এক
কলেজ করিডোরে ছেলে মেয়ে সকলের সাথে
অহর্নিশ কলহ বাঁধাই। কথাকাটাকাটি চলে প্রতি আড্ডাতে।
তারপরও যারা আমাকে হাসি মুখে, জড়িয়ে ধরে বলে,
বন্ধু, তুর কথা মনে পড়ে ভীষণ। ভালবাসি তাদের।
অকৃতিম, শত বছরের বাছই করা সে প্রেম।
ঝগড়া করে বাসায় যখন বই খুলি, নতুবা জানালা
খুলে জোছনার সাথে মিতালি গড়তে বসি,
তখন তাদের ফাজলামো মনে বসে হাতুড়ি পেটায়।
অশ্রুনীরে অনুশোচনা করি। পরদিন? নতুন কিছু নয়।
সেই পুরনো নীতি। আবারো ঝগড়া আর মন কালাকালি।
"কলহ - বাঁধানো " সুহৃদ খোঁজার মন্ত্র্র বলে।
দুই
আমি এক আশ্চর্য ফেরিওয়ালা, পাবেনা কোথাও এমন।
সুখ বেচি আমি দুখের দরে। কে নিবি আই ধারে।
মানুষের ঘরে ঘরে, অঞ্জলি ভরে খুশি দিয়ে,
ব্যাগ-টইটম্বুর দুঃখ নিয়ে ফিরি হাসি মুখে।
মুক্ত আকাশের নিচে এসে দাঁড়াই আঁখি বেঁধে।
সূর্যের আগুনে সেসব দুঃখ পুড়িয়ে উড়িয়ে দিই হাওয়ায়।
নিজে জ্বলে পুড়ে পড়ে রই রাহে ছাই হয়ে।
পরের মুখে হাসি ছড়ায়ে আর দেখা হয়ে উঠেনা
সে সুখের বাহার! যমদূতের হাত পড়ে যে ঘাড়ে?
কী পাই আমি এ বিসর্জনে? তেমন কিছু না, যা নিয়ে
গর্ব করা যায়! ঐ যে তারা বলে, হাসি মুখে জড়িয়ে আমায়,
বন্ধু তুরে মনে পড়ে ভীষণ.... এই আমার পাওয়া,
এই আমার তৃপ্তি আর এই আমি!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫২