সাধারনত দেখতে বিশ্রি টাইপ মেয়েগুলার মন
খুব ভাল হয়। কোথায় যেন পড়েছিলাম, প্রেম
জন্ম নিলে মেয়েদের ঠোটের দুপাশ শক্ত হয়ে
একটু উপরের দিকে উঠে যায়। এদের ঠোট পুরু,
চামড়া কালো কিন্তু মন ভাল।
.
অতিরিক্ত রূপবতি বিশেষ করে খুব বেশি
স্টাইল করা মেয়েগুলোর বেশিরভাগই বোকা
ধরনের হয়, জগতের কোন খবর রাখেনা,
পড়ালেখায় মন নেই। এদেরকে পটানো সহজ।
যত ঘুরাই নিয়ে বেড়াবে ততই তোমার প্রতি
ক্র্যাশ খাবে আর একটু পর পর প্রেমে পড়বে।
.
আমি দেখেছি, যেই মেয়েগুলো জ্ঞাণ শূন্য
এবং শরীর দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে
চায় তারা খুব ছোট মনের হয়। এরা কলেজ বা
বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় শুধুমাত্র নতুন ড্রেস আর
সাঁজ দেখানোর জন্য। এমন একজনকে
বলেছিলাম, তোমার কি ভালোলাগে?
সে জানাল, নতুন নতুন কাপড়, কসমেটিকস্,
পার্লারে যাওয়া, ঘুরে বেড়ানো....
ওহ। ঘুরে বেড়ানো! বই পড় না?
না, ওসবে আমার ধৈর্য নেই।
বল কি! আমার তো মনে হয় একটা ঘর আর
একটুখানি খাবারের নিশ্চয়তা থাকলে
মানুষের বই পড়া ছাড়া আর কোনন কাজ
থাকেনা।
আমার সাজতে ভালো লাগে।
হা হা হা....
.
কোন মেয়ের সাথে প্রথম পরিচয় হলে আমি
আগে তার চোঁখের দিকে তাকিয়ে একটা
গল্প দাড় করিয়ে ফেলি। ঠিকমত বড়শি
ফেলতে পারলে কন্যা নিজেই ধরা দেয়....
মেয়েদের মনের কথা পড়ার মত আনন্দময় কাজ
জগতে আর কিছু নেই। কত মেয়ের কত ধান্দা।
.
ছেলেদের সম্পর্কে মেয়েদের একটা ভুল
ধারনা হল, 'ছেলেরা সুন্দরী মেয়ের পাগল।'
আসলে সুন্দর চেহারার প্রসঙ্গ অনেক পরে।
বেশিরভাগ ছেলেই একটা ভাল মন চায়। কোন
ছেলে যদি তোমার রূপ দেখে প্রেমে পড়ে
তাহলে বুঝতে হবে, 'বান্দার চরিত্র খারাপ,
তার উদ্দেশ্য বিছানা পর্যন্ত....'
.
মেয়েদের চিনতে পারা কঠিন কারন তারা
নিজেরাই নিজেদের চিনে না। সিগমণ্ড
ফ্রয়েড ২৫ বছর মেয়েদের নিয়ে গবেষণা
করে আক্ষেপ করে বলেছিলেন, "নারী কি
চায়?"
.
একদল মেয়ে আছে যারা রাস্তা দিয়ে হেটে
গেলে খুব সাউণ্ড করে। এর মধ্যে তারা
চারপাশে জানান দিতে চায়, এই বাবুরা
দেখো, আমরা কয়েকটা সুন্দরী যাচ্ছি, দেখো
দেখো.... আমার কত রূপ! কত কি! খাবে....?
কি হল! এত ম্যাকআপ মেরে এসেছি, তোমরা
না দেখলে কে দেখবে বল(?) এদের দেখলে
ঘৃণা লাগে।
.
যাদের মন সুন্দর তাদের চোঁখ দেখলেই বোঝা
যায়, বড় বড় গোল, একদম লীলাবতীর মত -এটা
নিপাতনে সিদ্ধ। এরা কাজল দিলে মনে হয়,
চোখের নিচে একফোটা মায়া আটা দিয়ে
লাগিয়ে দিয়েছে। এরা হল পদ্মিনী। পদ্মিনী
ইজ দ্যা বেস্ট। চোঁখ মেয়েদের মনের কথা
বলে।
.
নারী হবে নারীর মত, যার মধ্যে কোমলতা
থাকবে, স্নিগ্ধতা থাকবে। রেগে যাবে
কিন্তু চিল্লাই কথা বলবে না। হাটলে কোন
শব্দ হবেনা। মুখের কথায় হবে ছন্দময়, -শুনলে
সরলতা, পবিত্রতা আর ভদ্রতায় মরে যেতে
ইচ্ছা করবে
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৪