১. ভারত মনে করে, বৃটিশ থিকা পাক-ভারত স্বাধীন হওয়ার পর কাশ্মীরের শেষ রাজা হরি সিং কাশ্মীরকে ভারতে কাছে দিয়া দিছে। সেই হিসেবে কাশ্মীর ভারতের আমানত।
২. ভারতের জাতীয় নির্বাচনে ভারত-অধ্যুষত কাশ্মীরের জনগণও ভোট দেয়, তাই কাশ্মীরকে আলাদা করে দেখছে না ভারত।
৩. ১৯৭২ সালে পাকিস্তান সিমলা চুক্তি মাইনা নিছে, যার ফলে কাশ্মীর নিয়া পাকিস্তানের আর কোনো কথা নাই।
৪. ভারতের দাবি, পাকিস্তান কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতা করতেছে।
৫. এই কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে যদি পাকিস্তান নাক গলায় তাইলে ভারতের নিরাপত্তা ও অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতা বিপন্ন হতে পারে।
৬. কাশ্মীর পাক-ভারতের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এইটারে আন্তর্জাতিক করা যাবে না।
আর কাশ্মীর নিয়া পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থান হইলো-
১. পাকিস্তান ও ভারতে স্বাধীনতা হইছে মূলত লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে। যেখানে মুসলিম দেশ হিসেবে কাশ্মীর পাকিস্তানের সঙ্গী হবে।
২. কাশ্মীর স্বাধীন থাকবে। কিন্তু এইটা ভারত-অধিকৃত হতে পারবে না।
৩. পাকিস্তান মনে করে, বিশ্বের সব দেশের মতো কাশ্মীরের জনগণের ভাগ্য নির্ধারণ করতে অবশ্যই গণভোটের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. কাশ্মীরও মুসলিম পাকিস্তানও মুসলিম দেশ। তাই বৈশ্বিকভাবে কাশ্মীরের প্রতি পাকিস্তানের নৈতিক দায়িত্ব আছে, কাশ্মীরের জনগণের আজাদের ব্যাপারে পাকিস্তানের কথা বলা।
৫. ভারত জাতিসংঘের প্রস্তাব মানেনি।
৬. সিমলা চুক্তির মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হতে পারে না। তাই এইটা দ্বিপাক্ষিক বিষয়ও হতে পারে না। কাশ্মীর সারাবিশ্বের একটি অনুষঙ্গ।
এই হইলো মোটামুটি কাশ্মীর নিয়া পাক-ভারতের অবস্থান। তো, আপনার কাছে কোন দেশের অবস্থানকে পোক্ত মনে হয়, কেন মনে হয়? মন্তব্য করুন।
ছবি : গুগল
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৮