চোখ খুলে দেখি বিষাদ অহমিকার তপ্ত কুণ্ডলী,
কড়া নাড়ে শীতল দরজায়,
জল সে ভাসে নাকো,
ভাসিয়ে দেয় প্রেমের গীতাঞ্জলী,
তরী সে ডুবে নাকো,
ভাসিয়ে দেয় প্রেম কুঠরীর নীরব মিতালী।
ঘুম ঘোর মৃত্যুর বিচ্যুত এক পদ যাত্রা,
নীলিমার দিগন্তে গোলক ধাঁধার বিবর্ণ রেখাপাত,
আর সপ্ত সিন্ধুর তের নদীর আদর্শ লিপির বর্ণপাত,
পিপীলিকার বয়ে চলা জীবন,
যেন এক পাথর খন্ডের ঘূর্ণায়মান শব্দহীন আক্রোশের জয় গান।
সেই সব, ব্যস্ত নগরীর,
প্রতিটি রাস্তার,প্রতিটি গলির,
সিক্ত রোদের লুকোচুরী খেলা বাতায়নের লোহার শিক,
দুধের বাটিতে বিষধর সাপের তৃপ্তিময় শেষ চুমুক।
টঙ ঘরের চায়ের দোকানে,
চামচের টুং টাং নিরানন্দ শব্দেরা,
কিংবা তামাকের নিকষ ধোঁয়ারা,
বিবর্ণ বৃক্ষের পাতা জোড়া,
আজ কুহকের ডাকের অপেক্ষায়,
কেটে যায় মহাকালের মহাক্ষন।
দীর্ঘশ্বাস নিয়ে মিছিলে নামার ছলে,
আবার ফিরে আসে শালিকের দলে,
ফিরে আসে নীল জলের ভীড়ে,
এত টুকু ক্ষোভ আবার চাপা পড়ে রয়,
সিক্ত কুয়াশা ভেজা,
মাটির বিছানা পাতা,
সবুজের রং মাখানো,
নীল সমুদ্রের নীল জলরাশির,
তাদেরই গড়া এক জলসায়,
আমাদের এই গাঁয়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮