লটকন আমাদের দেশের রেগুলার ফলের মধ্যে গণ্য কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যতদূর জানি, এ ফলটি সাধারণত পাহাড়ী এলাকায় জন্মে। গ্রামের ছেলে আমি কিন্তু ১৯৯৯ সালে ঢাকায় এসে লটকনের সাথে আমার প্রথম পরিচয় ঘটে। পাঠ্য বইয়ে কিংবা ফলের ছবির বইতে ছোটকালে অনেক ফলের সাথে পরিচয় ঘটলেও এটি সেখানে অনুপস্থিত ছিল। ঢাকায় এসে ঘটনাচক্রে যখন এ ফলটির সাথে চেনা-জানা হলো তখন একে ঠিক পাকা ডুমুরের মতো মনে হচ্ছিল। বড় জাতের ডুমুরও এ রকমই হয়ে থাকে।
বিষ্ময়ের ব্যাপার হলো, রাজধানীতে লক্ষ্য করছি লটকনের কদর বেশ ভালো। গতকাল অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে সন্ধ্যায় রাস্তার একপাশে একটু ভীড় দেখতে পেয়ে সেখানে ঢু মারতে গিয়ে আবিষ্কার করি সেখানে এক লটকন বিক্রেতা ছিল। মান সম্পন্ন লটকন তাই ক্রেতা সামাল দিতে তিনি হিমসিম খাচ্ছেন। জানতে পারলাম, সামগ্রীটি তিনি বিক্রি করছেন ১৬০ টাকা কেজি দরে।
আমি অবাক হচ্ছি- কোন মতেই হিসাব মেলাতে পারছি না, লটকনের পুষ্টিমান আসলে কোন্ পর্যায়ে ? এর আভিজাত্য লেভেলই বা কী ? স্বাদের বিচারে লটকন কোন গ্রেডে পড়ে ? খাদ্যপ্রাণ ধারণ করার বিচারে এটি কি উত্তীর্ণ ? কী আছে এর ভেতর ?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:২৫