জামা’আহ (জামা‘আতে স্বালাত) পরিত্যাগ করা এবং দেরিতে ঘুমানো ও সালাত না পাওয়া
দুর্ভাগ্যক্রমে, আপনি দেখবেন যে কিছু মুসলিমের সালাত ছুটে যায় এবং জামা’আহ পরিত্যাগ করে। নাবী (আল্লাহ তাঁর উপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন) বলেছেনঃ
“আমাদের এবং তাদের মধ্যে চুক্তি হল সালাত , যে তা পরিত্যাগ করবে সে কুফরী করল।”
[বর্ণিত হয়েছে আত-তিরমিযী হতে, (২৬২১);আন-নাসা’ঈ (৪৬৩) সাহীহ আত-তিরমিযী তে আল-আলবানী একে সাহীহ বলেছেন।]
এবং তিনি বলেছেন,
“মুনাফিক্বদের জন্য 'ইশা' এবং 'ফাজর' এর সালাত সবচেয়ে বোঝাস্বরূপ। তারা যদি জানত তার মধ্যে (কী কল্যান) আছে, তবে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে (সেই দুই সালাতে) উপস্থিত হত। আর আমি চিন্তা করেছিলাম যে স্বালাতের আদেশ করব আর তা কায়েম করা হবে এবং একজন লোককে আদেশ করব যে লোকদের নিয়ে (ইমাম হিসেবে) সালাত আদায় করবে, এরপর আমি আমার সাথে কিছু লোক নিয়ে যাবো যাদের সাথে কাঠের বোঝা থাকবে, সেই সমস্ত লোকদের কাছে যারা জামা‘আতের সালাতে উপস্থিত হয়নি , এরপর তাদের বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিব।” [মুসলিম থেকে বর্ণিতঃ ৬৫১]
৪- সালাতের স্থানে, রাস্তাঘাট কিংবা অন্য কোন স্থানে পুরুষদের সাথে নারীদের একত্রিত হওয়া আর ঐ সব জায়গায় পুরুষদের সাথে তাদের ভিড় জমানো
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- দুই শ্রেণীর জাহান্নামী এখনও আমি দেখিনি। (কারণ তারা এখন নেই, ভবিষ্যতে আত্মপ্রকাশ করবে) এক শ্রেণী হচ্ছে ঐ সকল মানুষ, যাদের হাতে ষাঁড়ের লেজের মতো চাবুক থাকবে, যা দিয়ে তারা মানুষকে প্রহার করবে।
আর দ্বিতীয় শ্রেণী হচ্ছে- ঐ সকল নারী, যারা হবে পোশাক পরিহিতা কিন্তু তারপরেও তারা থাকবে নগ্ন, তারা পর পুরুষকে আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও আকৃষ্ট হবে; তাদের মাথা হবে উটের হেলানো কুঁজের ন্যায়।
এরা জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং জান্নাতের সু-ঘ্রাণও পাবে না অথচ জান্নাতের সু-ঘ্রাণ তো এত এত দূর থেকে পাওয়া যাবে। (মুসলিম ২/২০৫, হাদীস: ২১২৮
৫- কিছু নারীদের সুগন্ধি ও সাজগোজ করে পর্দা ছেড়ে বের হওয়া
রাসুল (সাঃ) বলেছেন-“পুরুষেরা গন্ধ পাবে এমন উদ্দেশ্যে আতর বা সুগন্ধি মেখে কোন মহিলা যদি পুরুষদের মাঝে চলাফেরা করে তাহলে সে একজন যিনাকারী মহিলা হিসাবে গণ্য হবে” (আহমাদ ৪/৪১৮, ছহীহুল জামে হাদীছ ১০৫)।
এ প্রসঙ্গে রাসুল (সাঃ) আরো বলেছেন-
অর্থঃ “যে মহিলা গায়ে সুগন্ধি মেখে মাসজিদের দিকে বের হয় এ জন্য যে, তার শরীরের সুবাস বা ঘ্রাণ পাওয়া যাবে, তাহলে তার নামায ততক্ষণ পর্যন্ত গৃহীত হবে না যতক্ষণ না সে নাপাকী দূর করার জন্য ফরয গোসলের ন্যায় গোসল না করবে” (আহমাদ ২/৪৪৪, ছহীহুল জামে হাদীছ নং ২৭০৩)।
আবূ হুরাইরাহ (আল্লাহ তাঁর উপর সন্তুষ্ট হোন) থেকে বর্নিত যে তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ’র রাসূল (আল্লাহ তাঁর উপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন) বলেছেনঃ
নারীদের অভিবাবকদের অবশ্যই আল্লাহকে ভয় করা উচিত তাদের স্বার্থে যারা তাদের আশ্রয়ে আছে এবং আল্লাহ তাদেরকে রক্ষা করা এবং ভরণ-পোষণ করার জন্য যে দায়িত্ব ওয়াজিব করেছেন তা সম্পাদন করা।
সুতরাং, তাদের (নারীদের অভিভাবকদের) তাদের (নারীদের) উচিত তাদেরকে অবশ্যই সঠিক পথে পরিচালিত করা এবং তাই দেখানো যা তাদের এই দুনিয়া ও আখিরাতে পরিত্রাণ ও নিরাপত্তার পথে পরিচালিত করবে, তাদেরকে আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন তা থেকে দূরে রাখা এবং উৎসাহ যোগানো যাতে তারা আল্লাহ’র নিকটবর্তী হতে পারে।
৬- হারাম গান শোনা
বিস্তারিত জানতে এই লিংকটি দেখুনঃ
Click This Link
তাই একজন মুসলিমের আল্লাহকে ভয় করা উচিত এবং তার জানা উচিত তার উপর আল্লাহ’র যে নি‘আমাত (অনুগ্রহ) আছে তার জন্য তার শোকর করা কর্তব্য। এটা কখনোই নি‘আমাতের শোকর করা নয় যা একজন, মুসলিম তার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করবে যিনি তার উপর অসীম নি‘আমাত বর্ষণ করেছেন।
তাই আসুন আমরা এই ঈদকে যথাযথ ভাবে পালন করি। আল্লাহ্র সন্তুস্টি অর্জনের চেষ্টা করি। ঈদে আনন্দ করতে গিয়ে যে কোন রকম সীমা লঙ্ঘন, বাড়াবাড়ি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখব ইনশাল্লাহ। আল্লাহ্ অসন্তুষ্ট হন এমন কোন কাজ আমরা করব না। আমারা পরকালের হিসাবের ব্যাপারে সচেষ্ট হওয়ার চেষ্টা করি। আল্লাহ্ তৌফিক দিন। আমিন। ওয়ামা তৌফিক ইল্লাহ বিল্লাহ।