সাতরঙা জল ছুঁয়ে দেখবো বলে
সে কী আয়োজন আমার ;
কখনো নীল শাড়ির ভাঁজ খুলে দেখছি ,
কখনোবা আকাশি রঙের শাড়িটা।
আচ্ছা,আকাশ যখন সমুদ্রে হেলে পড়ে
তখন গোধূলি আলোর কোন আভার খেলা
তোমাকে মুগ্ধ করে বলতে পারো ?
তুমি কথায় কথায় বলো --নীল পড়ো ,
সেটা বোশেখ হোক, কীংবা বসন্ত ;
নীলে তোমার আছে তীব্র আকর্ষন ।
ইন্দ্রাবতীর গা ছুঁয়ে সাতখানা জলপ্রপাত
কিভাবে ধেয়ে চলে ,
তা দেখবার কী ব্যকুল প্রতীক্ষা আমার !
তাই যখনি সুযোগ পাচ্ছি একটা একটা করে শাড়ি
গুছিয়ে নিচ্ছি লাল ট্রাভেল ব্যাগে ;
কে জানে ; হয়তো রংধনুর মিষ্টি আলো
তোমার মনকে খানিক হলেও বদলে দিতেও পারে ।
কিন্তু, বেরসিক ডাক্তার এক গাদা অষুধ লিখেই খালাস ;
এত্তো এত্তো ইনহেলার নিয়ে কী চব্বিশ ঘন্টা
কাটিয়ে দেওয়া যায় !
শ্বাসনালীর সাথে হৃদপিন্ডের দারূন রকম যুদ্ধ চলছে ,
কিছুতেই অক্সিজেন যাচ্ছে না শরীরে ;
তাহলে বোধ করি সাতরঙা জল দেখা হবে না এ জন্মে ।
এই শহরের বীষবাষ্পে ভেসে আছে কালো কার্বণ
একটু একটু করে সময় কুড়িয়ে নিচ্ছি ,
একটু একটু করে কাজ গুছিয়ে নিচ্ছি,
আমি চিত্রকুটের জল স্পর্শ করবো ।
আমায় তুমি নিয়ে চলো ছিয়ানব্বই মিটার উঁচুতে ,
আমি তোমার হাত ছোঁব না,
আমি তোমার ঠোঁট ছোঁব না,
কথা দিলাম ;
আমি তোমার ব্যক্তিগত বাঁধা হবো না।
কেবল আমার পাশে মূর্তি হয়েই দাঁড়িয়ে থেকো ,
আমি একটিবার অমন ঝরতে পারা জলস্রোতিনী
ছুঁয়ে দেখতে চাই ।।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭