যশোরের অভয়নগরের চাঁপাতলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর তিন ঘন্টা ধরে তান্ডব চলল বার বার চেষ্টা করেও তারা পুলিশের সহযোগিতা পেলনা । ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘটনার এক ঘণ্টা আগে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আওয়ামী লীগের নেতা ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলেও কেউ তাদের রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। এগিয়ে আসলে হয়ত দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করা যেত । কিন্তু প্রতিরোধ করলে তো সস্তা রাজনৈতিক ফাইদা লুটা যাবেনা ! হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা মরুক তাতে কি তাদের তো রাজনীতি করার জন্য ইস্যু লাগবে ! আর মাঝকানে বলি হলেন হিন্দুদের ১১২টি পরিবার যাদের ঘর বাড়ি বলতে এখন কিছুই নেই । যদিও এই নেক্কার জনক হামলাটি ভোট কেন্দ্রিক বা নোংরা রাজনীতি জড়িত তারপর অস্বীকার করার কোন উপায় নেই হামলার সাথে যারা জড়িত তারা মুসলিম সম্প্রদায়ের, তাই একজন মুসলিম হিসাবে আমি লজ্জিত ।
আমাদের ইসলাম ধর্মে অমুসলিমদের উপর হামলা-নির্যাতনকে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে-
"কিয়ামতের দিন আমি এমন যেকারো বিরুদ্বে লড়বো,যে কোন অমুসলিমদের উপর নির্যাতন করে বা তার অধিকার ভঙ্গ করে বা তার সাধ্যের বাইরে তার উপর বোঝা চাপিয়ে দেয় বা তার ইচ্ছার বিরুদ্বে তার কোন জিনিস দখল করে।"–(আল-হাদীস,আবু দাউদ)
"যদি কোন ব্যক্তি মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যে বসবাসকারী অমুসলিম নাগরিক বা মুসলিম দেশে অবস্থানকারী অমুসলিম দেশের কোনো অমুসলিম নাগরিককে হত্যা করে তবে সে জান্নাতের সুগন্ধও লাভ করতে পারবে না, যদিও জান্নাতের সুগন্ধ ৪০ বৎসরের দুরত্ব থেকে লাভকরা যায়।" ( আল-বুখারী, হাদীস ৬/২৫৩৩)
"যার হাত আর জবান থেকে মানব জাতি নিরাপদ, সেই প্রকৃত মুসলমান ।"- আল হাদিস
"শেষ জমানায় কিছু প্রতারক সৃষ্টি হবে। তারা ধর্মের নামে দুনিয়া শিকার করবে, তারা মানুষের নিকট নিজেদের সাধুতা প্রকাশ ও মানুষকে প্রভাবিত করার জন্য ভেড়ার চামড়ার পোষাক পড়বে (মানুষের কল্যাণকারী সাজবে),তাদের রসনা হবে চিনির চেয়ে মিষ্টি, কিন্তু তাদের হৃদয় হবে নেকড়ের হৃদয়ের মতো হিংস্র।"-(তিরমিজী শরীফ)
যদিও যশোরের যারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের সাথে জড়িত তারা মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত কিন্তু তারা প্রকৃত মুসলিম নয় তারা বিশৃংঙ্খলাকারী শয়তান । শান্তিপ্রিয় ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসাবে আমাদের সকলের উচিত অমুসলিমদের ধর্মীয় স্থাপনা,বাড়ি-ঘর এবং তাদের জানমাল রক্ষায় এগিয়ে আসা ।