দিনকে দিন বিবর্ণতা আষ্টেপৃষ্টে ধরছে
মায়াবী গাঢ় কৃষ্ণ বর্ণ চোখ।।
চকচকে উজ্জ্বল পৃথিবীর মতো মারবেলগুলি
এখনো সিথানে রেখে যে সুবোধ বালক ঘুমিয়ে আছে
সদ্যনামা সন্ধ্যার শরীরে স্তব্ধতা ভেঙ্গে যে মাখিয়ে দেয় উল্লাসের গান
জীবন সায়াহ্নে নেতিয়ে যায় অস্পষ্ট কলরবে শোন বিধ্বস্ত অাহ্বান
সোমত্ত যুবতী মরা মানুষের বেদীতে গতকাল দিয়ে গেলো
প্রাণেভরা পুষ্পের অর্চনা
মালঞ্চ শেফালি বকুল নাম না জানা নদীর বাক থেকে
ভেসে ভেসে যাচ্ছে সুদূর
এইমাত্র ভেসে অাসলো দূর অশ্বথের ভিটা থেকে মানুষ পোড়া কয়লার চাঁই
একদিন তেপান্তরেরর কৃষকের দুহাতে স্বাচ্ছন্দ্যে লুটোপুটি খেত
সোনালী আলোর কণিকা
কেউ একজন বিবর্ণ তেপান্তরে সেই মরে যাওয়া অালোর কনিকা খুঁজতে এসেছিলো......পায়নি
অাসন্ন কালোমেঘের ঝড়ো সংকেতে
সেও লুকিয়ে ছিলো মহুয়ার বনে।
চিতায় ওঠা শবদেহ হঠাৎ অাঁতকে ওঠে
রাত্রের শরীরে জ্বলা খেঁকশিয়ালের চোখ হঠাৎ নিভে যায়
মায়ের কোলে ঘুমনো সুবোধ বালক হঠাৎ দুঃস্বপ্নে কেঁদে ওঠে
সোমত্ত যুবতী হঠাৎ অাবিষ্কার করে সর্বাঙ্গে বলিরেখা মাখানো
কুৎসিত কদাকর পোড়খাওয়া মানুষ।