীরের জন্য কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে তা তো জানেনই।

১২.এসিটিক এসিডঃ ভিনেগার দেখেছেন তো। একবার কাঁচা ভিনেগার খেয়ে দেখুন কেমন লাগে। এই বিদঘুটে স্বাদওয়ালা জিনিসটার মূল উপাদান হচ্ছে এই এসিটিক এসিড।

১৩.বুটেনঃ সিগারেট খেলে তো লাইটার জ্বালিয়ে থাকবেন। আর এই লাইটারে ব্যাবহৃত বুটেনটা কিন্তু আপনার ফুসফুসেই ঢুকছে।



মনে রাখবেনঃ রাসায়নিক দ্রব্য বলতেই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এমনকি ডাক্তারের দেয়া ঔষধও রাসায়নিক দ্রব্য। আমরা রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য ডাক্তারের প্রেসক্রাইব কৃত ঔষধ সেবন করে থাকি। কিন্তু ঔষধ সেবনে সামান্যতম ভুল হলে দেখা দেয় বিভিন্ন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই আমাদের উচিত রাসায়নিক দ্রব্য থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা।

এবার ভেবে দেখুন আপনি কী আর সিগারেট খাবেন ??? [Be Aware]
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৫৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×