নিচের এই ছবিটা নিয়ে বেশ মজার একটা গল্প আছে। এইটা ১৮০৩ সালে পরিচালিত হওয়া একজন বিজ্ঞানীর বিখ্যাত পরীক্ষার কার্টুন ছবি।
গিওভান্নি আলদিনি।। ইতালিয়ান পদার্থবিদ। ১৯৬২ সালে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞান পাগলের। বলতে গেলে উনার জন্মের পরপরই বিজ্ঞানের আশ্চর্য সব আবিস্কার হতে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে আশ্চর্যের ছিলো রাসায়নিক বিদ্যুৎ।
গিওভান্নির চাচা লুইগি গ্যালভানি ছিলেন রাসায়নিক বস্তু থেকে বিদ্যুৎ আবিস্কারের অন্যতম মূল হোতা। আমরা যেমন এখন আলু, পটল, লেবু থেকে বিদ্যুৎ তৈরী করি। গিওভান্নির ছোট বেলায় উনার চাচা একবার উনার সামনে একটা ব্যাঙ এর হাতে পায়ে বিদ্যুৎএর তার লাগিয়ে এর মধ্যে দিয়ে রাসায়নিক বিদ্যুৎ প্রাবাহিত করেন। ফলে মৃত ব্যাঙটি লাফিয়ে উঠে উপর দিকে। এই ঘটনা বিষ্ময় সৃষ্টি করে গিওভান্নির মনে।
এর থেকে আগ্রহ জন্মায় মানব দেহের উপর বিদ্যুৎ প্রবাহের ইফেক্ট নিয়ে। প্রথমে তিনি বিভিন্ন প্রানীর উপর উদ্ভোট সব পরীক্ষা নিরিক্ষা চালাতে থাকেন। যেন একটা মস্ত খেলা। পুরো ইউরোপ ঘুরে ঘুরে এই বিজ্ঞান পাগলা নিজের খেলা দেখাতে থাকেন।
তার এই মজার খেলার সবচেয়ে বিখ্যাত পরীক্ষাটি করেছিলেন লন্ডলের রয়াল কলেজে। প্রথমবারের মত একজন মৃত মানুষের দেহ ক্রয় করলেন তিনি। জর্জ ফরস্টার নামের লোকটির ফাঁসি হয়েছিলো ১৮০৩ সালে ১৮ই জানুয়ারী। ফাঁসি কার্যকর হওয়ার একঘন্টা পরে তিনি ক্রয় করে তার দেহটি। তারপর বেশ প্রস্তুতি নিয়ে জনসম্মুখে আসেন।
মানুষের বিষ্ময় ভরা চোখ যখন মঞ্চে তখন হঠাৎ করে গিওভান্নি মৃত দেহের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করেন। আর সাথে সাথে ঘটে গেলো পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যতম পরীক্ষাটি। সদ্য মৃত দেহ উঠে বসে ছূটতে থাকলো হাত পা। এমনকি চোখ খোলে নড়তে লাগলো এদিক ওদিক। সবার বিষ্ময় পরিনত হলো ভয়ে। সবাই ভেবেছিলো আবার বুঝি প্রান ফিরে পেলো জর্জ। এই বিজ্ঞান পাগল গিওভান্নির জন্যই আজ আমরা মানুষের নার্ভ সিগনাল সিস্টেমসহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেক কিছুই পাই। উনার লেখা কিছু বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ খুলে দিয়েছিলো বায়ো ইলেক্ট্রিকের নতুন পথ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪