somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কি ভাবছেন সব শেষ হয়ে গেছে? এখনো অনেক কিছুই বাকি শুধু একবার ভিতরে প্রবেশ করুন

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কি ভাবতেছেন জিবনে সব হারিয়ে ফেলেছেন, অথবা আপনার জিবনে কিছুই করতে পারেননি বা আপনাকে দিয়ে জিবনের মাঝপথ থেকে আর কিছুই করা সম্ভব না।
আমরা জিবনে বিচরন করতে গিয়ে অনেকেই বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হই। কেউবা পরিক্ষার রেজাল্ট খারাপ করি, কেউবা ভাল চাকুরি পাই না, আবার কারো প্রমিকার বিয়ে হয়ে যায় , শশুর বাড়িতে অশান্তি, স্বামীর অত্যাচার, আর্থিক অসংগতি আরো নানান কিছু। সবকিছুতেই একটা বিষয় কমন, সেটা হল এই সমস্যা গুলো সমাধান করতে না পারলে আমরা প্রত্যেকেই ভাবি "শুধু আমার সাথে কেন এমনটা হয়"? আমি তো এত ঝামেলায় পড়তে চাইনি তবে কেন আল্লাহ শুধু আমাকেই এমনভাবে কষ্ট দেন?
এখানে একটা বিষয় বুঝা উচিত, আপনি যেহেতু নিজের কষ্টগুলো নিজেই অনুভব করছেন সুতরাং অাপনার কাছে এটাকেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট কষ্ট বলে মনে হবে বা হওয়াটাই স্বাভাবিক। অথচ আপনার বাইরের দুনিয়াতে এর থেকেও মর্মান্তিক ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে চলছে। আমরা সেগুলো অনুভবে নিতে পারি না বলেই নিজের কষ্টটাকেই বড় মনে করি এবং সমস্ত অভিযোগ চুড়ান্তভাবে আল্লাহর দিকে ছুড়ে দেই।
অথচ আল্লাহ বলেছেন, উনি কাউকেই তার সাধ্যাতিরিক্ত কষ্ট দেন না। যার যতটুকু সহ্যক্ষমতা রয়েছে তাকে তার ভিতরই তাকে পরিক্ষা করা হয়। কিন্তুু আমরা মানবজাতি বড়ই অসহিঞ্চু, আমরাদের সব কিছুই নগদে দরকার শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করার ধ্যর্য আমাদের নেই। সেখানেই বড় ভূলটা করি, মাঝপথেই ভেবে বসি এইতো জিবনের সব শেষ হয়ে গেল। ব্যস্ তাতেই অনেকে হাল ছেড়ে দেই, কেউ কেউবা আত্মহত্যা করার মাষ্টারপ্লান তৈরি করতে থাকি। কেউ ভাবতে থাকে এমন কিছু জিবনে হারিয়েছি যার ক্ষতিপূরণ কোনভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু একবারও ভাবি না যে আমরা তো ভবিষ্যৎ জানি না যিনি ভবিষ্যৎ জানেন ঐ মহান আল্লাহ আমাদের জন্য নিশ্চয় এর থেকে ভাল কিছু রেখেছেন। কারন প্রত্যেকের জিবনের মাষ্টারপ্লান তিনিই করে থাকেন, আমাদের উচিত শুধু আল্লাহর উপর ভরসা করে এর শেষপ্রান্ত পর্যন্ত পৌছানো।
সমস্যা চলাকালিন সময়ে অনেকেই এতটা হতাশ হয়ে পরে যে তার কাছে পৃথিবীর প্রত্যেকটা বিষয়ই সংকোচিত হয়ে সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়। তখন অন্যসব কিছুই তার কাছে মূল্যহীন হয়ে পরে, এমনকি নিজের জিবনটাকেও সে তুচ্ছ ভাবতে থাকে। ঐ সময়ে কারো সান্নিধ্য থাকাটা অতি জরুরি এবং নিজের সাহায্যর জন্য নিজেকেই মানসিকভাবে শক্ত রাখতে হবে। যদি নিজেকে শক্ত রাখতে পারেন শুধুমাত্র কয়েকটা দিন পরেই দেখবেন সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। জিবনের অন্যান্য টপিকস্ গুলোকে আপনার কাছে আস্তে আস্তে গুরুত্বপূর্ন মনে হতে থাকবে।
একটা স্থায়ী বিষয় হল জিবনের কোনকিছুই চিরস্থায়ী নয়। সবকিছুই আপেক্ষিকতার আবরনে মোড়ানো। আপনার চাহিদার সাথে আপনার হতাশাও সমানুপাতিক হারে বাড়তে থাকে। আরেকজন দামি প্রাডো কিনছে তাই আমাকেও কিনতে হবে, ও বুয়েটে পরে কিন্তুু আমি চান্স পাইনি তাই আমাকে দিয়ে কিছু হবে না, অমুকের সুন্দরি গার্লফ্রেন্ড আমারটা অতটা সুন্দরি নয় এমনটা চিন্তা করেছেন তো মরেছেন। আপনার অবস্থান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবেন তো জিবনের অর্থেকই সমস্যাই কেটে যাবে। স্বপ্ন আপনি দেখতেই পারেন সেটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য আপ্রান চেষ্টা ও করতে পারেন। তবে অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করতে যাবেন না কারন তখনই নিজের উপর ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলবেন। মনে রাখতে হবে, শর্টকাট বড়লোক হওয়া, বা একা একশত জনের সাথে মারামারি করে নায়িকাকে প্রাপ্তি এমনটা শুধুমাত্র সিনেমাতেই সম্ভব বাস্তবে নয়।

যার জিবনে কোন কষ্ট নাই তার জিবটা পুরাটাই পানসে, কোন মজা নাই। আপনি যদি পরিপূর্ণভাবে জিবনটাকে উপলদ্ধি করতে চান তবে জিবনের সংকটময় সময়টাকে মোকাবেলা করতে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিন। নয়ত পানিতে ভিজিয়ে সারাজিবন পানসে মুড়ি খেতে পারবেন কিন্তুু মুড়ির মচমচে শব্দ কখনোই শুনতে পারবেন না।
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×