পর্ব : ২ -- করমজল, এক টুকরো সুন্দরবন
--------------------------------------------------
মংলা থেকে রওনা হয়ে সুন্দরবন পৌছতে পৌছতে সেই দুপুর। কিছুতেই কর্মরত বনবিভাগের লোক আমাদের মাঝ দুপুরে সুন্দরবনের ভিতরে নৌকা নিয়ে ঢুকতে দিবে না। তাদের আশংকা আমাদের ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে আর বনে বাদাড়ে তো আর দুষ্ট লোকের অভাব নাই। কি আর করা নৌ ভ্রমন তো হলো অন্তত। মাঝি পরামর্শ দিলো করমজল ঘুরে দেখার, ঘুরতে গিয়ে বুঝলাম কেন সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের একটি হওয়া উচিত। ফিরে আসার সময় বারবার ভেবেছি আবার এখানে আসতে হবে, অনেক সময় নিয়ে ঘুরে ঘুরে প্রকৃতির এই রূপ উপভোগ করতে হবে।
করমজলের কয়েকটি ছবি...
বাঘ মামারে জীবিত দেখি নাই তো কি হইছে, বাঘের কংকাল দেখনও বা কম কিসের। মামায় মইরাও হা কইরা তাকায় আছে, খালি সামনে হাতখান দিয়া দেখেন, দেহি কার কত বুকের পাটা।
হরিণের পুরা কংকাল কেন রাখে নাই বুঝলাম না। মনে হয় উপরের বাঘ মামা খাইয়া ফেলছে।
খাঁচার মধ্যে হরিন আর বানর একলগে ঘুরাঘুরি করতাছিলো। হরিণের ফটু তুলতে পারছি কিন্তু বান্দরগুলা আমাগো দেইখা কই যে লুকাইলো
ইনি হইতেছেন কুমির খালা। দেইখাই ভয় লাগে
ডিসকভারি মার্কা একখান শট নিতে চাইছিলাম আরকি। আল্লাহ জানে প্রানে বাচাইছে
কুমির খালার ছানা পোনা। এইরকম অনেক গুলা ছানাপোনার খাঁচা আছে।
ঠান্ডা পানি দেইখা পুস্কুনিতে ঝাঁপ দিছেন তো গেছেন। কুমির খালু এই পুস্কুনিতেই থাকেন কিনা।
ইহা হইতেছে এইখানকার ওয়াচ টাওয়ার। দুই সিঁড়ি উঠতেই ভয়ংকর কাঁপা কাপি শুরু করে দেয়। তবুও সাহসী বাঙালী উপরে উঠবেই
আহারে জাহাজডা হেই সক্কাল থিকা এক জায়গায় খাড়ায়া আছে।
অফিসে কাম নাই তাই চামে চামে ফটু গুলান পুষ্টাইলাম। ভালো লাগলে কইয়া যাইয়েন, সামনে আরো নয়া নয়া জায়গার ফটু পোষ্ট দিমুনে। অখন যাই।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




