সেই কবে থেকে বেলকুনির পাশে দাড়িয়ে আছি।অন্ধকার রাতের বৈদ্যুতিক বাতির আলোয় আলোকিত শহরটার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে খুউউব ইচ্ছে করে একটা গল্পের প্লট সাজিয়ে ফেলতে।যে গল্পের প্রথমে থাকবে এই রাতের শহরটা,মাঝখানে থাকবে খুনসুটি আলাপন,আর শেষে থাকবে......নিমিশা আমার গল্প রচনায় ছেদ ঘটিয়ে বলল,এইই কি করো?
-উহহ একটু ব্যস্ত
-খুউউব ব্যস্ত?
-কি বলবে তাড়াতাড়ি বলো?
-একটা গল্প বল না?
-আচ্ছা বলব না
-এই বল প্লিজ
-আচ্ছা বলছি..মেয়েটা বেলকুনির পাশে দাড়িয়ে আছে
-তুমি মেয়ে ছাড়া কাউকে তোমার গল্পের জন্য পাও না?
-আচ্ছা তাহলে ছেলেটা বেলকুনির পাশে দাড়িয়ে আছে?
-বুঝি না সব গল্পের নায়ক নায়িকারা কেন বেলকুনির পাশেই দাড়িয়ে থাকে?এই বেলকুনি ছাড়া কি অন্য কোন জায়গা নেই?
-যা বলবই না
-ওহ সরি সরি বল বল প্লিজ
-মেয়েটা তার পাশে দাড়িয়ে আছে
-আবার মেয়ে?
-তারা দুইজনেই দাড়িয়ে আছে
-আচ্ছা...তারপর?
-ছেলেটা মেয়েটাকে বলল,এক কাপ কফি হলে মন্দ হয় না
-তারপর?
-ধুরর তুমি গল্প বুঝো না।তোমাকে গল্প বলব না
-বাকিটা আমি বলি?
-তুমি বলবে?
-হুম বলব...পারবো না?
-বল
-একটু দাড়াও
এরপর নিমিশা ভেতরে চলে গেল।কিছুক্ষন পর দুই হাতে দুই কাপ কফি নিয়ে এসে আমাকে এক কাপ দিয়ে দাড়িয়ে রইলো।সে আমি কফিতে চুমুক দিচ্ছি,আর বেলকুনির গ্রিলের ফাক গুলিয়ে রাতের শহরটা দেখছি।এক সময় নিমিশা আমার কাধে তার মাথা দিয়ে ঘেষে দাড়ালো।নিমিশা গল্পটা মুখে বলছে না,তবুও আমি বুঝতে পারছি....ওরা দুজন বেলকুনির পাশে দাড়িয়ে আছে....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


