আমার ছাত্র জিজ্ঞাসা করলো "স্যার কি গরুর মাংস খান?" আমি বললাম খাবো না কেন? গরুর মাংসতে তো পটাসিয়াম সায়ানাইড নাই! কিন্তু হঠাৎ এই প্রশ্ন?
ছাত্র আমার দ্বিগুন অবাক হয়ে বললো "আপনাদের ধর্মে না মানা করা আছে?"
আমি বললাম "দেখো, ডালন্টনের পরমানুবাদ আসছে ধর্ম গ্রন্থ লেখার অনেক পরে। তখন ইশ্বর জানতো না যে সব কিছু ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউটন দিয়ে তৈরী। এই তত্ত্ব আবিস্কার হওয়ার পরে ইশ্বর আর ধর্মটাকে আপডেট করেননি। তাই এই সমস্যা। তোমার ধর্মেও কোন কিছু মানা থাকলে ইচ্ছে মত খাইতে পারো।"
ছাত্র আমার হাসে। যেনো একটা মুক্তির সন্ধান পেলো। তাই দেখে আরো একটু বললাম
"ইশ্বর যদি ধর্ম গ্রন্থ আপডেন্ট দেয় তাহলে দেখবা গরু, শুকর, কুত্তা খাইতে মানা করার বদলে পটাসিয়াম সায়ানাইড, সোডিয়াম ক্ষার, কার্বন মনোক্সাইড খাইতে মানা করছে। তখন বুঝবে এইটাই আসল ধর্ম!"
আসলে যত হাস্যরস নিয়ে কথাগুলো বলি না কেনো আমার মনে হয় কথা গুলো সত্য। খুবই সত্য। আমাদের ইশ্বররা আসলে কেমন? উনাদের চিন্তাধারা আসলে কতটুকু বিজ্ঞান ভিত্তিক! শুধু দর্শন হলেও এইগুলো কেমন দর্শন যেখানে মানুষে মানুষে বিভাজনের কথা বলা হয়।
মানুষ কি খাবে না খাবে এইগুলো কি মানুষ নিজে নির্নয় করতে পারতো না। ধর্ম গ্রন্থে এসব মানা করার আগে কি মানুষ এসব খেয়ে পৃথিবী সব জীব শেষ করে ফেলছে। বরং এসব হারাম/হালাল, বাধা নিষেধের জন্য মানুষে মানুষে বিভাজন, ঝগড়াই হচ্ছে বেশী।
মাঝে মাঝে খুব অবাক হই। কষ্ট পাই। মনে হয় কোন কিছু আমাদের পিছু ধরে রেখেছে অনেক বলে। সভ্যতাকে এগুতে হচ্ছে যুদ্ধ করে। বার বার হোচট খাওয়া সভ্যতা তবুও এগিয়ে চলছে বিজ্ঞান শকটে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪