-বাবাকে একটু ভালো কেবিনে দিতে চেয়েছিলাম , তা কি আর করা । খালি নেই একটাও ।বাইরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট ফোঁকে কবির।
-হুম, হাসপাতাল একটু ভালো হলেই এই অবস্থা,বড় প্রাইভেটগুলোতে যেতে হলে আবার পকেট বড় হওয়া লাগে।সমর্থন জানালো রাতের সঙ্গী।আজই পরিচয় । আরেক রোগীর আত্নীয়।
-সরকারিগুলোতে নিলাম না, যে হাল একেকটার। বাবার জন্য টাকাপয়সার টান নেই, ভালো চিকিৎসা হোক ,ব্যস। তবে সাধ্যটাও কম তাই , নইলে বড়গুলোতে গেলে আর এখনকার মতো সমস্যা পোহাতে হতো না।
কবির ঘন ঘন ঘড়ি দেখছিল আর ভাবছিল রুনুটার যে কি কান্ড।ওকে বলা হয়েছে তাড়াতাড়ি করে আসতে। আর এখন দশটা বাজছে , এখনও এলো না। রাতে কে থাকবে বাবার কাছে? সে তো চাইলেও পারবে না। সকালে জরুরি মিটিং।এদিকে ও না আসতে পারলে ভালো সমস্যা হবে, প্রথমদিন।শরীর বেতাল।অনভ্যস্ত পরিবেশ।যদি রাতে কিছু লাগে টাগে। আবার সে জানে, নিশ্চিত রুনু এসেই নানা ব্যাখানা শুরু করবে, এই কাজ ছিল , কাজের লোক এই করেছে, ড্রাইভার ফাঁক মেরেছে। মেয়েগুলোকে নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। সমাজে এদের গৃহস্থালী অজুহাতগুলো সবসময়ই খুব গ্রহণযোগ্য হয়ে যায়। আরেকটা সিগারেট খাবে না খাবে না করে জ্বালিয়েই ফেলে।এক মুখ ধোঁয়া ছড়ায়।
রুনু এসেই টিফিন ক্যারিয়ার থেকে খাবার বের করলো। কিসমত সাহেব খাবারের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। কিছু ট্যালটেলে বিস্বাদ খাবার নিয়ে এসেছে নিশ্চয়ই । রোগে ভোগা দূর্বল শরীরের যা কিছু খেতে বারণ তাই তার খেতে ইচ্ছা করে। স্বাস্থ্যকর পথ্য দেখলেই অসহ্য লাগে। মেয়ে এখন এগুলোই তাকে জোর করে খাওয়াবে। না খেলে ন্যাকামো করতে থাকবে। রোগে তার মেজাজও খিটখিটে হয়ে গেছে। মেয়েকে যা তা শুনিয়ে দেন। এটা অন্যায়। তিনি পৃথিবীর সেই অল্প কয়েকজন সৌভাগ্যবান বাবাদের একজন যাকে তার সন্তানেরা আন্তরিক ভক্তিশ্রদ্ধা করে, যত্ন নেয়। তাই পরে অনুতাপ লাগা থেকে বাধ্য হয়ে আরো বেশী খেয়ে ফেলেন।
আজকে অবশ্য কথা বাড়ালেন না কিসমত সাহেব। সুবোধ বালকের মত খেয়ে নিলেন স্বাদহীন মশলাবিহীন পথ্য।রুনু একটু অবাক হলো। আসলে বাবা মনে হয় রুমটা নিয়ে বিষণ্ণ। হবারই কথা।তাঁকে সে প্রবোধ দেয়,চিন্তা করো না বাবা, কেবিনটা শীঘ্রি খালি হয়ে যাবে। হয়ত কালকে মধ্যেই ।
এই ছোট শহরের হাসপাতালটাও ছোট।ট্রিটমেন্ট খারাপ না। কিন্তু জায়গা কম।এই ফ্লোরে আর কেবিন নেই ভালো। আরেকটা যেটা আছে ওটার বাইরে ডাস্টবিন থেকে জঘণ্য গন্ধ আসে। তাও উপায় না দেখে আরেক রোগী সেটা দখল করে ফেলেছে।বাকি যেটা আছে সেটা খালি হবার আশা। উপরের চারটাই দখল। ওগুলো এত তাড়াতাড়ি খালি পাবার সম্ভাবনা নেই।
-ভাইয়া কি আজেবাজে একটা জায়গায় এনেছে। উষ্মা প্রকাশ করে ফেলে রুনু। যদিও সে জানে কবিরের জন্য এরই খরচ দেয়াই যথেষ্ট কষ্টকর।ঢাকায় নিয়ে বাবার খরচ, সাথে নিজেদেরও - অসম্ভব।
সকালে শরীরটা একটু ভালো লাগলো কিসমত সাহেবের। গতকালকে শেষরাতে অবশ্য বেদনার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন সারারাত।
মেয়েটা ভালো হলেও ঘুমে কুম্ভকর্ণ। গোঙাচ্ছিলেন তবু ঘুম ভাঙে নি। একসময় অজ্ঞান হয়ে গেলেন। ভোরে নার্স এসেছিল , দেখেটেখে আচ্ছামতো শুনিয়েছে রুনিকে। সুযোগ পেলে সবাই কথা শুনিয়ে আরাম পায়। তা সে যত ছোট অবস্থানেরই হোক না কেন।
-পেশেন্টের সাথে আছেন , সুবিধা অসুবিধা খেয়াল করবেন না? তাহলে থেকে কি লাভ?
রুনু মোটাসোটা জাঁদরেল নার্সের খনখনে গলার আঁচে চুপ হয়ে থাকে, খানিকটা লজ্জায়। খানিকটা অপরাধবোধে। ওর মনেই পরে না এটা নার্সকে সে মনে করিয়ে দেয়, রোগীর দেখভালে প্রাথমিক দায় হাসপাতালের লোকদেরই হওয়া উচিত ছিল। সে তো চিকিৎসা করতে পারবে না।আর তাছাড়া প্রথম দিন কিছু বাম হাতের লেনদেন করে সে রুমে থেকেছে।এভাবে বরাবর থাকা সম্ভব না। আজ থেকে বাবা একাই থাকবে, নার্সদের নিজেদের ডিউটি- কেউ না কেউ পেশেন্টের সুবিধা অসুবিধায় সার্বক্ষণিক খেয়াল রাখবে। সঠিক সময়ে কেন যে এই যুক্তি গুলো মনে আসে না ওর। পরে বলতে না পারা ক্ষোভে পেরে কথা গুলো ফুলতে লাগলো ওর পেটে।
কিসমত সাহেবকে তড়িঘড়ি ইঞ্জেকশন দেয়া হল, সেও অনেকক্ষণ। তারপরে দুঘন্টা কেটে গেছে। সময় এখন আটটা।কিসমত সাহেব চোখ মেললেন , অবাক হয়ে লক্ষ করলেন শরীর জুড়ে বেশ একটা ফুরফুরে ভাব।অনেক দিন পরে -সবশেষ কবে তিনি এমন সতেজ বোধ করেছেন মনে নেই।বিছানা ছেড়ে উঠলেন।সবার সব নিষেধ অগ্রাহ্য করে পা টেনে টেনে একটু বাইরে আসলেন । নিজের বড় রুমে জেনারেল বেডে অনেকগুলো শীর্ণ ভোগা মুখ। ওদের দিকে চেয়ে কথা বলতে ইচ্ছা করে না, বসতে ইচ্ছা করে না। নিজের অসুস্থতার প্রতিচ্ছবি ওদের দিকে চাইলেই চোখে পড়ে। কেবিন নম্বর ছয়ের পাশে এসে দাঁড়ালেন। খালি থাকলে এর আরামদায়ক প্রাইভেসীর মধ্যেই তার থাকার কথা ছিল। থাকবেন তিনি নিশ্চয়ই , আজ অথবা কাল। দেরী নেই।এখনকার অধিবাসীর মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে। দাঁড়িয়ে- চাইতে চাননি তবু তৃষিত চোখ চলে গেল ভিতরের শরীরটার দিকে। কি আশ্চর্য ! তাঁর দিকেই চেয়ে আছেন বৃদ্ধ।
বৃদ্ধের নাম রহমতউল্লাহ। নামেই সার।
-জীবনে কষ্ট ছাড়া কিছুর মুখ দেখলাম না।হাতে যখন যা এসেছে উড়িয়ে দিয়েছি না ভেবে চিন্তে।আর সম্পত্তি নিয়ে শেষ জীবনে ভোগের মধ্যে ছোট শহরের সবচেয়ে বড় হাসপাতালে একটা আলাদা ঘর। মরার আগে। বুড়োর মুখটা বিকৃত হয়ে যায়।সে মুখে জীবনের অবিচরের প্রতি জ্বলন্ত বিদ্রুপ।
কিসমত সাহেব চুপ করে গেলেন। সামান্য আলাপ চলছিল। লোকটি খুব কথা বলতে পারেন না. কিছুদূর বলে হাঁপাতে থাকেন। তবে বলার কিছু নেইও , হাসপাতালে পা দিতেই জানতে পেয়েছিলেন ওর আয়ু বড়জোর দুতিন দিন। শেষ স্টেজ ।-সেই ভরসাতেই তাঁর আত্নীয়রা আছে। তিনি নিজেও। কেননা বেডে আর বেশ কজন ইতর ভদ্র লোকের সাথে রুম শেয়ার করে থাকতে তার ভালো লাগছে না। অন্তত এটুকুর সামর্থ্য আছে যখন।
টুকটাক কথার মাঝে বাইরে আশে পাশে তাকিয়ে রুমটা পর্যবেক্ষণ করেন কিসমত সাহেব। লুকিয়ে , লোকটা কিছু বুঝে যায় যদি? বুড়োর রাস্তা সাফ করে দেবার জন্য তিনি অধীর সেটা বুঝতে পেলে ভারি অপ্রতিভ হবেন , এ কখনো জানতে দেয়া যায় নাকি?
জানালায় এখানে বেশ ভালো ভারী পর্দা। ফাঁকে দিয়ে বাইরের কম্পাউন্ডের ফুল গাছ দেখা যাচ্ছে। শীতের ফুল - গাঁদা , পপি, কসমস, ডালিয়া। সুন্দর! কিসমত সাহেব ফুল বড় ভালোবাসেন।সুন্দরের শোভায় তাকালে মুমূর্ষরও মনোবল বেড়ে যায়। তাঁর এখনকার বেডের ঠিক বাইরে তাকালে কিছুটা দূরে একটা কবরস্থান । সোজা চাইলেই দেখা যায়।ক্যান্সার চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে যে যাচ্ছে, যে জটিল পদ্ধতির শেষে সে শেষ পর্যন্ত টিকবে কি না জানা নেই, সেখানে এ বড় মন দূর্বল করে দেয়। কি বেআক্কেলি জায়গায় বেড ফেলা হয়েছে, হাসপাতালটা করাই হয়েছে আসলে বাজে পরিবেশে।-অসহ্য লাগে।
সে রাতে শুয়ে শুয়ে যখন আশেপাশের সবাই ঘুমে, দূরে একটা রোগী কঁকিয়ে উঠলো , ঘুমের মধ্যে বেদনায় । তখন এই কথা গুলোই কিসমত সাহেবের মনে পড়লো বার বার।বিরক্তিকর।চোখে ঘুম আসছে না। পরিপূর্ণ নিস্ব্ধততা। দমবন্ধ ভাব হচ্ছে।ঠিক পাশের স্যালাইনের নল পোরা রোগিনীর দিকে তাকিয়ে অস্থির লাগলো তাঁর।খসখসে শব্দ উঠছে প্রতিবার শ্বাস নেবার কষ্টের মাঝে। মৃত্যুর ছায়া বিছিয়ে রয়েছে চারিদিকে। ফিসফিস করে সে ডাকে। বেশ কষ্ট করে মুখ ফিরিয়ে নেন, কিন্তু অন্যদিকে সেই জানালাটা। বাইরে স্পষ্ট আবছায়া কবরগুলোর আভাস। তাঁর নিজের চিকিৎসা ব্যর্থ হলে তিনিও... আজ বাদে কাল, গা'টা ছমছম করে ওঠে। অশরীরি শিরশিরে আতঙ্ক- চোখ বন্ধ করে ফেলেন তিনি-
-কবে কেবিন নম্বর ছয় খালি হবে? অন্তত এই মৃত্যুভীতি থেকে তিনি খানিকটা সরে যেতে পারবেন।
রহমতউল্লাহর আরোগ্যের সম্ভাবনা নেই।জ্বলজ্যান্ত মানুষটার কথা ভেবে সহামুভূতি লাগে একটু তবে সে বেঁচে থাকলেও ভালো নেই। জীবন্মৃত।কঙ্কালসার লোলচর্ম লোকটাকে মানুষ ভেবে মায়া জাগানো কঠিন.... হয়ত কালই শুনবেন বিছানাটা শূঁন্য-
সহানুভূতি ভুলে আশ্বস্তের অনুভূতির রেশটা শুধু নিয়ে শুয়ে শুয়ে দেয়ালের ঘড়িতে কাটার টিক টিক ঘুমপাড়ানী শব্দে ঘুম এসে যায় তাঁর।
-বুড়ো তো মরেনি। কি শক্ত জান , দিন সাতেক পরে বিরক্তিতে ভুরু কোঁচকায় রুনু। এক ঘরে আর দশজন রোগীর সাথে বাবাকে শেয়ার করে থাকতে হচ্ছে, এখনও। কেবিনের মত সুবিধা এখানে নেই। আলাদা রুম থাকলে কদরই অন্যরকম।-তার উপর-অকারণে ফিসফিসিয়ে বলে, ভাইকে, পাশেই দেখ না, কবরস্থানটা।অস্বস্তি লাগে কবিরেরও। নেহাত ভালো রেপুটেনশন আছে তাই আনলাম। আর তাছাড়া ডাঃ দস্তগীর নামকার স্পেশালিস্ট। কেন যে এমন একট ছোট থার্ড ক্লাস মফস্বলি হসপিটালে বসেন-
-আরে উনি আর কি করবেন, কতটুকুই বা ক্ষমতা- হসপিটালের লোকেশনে গড়বড়-
-তাছাড়া এদের মতো দুটা চারটা লোক না থাকলে ঢাকার বাইরে চিকিৎসা সেবা বলে আর কি থাকতো?
ওরা তারপরে নিজ নিজ সাংসারিক আলাপ জুড়ে দেয়।সংসার কঠিন জিনিস, অসুখ বিসুখ ছাড়াও হাজার ব্যস্ততা আর জটিলতা আছে।
কিসমত সাহেব দরজার মুখে দাঁড়িয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন। ভিতরে কি দেখবেন কে জানে। নার্সটা ভেতরে। পর্দা ফেলা। ঢোকা মনে হয় উচিত হবে না। নড়তে চড়তে পারে না,বেডপ্যান লাগে লোকটার। একটা ভ্যাপস্যা গন্ধ এসে ধাক্কা দেয় বুকে। বাজে গন্ধটা তার চেয়েও বেশী- গন্ধটা মৃত্যুর। হয়ে এসেছে লোকটার। সেই কবে একদিন এসেছিলেন কিসমত সাহেব, আর আসেননি মাঝখানে । আজকে আবার পায়ে পায়ে এসে দাঁড়িয়েছেন।কেন- তার কোন যুৎসই জবাব নেই ,হয়তো কৌতুহল।
নার্সটা এক সময় পর্দা সরিয়ে বের হয়ে যায় । কিসমত সাহেব ভিতরে ঢোকেন। একদন্ড বসেই উঠে পরেন। পচন দেখা দিয়েছে রোগীর গায়ে। কথা বলছিলেন বটে কিন্তু ভয়ানক যন্ত্রণা হচ্ছিলো। হাতে সময় নেই। তবু রহমতউল্লার নিস্প্রভ চোখে হঠাৎ হঠাৎ জ্যোতি ঝিলিক দেয়। সেই জ্যোতিতে বেঁচে থাকার যে ইচ্ছা -প্রকাশ পায় কথায়। নাকি সেটা নিভে যাবার আগে শেষ জ্বলে ওঠা? কারণ যাই হোক ,সে চোখের দিকে বেশীক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় না, অন্তত কিসমত সাহেব পারেন না।তাঁর মনে হলো , কালকেই শেষ। রাতটাও টিকবে কিনা সন্দেহ।তাঁর নিজের একটা অপারেশন হয়ে গেছে।বেশী ভালো হয়নি। আবার সার্জনের ছুরির নিচে যেতে হবে। তাহলে বড় অপারেশনটার আগেই সিঙ্গেল রুমটা হয়তো পেয়ে যেতেও পারেন...।
জেনারেল ওয়ার্ডে ফিরতেই তাঁর চেকআপের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। আজকে ঘর ভেঙে আত্নীয়রাও এসেছে দেখতে।
কথায় কথায় উঠলো সেই কেবিন নম্বর ছয়ের কথা, পরীক্ষা করতে করতে ডাঃ দস্তগীর বলেই ফেললেন , হয়তো আজকে রাতেই , বুঝলেন?
সবাই , ডাক্তাররা আশা ছেড়েছেন , নার্স সেবা করে অনিচ্ছায়, জীবন হাত থেকে স্লিপ কেটে যাচ্ছে, সময় সময় শ্বাস কষ্ট, অক্সিজেনের নলটাও কুঁকড়ে উঠতে চায় নিঃশ্বাস নেবার প্রচেষ্টায়, নীরব অন্য এডমিট রোগীরাও তামাশা দেখছে মৃতপ্রায় শয্যাশায়ীর জীবননাট্যের। রহমতউল্লাহ আর জীবনের টাগ অব ওয়ার- হার মেনেও মানছে না- এপর্যন্ত।
রাতে বিকট চিৎকারে সবাই সচকিত হয়ে ওঠে। ঘন্টা ধরে চলছে মুমূর্ষের কাতরানি। হাঁকডাক, দৌড়াদৌড়ি । অতরাতেও সবাই জেগে উঠেছে। কি হলো, কি ব্যাপার? ইশারায় কেউ একজন বলে,সে-ই ,ছয় নম্বর। ওঁর ডাক্তার ডাঃ ইসহাককে রাতদুপুরে ফোন দেয়া হয়েছে। হোক ঘাটের মরা , বড়লোক তো।
আরেকজন বলে ওঠে, দেখবেন, আজকেই খেল খতম, রূঢ় শোনলেও কেউ লোকটাকে শুধরে দেয় না।
সকালে রুনু বাবার ঘরে ঢোকারও আগে একবার উঁকি দিলো কেবিন নম্বর ছয়ে।
-কি কই মাছের প্রাণ!-
কিসমত সাহেবকে দেখে , সে নিজে যথেষ্ট সংবেদনশীল হবার পরেও এবং আজকেই কিসমত সাহেবের অপারেশন অথচ সেটা সংক্রান্ত কোন কথা না বলেই রুনু চেঁচিয়ে বলে উঠলো-বাবা, বুড়োটা এখনও মরেনি!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৯