খুব জোরেশোরে বৃষ্টি নেমেছিলো সেদিন মনে আছে তোমার?
মনে আছে, আমি তোমার কোন কথাই কানে তুলতে পারছিলাম না
বাদলের শব্দ আর উল্লাসের ঝনঝনানীতে। আর তুমি সে ব্যাপারটা
নিয়েই আমাকে অপদার্থ আর যাচ্ছেতায় বলে গেলে। আমি মুখে
কুলুপ এঁটে দাঁড়িয়ে ছিলাম বৃষ্টির আলিঙ্গন সুখের আবেশ হৃদয়ে মেখে।
তুমি চলে যাওয়ার পর কি হয়েছিলো তা কি জানো?
না, জানোনা তুমি আর জানার জরুরতও তোমার হয়নি।
সেই দিন বৃষ্টির বিশুদ্ধ পানির সাথে আমার বিশ্বাসের বরফ গলে
ঝরে পড়া বিষাক্ত জলের বিক্রিয়াতে পৃথিবীর মাঠ আজো অনুর্বর।
তোমার প্রস্থানপরবর্তী প্রতিটি নিঃশ্বাসে হাজার বছরের জমাট বাঁধা
বিশ্বাস আর ভালবাসার ব্যর্থতার গ্লানি আর দীর্ঘশ্বাসে আজো
বায়ুস্তরে সীমাহীন উষ্ণতা আর অস্বাভাবিক দূষণ।
তোমার মীরজাফরগীরির বদেৌলতে আজো প্রতিটি পুরুষ তাঁদের
বুক পকেটে চিঠির বদলে বিষ নিয়ে ঘুরে দেবদাসের মতো। ( আর
যে সব পুরুষ তাদের প্যান্টের পকেটে কন্ডম নিয়ে ঘুরে তাদের সাথে
তোমাদের অতিরিক্ত গড়াগড়ি দেখে হাসতে হাসতে মরতে চায়। )। কারণ
তোমরা অবিশুদ্ধ প্রেমিকের নিম্নাঙ্গে আর ছলছুতায় ভালবাসা খুঁজে নাও; আর
বিশ্বাসের মানদন্ডে অপরাজিত প্রেমিকের হৃদয়ে খঞ্জর চালিয়ে অবিনশ্বর
হাসির ফোয়ারা ছড়িয়ে দাও পৃথিবীর প্রতিটি পবিত্র আর অপবিত্র গলির পেটে।
আজ আবারো বৃষ্টি নামোক পৃথিবীর বারান্দায় সেইদিনের মতোন।
ছবি : জাহেদুর রহমান রবিন