ধরি আপনার বয়স বর্তমানে পঁচিশ।আপনি এখন টগবগে যুবক।হেন কোন কাজ নেই যা আপনি করতে প্রয়াস পান না। এবার একটু কল্পনা করুন।ঠিক পঁচিশ বছর আগে আপনার বাবা ছিলেন আপনারই মত।ঝলমলে যৌবনের অধিকারী।দুনিয়ার আলো বাতাস গায়ে মেখে উপভোগ করেছেন দুনিয়াকে যেমনটা আপনি করছেন বর্তমানে। পঁচিশ বছর পর সেই ঝলমলে যুবকের অবস্থা আপনার সামনে।অর্থাৎ আপনার বাবার অবস্থা এখন দৃশ্যমান।হয়ত অনেকের বাবা গত হয়েছেন। অনেক বাবাই মাত্র কুড়ি বছরের আবর্তে বার্ধক্যের দ্বারপ্রান্তে।
যা বলতে চাইছি,জীবনটা আসলে বড় বেশি ছোট।এতই ছোট যে মনে হয় মাত্র এক সন্ধ্যা বা এক সকালই তো কাটালাম এই সুন্দর ভুবনে।মরিবার না চাহিলেও মরণই চায় যে আমার মৃত্যু হোক।মৃত্যুর মধ্য দিয়েই এক নতুনের সূচনা।সৃষ্টিগতভাবেই আমরা মরণশীল।আচ্ছা,এত কিছু থাকতে মৃত্যু নিয়ে বকবক করছি কেন? কারণ মৃত্যুই
একমাত্র অবশ্যম্ভাবী সত্য যা আমাদের অতিমূল্যবান স্বার্থে আঘাত করবে।মূলত যাবতীয় স্বার্থেরই অবসান ঘটাবে।মৃত্যুই জীবনের সময়স্বল্পতার কথা স্বরণ করিয়ে দেয়।যা আমাদের দায়িত্ব ও করণীয় পালনে টনিক হিসেবে কাজ করে।
স্টিভ জবস একবার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনী অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ধরুন আজই আপনার শেষ দিন।দিনশেষে আপনার মৃত্যু অনিবার্য। তাহলে আজ কি কি করতেন।পরিবারের জন্য,সমাজের জন্য,দেশের জন্য।আপনার উত্তরের সাথে যদি বিগত কয়েকদিনে করা কাজগুলো না মিলে তাহলে বুঝতে হবে আপনার পরিবর্তনের প্রয়োজন।
হ্যা,সামনে গোটা জীবনই তো পড়ে আছে।তবে গোটা জীবনে করার মত অনেক কাজও পড়ে আছে। আগামীকালই হয়ত আমি নেই।।