ছোট বৌমা ঘরে ঢুকে মৃদু উষ্মা নিয়ে বলল,
-কি হলো মা, আপনি এখনও শাড়ী কাপড় পরেন নি । গোসলও তো করেন নি দেখছি! দেরি হয়ে যাচ্ছে তো।
- আজ আমার কিছু ভালো লাগছে না বৌমা।শরীরটা ম্যাজ ম্যাজ করছে। তোমরা বেড়িয়ে এসো। আমাকে একটু একা ছেড়ে দাও, প্লিজ।
- কেন মা,যাবে না কেন?তুমি সাথে না থাকলে কি চলে? তোমার নাতি নাতনীরাও ঝামেলা বাঁধাবে কিন্তু তৈরি হয়ে নাও মা। চল আমাদের সাথে ,তোমার ভালো লাগবে।
বলল বড় ছেলে।
একটা দীর্ঘশ্বাস গোপন করলেন সুরাইয়া খানম।কি করে বোঝাবেন এদের। আজ বছরের বিশেষ একটা দিন। ঈদের খুশিতে সবাই ভুলেছে হয়তো, নয়তো এড়িয়ে গেছে । তিনিও ইচ্ছে করে মনে করিয়ে দেন নি কাউকে। এক সময় তার ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটবে হয়তো।এটাই নিয়ম।সময়ের সাথে সাথে স্মৃতি সব ফিকে হয়ে আসে। আবেগও কমে যায়।
দোতালা থেকে সুরাইয়া খানম এক পলক দেখলেন বাড়ির সবাই হৈ হৈ বেরিয়ে যাচ্ছে।ওদের চোখে মুখে দারুণ আনন্দ। সুরাইয়া খানম জোহরের নামাজ পড়ে কোরান শরীফ নিয়ে বসলেন।শওকত জামিলের মৃত্যু দিন আর ঈদ একসাথে পড়েছে এবার।......
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৫৮