somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের উম্মাদনা!

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধোঁয়ার মত হয়ে যদি কারো শরীরে ঢুকে যেতে পারতাম!!
অনেকটা নাটক সিনেমার ভুতে ধরার মত। আমি আসলে শরীরে না, মাথায় ঢুকতে চাই।
আমার জীবন তো আমি জানি। এতদুর পর্যন্ত সবি মুখস্ত। কিন্তু আর একজনেরটা কেমন। জানতে ইচ্ছা করে। এগুলো বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলে পাগলা বলে। বলে আমার নাকি মতিভ্রম এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

মাঝে মাঝে আমারো মনে হয় সত্যি যদি পাগল হয়ে যায় তবে কি জীবনের এতদিনের কোনো ঘটনায় কী আমার মনে থাকবেনা??
ছোটবেলা থেকে আমাকে সিনেমার ঘটনা নাটকের বিভিন্ন ঘটনা টানে। জীবন ঘটনাবহুল না হলে সার্থকতা কিসের? এক সময় বুড়ো হবো। হাঁটা চলার শক্তি থাকবে না। তখন জীবনের গল্প শুনাবো নাতী নাতনীকে। তারা শুনে বিষ্ময় প্রকাশ করবে। ভাববে বাপরে বাপ দাদা তো সেই লেভেলের ডানপিটে ছিল। আসলেও তাই জীবনে গল্প না থাকলে সব পানসে। সব।

শিক্ষা জীবনে দেখেছি অনেক পড়ুয়া বন্ধুরা শুধু বুঝতো ক্লাস, ল্যাব, হল, ঘুম, পড়া। ব্যাস। আরোতো কিছু আছে জীবনে। কিভাবে বুঝাবো বলেন। একবার যে উম্মদনার স্বাদ পেয়ে যায় সারা জীবন সে ভবের পাগলই থেকে গেছে। এই উম্মদনা যে কোন ব্যাপারে হতে পারে। গায়ের জোর, পেশি শক্তি, ক্রিটিক্যাল বুদ্ধি, ভবঘুরে স্বভাব কিম্বা মেয়ে পটান স্বভাব ইত্যাদি।

জীবনে প্রেম করেছি ১১ টা। জী সত্য। একতরফা না। সব দোনো তরফা। প্রেমে পড়তে গেলে যে গুন লাগে তার সব কয়টি আমি প্রথম প্রেম থেকে শিখিনি। ওয়ান বাই ওয়ান। একটার ভুল থেকে আর একটা শিখেছি। শিখতে শিখতে এক সময় আলফা প্রেমিক হয়ে গিয়েছিলাম।
আলফা মানে বুঝেন তো? লিডার।
প্রতিটা প্রেমের শুরু এবং শেষের ঘটনা মিল করলে আমি ১০ থেকে ১২ টা নাটক লিখে ফেলতে পারব।
ঘটনা ছাড়া জীবন মুল্যহীন। আর সবসময় যে ভাল ঘটনাই ঘটবে তা না। জীবনে এমন বহুবার এমন পরিস্থির সম্মুখীন হয়েছি যে শুধু দুয়া করেছি, "হে ধরনী তুমি বিভক্ত হয়ে যাও আমি তলানীতে আসছি তোমার চরনে"।

আরো এক ধরনের উম্মাদনা ছিল। প্রায় বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে যে বাসের কালার ভালো লাগতো উঠে পড়তাম। কোথায় যাবো জানিনা। জানালার পাশে সিট নিয়ে আনন্দে হেডফোনে গান শুনতাম। কন্ট্যাক্টর আসলে বলতো কই নামবেন মামা? বলতাম, লাস্ট স্টপেজ।
এটা কোথায় কে জানে? উত্তরেও হতে পারে দক্ষিনেও হতে পারে। ব্যাস! নেমে গিয়ে আশপাশের হোটেল থেকে মুখ হাত পা ধুয়ে এলাকায় কোন দোকানে খিচুড়ি বিক্রি হয় খোঁজ নিতাম। খাবার টা মুডের উপর নির্ভর করত। টং দোকানে চা খেয়ে মুরুব্বিদের সাথে সত্য মিথ্যা বানিয়ে বানিয়ে আলাপ করে চলে আসতাম। খিটখিটে চা ওয়ালার মাথায় ও ঢুকতে ইচ্ছা হত মাঝে মাঝে। কি আছে উনার জীবনে। ব্যাটার জীবনের সার্থকতা কি? কতটুকু সত্য কতটুকু মিথ্যা! জানতে ইচ্ছা হত। কয়টা প্রেম করেছে, এইসব আরকি। পরে মনে হল পাশের মুরুব্বিতো অনেক পরহেজগারি। উনার জীবনে তো মিথ্যা নাই। আবার কেমন হবে যদি উনার মাথার ভিতর ঢুকে দেখি, ইমা!! ইনি তো মহা বাটপার!! অস্বাভাবিক কিছু না।
প্রতিটি পাপীর যেমন ভবিষ্যৎ থাকে তেমনি প্রতিটি সাধুরও তো অতীত থাকতে পারে।

আর একবার শবে বরাতের রাতে বের হয়েছিলাম, নামাজ পড়ে বিরিয়ানি খেলাম দুই বন্ধু। সব টাকা শেষ। সারা রাত বাকি একটা সিগারেট ও নাই। নদীর ধারে বসে আছি। হঠাত মনে হল বঙ্গবন্ধুর ভাষন। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আর কি? সাথে ছিল একটা কালো রঙের গায়ের চাদর আর পাশেই ছিল খাজা বাবার মাজার। ব্যাস ২০ টাকা বাকিতে সিট কিনে নিলাম মাজারের বারান্দায়। এটা ভিক্ষুকের সিট। কালো চাদর দিয়া মাথা ঢেকে ৩ ঘন্টায় দেড়শত টাকা কামায় ফেললাম। পরে হিসাব করেছিলাম। ইঙ্কাম এর রেট কত পার ঘন্টায়। ভালো আইডিয়া ছিল। কিন্তু আর এগুতে পারিনি পরে বিভিন্ন টেকনিক্যাল জটিলতায়।

যা বলছিলাম। মানুষের মাথার ভিতর ঢুকে জীবন পড়ে ফেলার শখকে কি বলবেন আপনারা আমার জানা নাই। তবে মাঝে মাঝে আমি সত্যি মানুষের চেহারার দিকে তাকিয়ে তার জীবনে ঢুকে পরি। একবার এক চামড়ার বেল্ট ১০০ টাকা ফেরিওলা মামার জীবনে ঢুকলাম। ঢুকেছিলাম ফেরিওলা হয়ে বের হয়েছিলাম রজনিকান্ত হয়ে। উনার মাথার টাকটা আমাকে ইন্ধন দিয়েছিল গল্প ঘুরিয়ে রজনিকান্তের দিকে নিতে। আমার দোষ নাই।

আসলেও এতো ঘটনা জীবনে ঘটিয়েছি যে শেষে একটা ব্যাপার মনে হয়। দুনিয়াই ভুল বলে কিছু নাই। কারন সৃষ্টিকর্তা যাহা কিছু করেন, তাহা যদি সব ভালোর জন্যই হয়, তবে ভালো কিছু কখনো ভুল হতে পারে না।
এটা আমার যুক্তি। আপনি কি ভাবছেন তাতে আমার কিচ্ছু যাই ও না আসে ও না। আমি এমনি।
ভাল থাকবেন। :-B

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×