সৃষ্টির আদিমলগ্নে
মূর্তমান অবিশুদ্ধ মানবতা ঠাসা শরীরে
হাত রেখে জানতে চাই ;
বুক খোলা দরজার অন্ধকার ঘরে উঁকি দিয়ে
দেখতে ইচ্ছে করে –
ওখানকার বীভৎসতার ইতিহাস ।
কান পেতে রাখি ;
আহত পাখীর আর্তনাদ আমার শেষ ইন্দ্রিয় কাঁপিয়ে দিয়ে যায় ।
বিজ্ঞানের আশির্বাদে সেই করুন চিৎকার
নতুন রূপে ফিরে আসে যান্ত্রিক কাঠামোতে ।
অবিকল তা আগের মতোই ,
শুধু সময় চলে গেছে বেশ ।
পুনরায় দাঁড়াই আরশীর স্বচ্ছ কাঁচে ;
অবলোকন করি খোলা আকাশের নীচে
শুয়ে থাকা নগ্ন দেহ ,
অপবাদের ধারাভাষ্যে ভেসে যায় মৃত রমনীর লাশ ।
মেহেদি রাঙ্গানো দু’টো হাত কেবল নরমাংসের
ক্ষুধা বহণ করে ;
ওখানে কোন মুহূর্তের জন্য আকুলতা থাকে না ,
ওখানে থাকেনা উত্তাপ ছড়ানো যৌবন ;
ঘুঘুর পরানো পা কেবল পরিধি জড়ানো ঘেরাটোপে
ঘুরতে থাকে অবিরত ।
পৃথিবী জয়ের উল্লাশে নর পতিরা উৎসবে মাতে ;
ছিঁড়ে কুঁড়ে খায় ,
উৎসাহী বাণী লিখে চলে ইথারে ।
তাই আধুনিকতার সমস্ত জানালা বন্ধ করে
আদিমতার কুৎসিত চাদর মুড়িয়ে পরে থাকে বাস্তবতা ,
যার নাম দিয়েছি---স্বাধীনতা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯