জানালা খুলে দাও;
তোমার মন-ভালো-করে-দেয়া-কথাটা
বলবার জন্যে এসেছি সেই সকালবেলা।
হাটতে হাটতে পা ব্যাথা করছে;
রোদে পুড়া ফেরিওয়ালার মতোন ঘাম ঝরছে।
তোমার আর আমার ঘরের দুরত্ব হেতু নয়; ( আমার
কামরার জানালা খুলে দিলে তোমার ফেলা নিঃশ্বাস
আমাকে ধাক্কা দেয় এমনতর নিকটে তোমার বাস ) বরং
আমাদের এখন বিপরীতে নিঃশ্বাস ফেলার প্রতিযোগীতা চলছে বলে।
আজ তোমার মন খারাপের সংবাদও পেতে হয় আমার শত্রু থেকে;
( যে বায়ু আমার সাথে ন্যাতামী দেখিয়ে সারাক্ষণ তোমার দেহে নষ্টামী করে
সে বাতাস জানিয়ে যায় তোমার মন খারাপ। ) আর আমি দৌড়ে বেরুলে
অসীম নভোমাঝে মেঘপুঞ্জের ঘুরাঘুরি দেখে বুঝে সত্যিই আজ তোমার মন ভালো নেই।
আমার অনুভুতির শবচ্ছেদে আর কোন শব্দের অপচয় করবোনা।
শব্দেরা বড় অপারগ সবটুকু বোঝাতে আমি যা বুঝাতে চাই;
অক্ষরগুলো বড় ব্যার্থ বলতে; আমি যা বলতে চাই;
তারা শুধু অভিধানের অভ্যন্তরে ঘুনে ধরা কোন পৃষ্টার কালো রঙ আর
আমাদের মস্তুিষ্কে কিছু অদ্ভুদ বাস্তবতার পদলেহী কুকুরের মতো বসবাস তাদের।
তারা তোমার মন স্পর্শ করতে পারেনা।
তারা তোমার হৃদয়-আকাশে ঝড় তুলতে পারেনা;
যেভাবে আমি আর আমার নিঃশ্বাস পারে;
তাহলে কেনইবা মগজের ঘাম ঝরিয়ে তাদের জন্ম দিবো?
তারা শুধু নেতার বক্তৃতা নতুবা মিছে সংলাপের জন্য জন্ম নিয়েছি;
এই মেয়ে, তুমি জানালা খুলে দাও;
তোমার ভেজা কুন্তলরাশির ব্ল্যাকবোর্ডে ভালবাসার প্রচ্ছদ করবো;
মধ্যমস্তিষ্ক বরাবর সিধ কেঠে মগজে আমার নামের ধাঁধা আর মায়ার রঙ মুছে দিবো;
আর রগের যোনিপথে হাটতে হাটতে হৃদয়ের তলপেটে বাসা বাঁধবো।