চাঁদকে ছুঁয়ে দেখা মানুষ
- রইসউদ্দিন গায়েন
চাঁদকে ছুঁয়ে দেখা মানুষ দেখ্(দ্যাখ) তামাশা কাঠের কী--
জন্ম থেকে মরণকালে কাঠই হয় সাথের সাথী॥
জন্মকালে ছোট্ট শিশুর কাষ্ঠাসনে রেখে তায়
মা ও বাবা দেখে(দ্যাখে)শিশু কাঁদে কাঠের বিছানায়।
ঠান্ডায় কেঁপে দাদিমা কয়,কাঠের আগুন জ্বালবো কি?
চাঁদকে ছুঁয়ে দেখা মানুষ.....
কাঠের পিঁড়ি,কাঠের সিঁড়ি,কাঠের চেয়ারে বসি-
কাঠচৌকিতে বসে দাদু,কাঠের হুঁকোয় দম কষি
কাঠের বেলন দিয়ে রুটি বানায় মাসি আর পিসি।
চাঁদকে ছুঁয়ে দেখা মানুষ.....
কাঠের খাটে বসে বুড়ো,কয় কাঠের পালঙ্ক চাই
বসার লগে চেয়ার ভালো,কাঠের বেঞ্চে ক্ষতি নাই।
লেখার জন্যে কাঠের টেবিল,বড় হলেই ভালো হয়
সকাল বিকাল চা পান করতে,ছোট টেবিল দরকার হয়।
সিন্দুক-বন্দুক-লাঙল-কোদাল,কাষ্ঠ ছাড়া চলবে কি?
চাঁদকে ছুঁয়ে দেখা মানুষ.....
কাঠের ডিঙি,কাঠের নৌকা নদী ও সাগর জলে
আজও দেখি খালে বিলে,কাঠেরই ডোঙা চলে।
দরোজা-জানালা কাঠের,কাঠের খাঁচায় গায় পাখি॥
বৃদ্ধকালে কাঠের লাঠি,হয় জীবনের শেষ সাথী
সুদিনে হয় বন্ধু অনেক,দূর্দিনে কাঠের লাঠি।
মরণকালে কাঠের শয্যা,নিয়ে যায় শ্মশান,গোরে-
নির্বাক সেই কাঠের ব্যথা,বুঝবে কি ঘুমঘোরে?
গায়েন বলে:'কাঠের সেবা মানুষ হয়েও পারবে কি?
চাঁদকে ছুঁয়ে দেখা মানুষ,দেখ্ তামাশা কাঠের কী!!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪১