অফিসে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হতেই কায়সার সাহেবের মেজাজটা চরম খারাপ হয়ে গেল।অফিসে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন সকালে একই টাইমে বের হোন তিনি।প্রতিদিন চান বাসা থেকে বের হয়ে যেন পাশের বাড়ির রফিক ভাইয়ের ছোট মেয়ে তুলির সাথে দেখা না হয়।
কিন্তু আজও দেখা হয়ে গেল।বাগানে কাজ করছিল মেয়েটা।দেখেই নাক সিটকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন তিনি।
মেয়েটা অসম্ভব ধরনের কালো।কালো জিনিস খুবই অপছন্দ কায়সার সাহেবের।কালো জিনিস দেখলেই তার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।
তিনি মনে করেন অফিস যাওয়ার পথে এই কালো মেয়েটার দর্শন পাওয়া মানেই পুরো দিনটাই মাটি হয়ে যাওয়া।এই যেমন আজকে যদি কোন অঘটন ঘটে যায় তবে তিনি দায়ী করবেন এই মেয়েটার সাথে দর্শন হওয়াকে।
আর এজন্যেই তিনি তার ছেলেমেয়েদেরকে এই মেয়েটার সাথে মিশতে দেন না।বাড়ির আশে পাশেও ঘেষতে দেন না তাকে।
¤¤
কায়সার সাহেব দাড়িয়ে আছেন।সামনে ঐ কালো মেয়েটি।না আজ তিনি নাক সিটকাচ্ছেন না।মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে ইচ্ছে করছে তার।কারন আজ সে তার ছোট মেয়েটিকে বাঁচিয়েছে।
বাড়ির সামনেই খেলছিল মেয়েটা।খেলতে খেলতে কখন যে পাশের পুকুরে নেমে গেছিল সে সেটা কেউ লক্ষ করে নি।প্রায় মাঝ পুকুর থেকে মেয়েটাকে বাঁচিয়েছে তুলি।
যাকে দেখলেই তিনি নাক সিটকান,সেই আজ তার মেয়েকে বাঁচিয়েছে।তিনি কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন,কিন্তু তার আগেই তুলি বলল,চাচা একটু দাড়ান।আমি এক্ষুনি আসছি।এই বলে সে দৌড়ে চলে গেল।
প্রায় মিনিট দশেক পর তুলি হাতে একটা গোলাপ ফুল নিয়ে এসে বলল,চাচা নিন।এটা আপনার জন্য।আমার নিজের হাতে লাগানো গাছে এটা ফুটেছে।আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম যেদিন আপনি আমাকে দেখে নাক সিটকাবেন না সেদিনই আপনাকে একটা গোলাপ ফুল দেব।এই বলে গোলাপ ফুলটা বাড়িয়ে দিল সে।
কায়সার সাহেব গোলাপ ফুলটা হাত বাড়িয়ে নিয়েই অবাক হয়ে গেলেন।গোলাপ ফুলটা লাল নয়,সেটা কালো।তবুও অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে সেটাকে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




