somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারত ইসরাইলের পাশে আছে, থাকবে

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের স্বপক্ষে নিজেদের পরিষ্কার অবস্থান তুলে ধরলেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র জ্যেষ্ঠ নেতা সুব্রামানিয়াম সোয়ামি। সোয়ামি গাজায় চলমান সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে ইসরাইলের পাশে থাকারও আশ্বাসও দিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।


গত ৩ আগস্ট বোম্বের বীর সাভাকার অডিটরিয়ামে ইন্দো-ইসরাইল ফ্রেন্ডশিপ এসোসিয়েসন আয়োজিত ‘গাজায় চলমান সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে ইসরাইলের প্রতি সংহতি প্রকাশ’ নামক একটি পাবলিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ইসরাইলের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে খোলাখুলিভাবে এসব কথা বলেন বিজেপি নেতা।


বক্তব্যে সুব্রামানিয়াম সোয়ামি বলেন, আজকের সভা আয়োজন করা হয়েছে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে ইসরাইলের প্রতি সংহতি প্রকাশ করার জন্য। সকলেই জানেন ইসরাইল ভারতের দীর্ঘ দিনের বন্ধু। সকলেই জানেন ইসরাইল গাজায় সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী যুদ্ধে লিপ্ত। আমরা বলতে চাই সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী যুদ্ধে ভারত ইসরাইলের পাশে আছে এবং থাকবে। ভারতের দেশপ্রেমিক হিন্দু, মুসলামন, খ্রিস্টান, পার্সি সকলেই ইসরাইলের প্রতি সংহতি প্রকাশ করবে। ভারতের পররাষ্ট্রনীতি কোনো ধর্ম, বর্ণ, জাতির উপর বিবেচনা করবে না বরং বন্ধুত্বের জোর ভিত্তির উপর নির্ভরশীল। আপনারা জানেন, ভারতও আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ বিরোধী যুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরে লিপ্ত। মনে রাখতে হবে এই যুদ্ধ ভারতের দেশপ্রেমিক মুসলমানদের বিরুদ্ধে নয়। আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি খোলামেলাভাবে ইসরাইলের প্রতি সংহতি প্রকাশ করার জন্য। প্রতিটি স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। ইসরাইল যেটি করছে সেটি যৌক্তিক। অনেকেই বলছেন গাজা থেকে ছোঁড়া হাতে গোনা রকেটের জন্য ইসরাইলকে এত ঘাম ঝরাতে হচ্ছে কেন, কেন এত ইসরাইলি সেনা মারা যাচ্ছেন? ইসরাইল মূলত সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের নির্র্মূল করার জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে। দেশ রক্ষার যুদ্ধে সেনারা শহীদ হবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে মনে রাখা উচিত শত্রু যদি আপনাকে আক্রমণ করে তবে শত্রুকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া উচিত যাতে করে শত্রু দ্বিতীয়বার আপনাকে আক্রমণ করার সাহস না পায়। আমরা বলতে চাই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে ভারত প্রতিটি দেশের প্রতি সংহতি প্রকাশ করবে।


উল্লেখ্য ভারতের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিজেপি’র এই প্রভাবশালী নেতা নির্বাচনে জয়ী হলে ভারতে বসবাসকারী মুসলমানদের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার কথা বলেছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশের খুলনা থেকে সিলেট পর্যন্ত জোরপূর্বক দখল করার মতো কথা বলেছিলেন।

অন্য দিকে গত বুধবার সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মানবাধিকার সংগঠন হারমনি ইন্ডিয়া নামক একটি সংস্থা চেন্নাই এর পিটার রোডস্থ কলেজ অডিটরিয়ামে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে একটি পাবলিক মিটিং আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে গাজা-ইসরাইল যুদ্ধের বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।


অনুষ্ঠান থেকে গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে গাজায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনী মানবতা বিরোধী কাজের প্রতিবাদ করা হয়। সংস্থার একটি প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরাইলি দানবীয় আক্রমণে ১ হাজারের বেশি নিরীহ শিশু ও নারী নিহত হয়েছেন। সন্ত্রাসী, জঙ্গিদের বাদ দিয়ে ইসরাইলি বাহিনী নিরাপরাধ সাধারণ ফিলিস্তিনি, স্কুল, হাসপাতালকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। হামলায় জাতিসংঘ অফিসও রক্ষা পাচ্ছে না। ইসরাইলি দখলদারী মনোভাব ও মানবতা বিরোধী অপরাধের কারণে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি নাগরিক বাস্তুহারা হয়েছেন। সুতরাং ফিলিস্তিনে নিগৃহীত মানবতার প্রতি সংহতি প্রকাশ করা প্রয়োজন বিশেষ করে যারা স্বাধীনতা, শান্তিতে বিশ্বাস করেন তাদের উচিত ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা। অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের সাবেক গভর্নর গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী, হারমনি ইন্ডিয়ার সভাপতি এন রামসহ একাধিক মানবাধিকার ও সামাজিক সংগঠনের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য জানুন

সম্প্রতি কলকাতার দেশ পত্রিকায় যে প্রশ্নে দ্বিধাগ্রস্থ সমগ্র পৃথিবী সত্যিই কি ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনের সহাবস্থান সম্ভব? শিরোনামে একটি বিশ্লেষন ছাপা হয়। এতে ভারত-ইসরাইল সর্ম্পকের দিকটি উঠেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×