কিছুদিন পরেই রাজনৈতিক দলগুলো প্রকাশ করবে তাঁদের নির্বাচনী ইশতেহার । আসবে মিথ্যা ও আংশিক সত্য প্রতিশ্রুতি।
খুব বেশি দিন আগের কথা নয় অামাদের জাদুর শহর ঢাকা বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছে । অবশ্য এই রির্পোট নিয়ে ঘোর আপত্তি । ঢাকার পরিবেশ খারাপ ঠিক আছে কিন্তু চীনের মত আমাদের কল কারখানা বন্ধ করে দিতে হয় নি । চীন সরকার বেশ কিছু দিন আগে বিশুদ্ধ বায়ুর অভাবে বেশ কিছু কলকারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছিলো । মূল প্রসঙ্গে আসা যাক । জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে আমাদের সামনে মহাবিপদ অপেক্ষমান । বিজ্ঞানীরা বলছেন এই শতাব্দির শেষ দিকে বাংলাদেশ মূল ভূ-খণ্ডের বিরাট একটি অংশ হারাবে । গৃহহীন হবে লাখে লাখ মানুষ । কর্মসংস্থান ,আশ্রয় ,স্বাস্থ্য সুবিধাসহ বেশ কিছু বিষয় নিশ্চিত করতে চ্যালেঞ্জ হবে যে কারও জন্যই । আমাদের প্রায় সব কিছু দূষিত । বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলা শহরে প্রবেশ মুখে মানব সৃষ্ট সুগন্ধি পাওয়ার হাউজ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে । আগত জনতা কে যেন স্বাগত জানাচ্ছে ,হে অতিথি স্বাগতম আমার গর্ভে । এসবে দম বন্ধ হয়ে আসে । শিশু,বয়োজ্যেষ্ঠদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। তখন জ্যামে পড়লে তো ছেড়ে দে বাপ কেঁদে বাঁচি । বিশুদ্ধ নির্মল বায়ু যেন সোনার হরিণ । এসবের উদাহারণ ঢাকার ভেতরেই অনেক । সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা ঢুকতেই ডেমরা মোড়ে বিশাল আর্বজনার স্তুপ । ময়মনসিংহ,নারায়ণগঞ্জ,যাত্রাবাড়ি,গাবতলি,সীতাখুন্ড,হবিগঞ্জ,কক্সবাজার সহ নাম না জানা অনেক স্থানে আর্বজনার স্তুপে ভরপুর । এ মোড়ে ,ও মোড়ে তো আছেই । এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ বর্জ্যের দেশ হতে সময় লাগবে না ।পরিবেশ রক্ষায় এগুলো সঠিক প্রক্রিয়ার নিষ্কাশন করা দরকার । যতটুক না করলেই নয় ততটুকু করছে সরকার । এভাবে দিনকে দিন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে ,আমরা আগত সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি । আমরা যদি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ হই ,তাহলে আামদের কে সবার আগে,সবচেয়ে বেশি , পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকার রাখা দরকার । কে সাহায্য করলো ,করবে কিনা ,সেটা তো পরের কথা । হাসপাতালে বর্জ্যও ঠিক মতো নিষ্কাশন হয় না । এভাবে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে ,পুনরায় আামাদের দেহে প্রবেশ করছে । ফায়ারবার্গের মতো মহামারি সৃষ্টি করা ভাইরাসের অস্থিত্ব ঢাকায় আছে বলে গবেষকরা মনে করেন । এসবের পরিণতি শুধু ভয়ঙ্কর থেকে ভয়য়ঙ্কর হবেই । প্রকৃতির প্রতিশোধ নেওয়া শুরু হয়েছে ,,সেটা অনেক কমিয়ে আনা যাবে যদি জনসাধারণ ও সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেয় । সরকার আইসিটি খ্যাত কে যেভাবে গুরুত্ব দিয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ । আমার মতে অাইসিটি খ্যাতের পরেই পরিবেশ রক্ষায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত । পরিবেশ বিষয়ক প্রকল্প আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করবে । আগে তো বাঁচতে হবে তারপর উন্নয়ন । সুতারাং পরিবেশ রক্ষায় নির্বাচনী ইশতেহারে মেগা প্রকল্প চাই এবং যে সরকার ক্ষমতায় যাবে তারা যেন সর্ব্বোচ গুরুত্ব দেন। আমাদের নিজ পরিবার থেকে কাজ করতে হবে । একটি নির্মল বায়ুর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি ।
বড় লেখা পড়তে চান না অনেকেই । এতটুকু লেখায় নিশ্চয় কি বলতে চাচ্ছি ,কি দাবী করছি সেটা পরিষ্কার । তাই আর বাড়ালাম না। আপনি জানেন এসবের উদাহারণ আপনার আশে পাশেই । কেমন পরিবেশে আছি । প্রজন্ম কেমন পরিবেশে বড় হচ্ছে ।
অগ্রিম কথা বলা ঠিক না ,তবু বলি । দলগুলোর নির্বাচনী ইশতিহারে পরিবেশ রক্ষায় বড় কোনো প্রতিশ্রুতি পাব বলে মনে হয় না।লিখে নিজের দ্বায় সাড়লাম। তবু আশাবাদী । ইশতেহারে থাকুক পরিবেশ রক্ষায় নানা দিক । যারা দেশ গঠনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন,তারা নিশ্চয় এসব দিকও ভাববেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬