অতঃপর বালিকা-ব্যাধি
সংক্রমিত হল সর্বজনে,
যে ব্যাধি বক্ষে বহিয়া
মানব বিচরে বিশ্বচরে,
যে ব্যাধির সংক্রমণে
ভূলোক দ্যুলোক সরাজ্ঞানে,
হে বালিকা,তুমি করেছ মহান
মানবজাতিকে সন্তর্পণে।
মানব?
তারা আকাশ ভেদিয়া মহাকাশে যায়
মহাকাশ ফুঁড়িয়া চাঁদ তারায়,
হাতের মুঠোয় বিশ্ববন্দি
উপগ্রহের ঘূর্ণায়নে।
আঙুলের টিপে হাজির নাজির
কোলের উপর বাতায়নে।
চোখের ইশারায় যন্ত্র নড়ে
মগজের অপকর্ষণে।
পৃথিবীবক্ষে যেন শাশ্বত,
তবু বিকল মহাযন্ত্র তুমি
সেই মায়াবিনীর মায়াবাণে।
পাতাল ফুঁড়েও অবিশ্রান্ত যারা
পাথার চষেও জলজ্যান্ত তারা,
তপ্ত মরুচারী তারা,শুভ্র বরফভেদীও তারা
আগ্নেয়গিরিরে একপাশে লয়ে
করে আমরণ বসবাস,
তবে গলনাংকে পৌছে গিয়া
উঠে তাহাদের নাভিশ্বাস।
জ্বালাময়ী প্রেমচুল্লি,
বয়সানুপাতিক জ্বালানী সাপেক্ষে
গগনবিদারী অগ্নি,
কর্ণবিদারী চিৎকার
আকণ্ঠ মধু ঝরঝর,
হঠাৎ বেতার মারফৎ ফুতকার।
জ্বালানীর আতিশয্যে তখন হৃদয়গহীনে বিস্ফোরণ
রক্তবাহিকা ফুলিয়া ফাপিয়া গাত্রজুড়ে আলোড়ন,
সে যে এক মহা বিনোদন!
থেকে থেকে ঘটিয়া চলে পর- মানবিক চুম্বকায়ন
ক্ষান্ত হওয়ার নয় তবু হরিণীর এই অন্বেষণ
একদা তাহা হইয়া উঠে মজ্জাগত বিভীষণ।!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩০