উনারা মৌসমী পশু প্রেমিক । নাস্তিকতাকে ডাল হিসাবে নিয়ে ধর্মবিদ্ধেষী কথা বলা যাদের স্বভাব । ঈদুল আযহায় পশু কুরবানী নিয়ে তেনাদের হা হুতাশের শেষ নেই । কয়েক দিন ধরে গরু ছাগলের জন্য কান্নাকাটি করতে করতে ব্লগ লিখছেন । অপরদিকে ফেইসবুকের নিউজ ফিডেও তাদের কান্নার আওয়াজ শুনা যাচ্ছে যা আগামীকাল ঈদের দিন পর্যন্ত চলবে । যদিও সারা বছর পশু জবাই নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যাথা নেই । বাসায় অথবা রেষ্টুরেন্টে অথবা দাওয়াতে গিয়ে খাবার টেবিলে মাংসা না হলে তাদের চলে না, বিফ/মাটন ফ্রায় থাকা চাই। তখন কিন্তু কোন প্রশ্ন করেন না পশু জবাই নিয়ে । সব সমস্যা কুরবানীর ঈদে ।
আবার পুষ্টিকর খাবার হিসাবে তেনারা ডিম-দুধতো খান । ডিম খেলে একটি অনাগত জীবন ধ্বংস হওয়া অথবা বাছুরকে বঞ্চিত করে দুধ খাওয়া নিয়ে তাদের মনে কোন প্রশ্ন জাগে না । তখন পশু প্রেম তাকে কই? সব খাজ্জানি চুলকানি কুরবানীর ঈদে ।
এরা কি দেখে না ? কুরবানীর মাংসের ৩ ভাগের ১ ভাগ দুস্ত/হত দরিদ্র গরীব মানুষদের মাঝে বন্টন করা হয় । এতে করে এসব মানুষ গুলো কয়েক বেলা পেট ভরে মাংস খেতে পারে । দরিদ্র মানুষ গুলোর হাসি মাখা মুখগুলো কি পশুর চেয়ে সস্তা?
এরা কি দেখে না ? কুরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি থেকে প্রপ্ত অর্থ হত দরিদ্র গরীব মানুষের মাঝে বন্টন করা হয় । সমগ্র বিশ্বের কথা বাদ দিলাম আমাদের দেশে প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার কুরবানীর পশুর চামড়া সংগ্রহ হয় ।
এরা কি দেখে না ? কুরবানীর মাংসের ১ টি ভাগ আত্বীয় স্বজন্দের মাঝে বন্টন করা হয় । এতে করে যাওয়া আসার ফলে পারিবারিক আর সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হয় ।
আসলে তারা এইসব দেখেও দেখবে না । কারণ তাদের মূল উদ্দেশ্য কথিত মৌসমী পশু প্রেমের আড়ালে ইসলাম ধর্মকে কটাক্ক করা, ইসলাম বিদ্ধেষী প্রচারনা চালানো ।
ঈদুল আযহায় একটি পশু কুরবানীর উপযুক্ত হওয়ার জন্য কিছু ক্রাইটেরিয়া লাগে যা না তাকলে সেটা কুরবানী দেওয়া যাবেনা । ধর্মবিদ্ধেষী এইসব লেজ কাটা বলদ গুলো কুরবানীর পশুরো উপযুক্ত না ।