somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রঞ্জিত বিশ্বাস
পড়ছি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিজ্ঞান কর্মী। যুক্ত আছি "বিজ্ঞানের জন্য ভালোবাসা" নামক বিজ্ঞান সংগঠনের সাথে। যারা বিজ্ঞান জনপ্রিয় করনে কাজ করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান পাগল:-১

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিচের এই ছবিটা নিয়ে বেশ মজার একটা গল্প আছে। এইটা ১৮০৩ সালে পরিচালিত হওয়া একজন বিজ্ঞানীর বিখ্যাত পরীক্ষার কার্টুন ছবি।
গিওভান্নি আলদিনি।। ইতালিয়ান পদার্থবিদ। ১৯৬২ সালে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞান পাগলের। বলতে গেলে উনার জন্মের পরপরই বিজ্ঞানের আশ্চর্য সব আবিস্কার হতে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে আশ্চর্যের ছিলো রাসায়নিক বিদ্যুৎ।

গিওভান্নির চাচা লুইগি গ্যালভানি ছিলেন রাসায়নিক বস্তু থেকে বিদ্যুৎ আবিস্কারের অন্যতম মূল হোতা। আমরা যেমন এখন আলু, পটল, লেবু থেকে বিদ্যুৎ তৈরী করি। গিওভান্নির ছোট বেলায় উনার চাচা একবার উনার সামনে একটা ব্যাঙ এর হাতে পায়ে বিদ্যুৎএর তার লাগিয়ে এর মধ্যে দিয়ে রাসায়নিক বিদ্যুৎ প্রাবাহিত করেন। ফলে মৃত ব্যাঙটি লাফিয়ে উঠে উপর দিকে। এই ঘটনা বিষ্ময় সৃষ্টি করে গিওভান্নির মনে।

এর থেকে আগ্রহ জন্মায় মানব দেহের উপর বিদ্যুৎ প্রবাহের ইফেক্ট নিয়ে। প্রথমে তিনি বিভিন্ন প্রানীর উপর উদ্ভোট সব পরীক্ষা নিরিক্ষা চালাতে থাকেন। যেন একটা মস্ত খেলা। পুরো ইউরোপ ঘুরে ঘুরে এই বিজ্ঞান পাগলা নিজের খেলা দেখাতে থাকেন।

তার এই মজার খেলার সবচেয়ে বিখ্যাত পরীক্ষাটি করেছিলেন লন্ডলের রয়াল কলেজে। প্রথমবারের মত একজন মৃত মানুষের দেহ ক্রয় করলেন তিনি। জর্জ ফরস্টার নামের লোকটির ফাঁসি হয়েছিলো ১৮০৩ সালে ১৮ই জানুয়ারী। ফাঁসি কার্যকর হওয়ার একঘন্টা পরে তিনি ক্রয় করে তার দেহটি। তারপর বেশ প্রস্তুতি নিয়ে জনসম্মুখে আসেন।

মানুষের বিষ্ময় ভরা চোখ যখন মঞ্চে তখন হঠাৎ করে গিওভান্নি মৃত দেহের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করেন। আর সাথে সাথে ঘটে গেলো পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যতম পরীক্ষাটি। সদ্য মৃত দেহ উঠে বসে ছূটতে থাকলো হাত পা। এমনকি চোখ খোলে নড়তে লাগলো এদিক ওদিক। সবার বিষ্ময় পরিনত হলো ভয়ে। সবাই ভেবেছিলো আবার বুঝি প্রান ফিরে পেলো জর্জ। এই বিজ্ঞান পাগল গিওভান্নির জন্যই আজ আমরা মানুষের নার্ভ সিগনাল সিস্টেমসহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেক কিছুই পাই। উনার লেখা কিছু বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ খুলে দিয়েছিলো বায়ো ইলেক্ট্রিকের নতুন পথ।

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×