সেদিন হেমন্তের ভর দুপুরে,
হাঁটছিলাম কংক্রিটের পথ ধরে,
মাঝে বিশাল অট্টালিকার বাতায়নে চোখ আটকে যায়,
ছোট ছোট মনিকায়;
মুখটাও শুকনো আর অনেক অসহায়,
মনে হয় কারাগারের বন্দিগুলো দিনের আলো দেখার অপেক্ষায়,
আর ভারী স্কুল ব্যাগের ভারটা যেন,
আমার দুরন্ত শৈশব কে চোখ রাঙ্গায়,
মলিন মুখের হাসিগুলো;
রোদ হয়ে মেঘের মাঝে হারায়।
ভ্যানগুলোতে পাখির কুহু শব্দরা,
আজ হর্নের তিব্রতায় নিস্তব্ধতায় জীর্ণ-জরা।
যে সবুজে,আমরা আমাদের চরণের গোধূলি ঊড়াতাম,
তার বুকে আজ ইট-কাঠের প্রাসাদ উচ্চতম,
যে আকাশে স্বপ্ন বুনতাম,
সীসার বিষে তা মৃত্যুসম,
যে মাঠে ভরে থাকত এক্কা-দোক্কা আর চার-ছক্কায়,
সে পার্ক আর মাঠ ভরে থাকে পতিতা আর গাজা-হুক্কায়।
এ নাকি নতুন দিনের যাত্রা,
চতুষ্কোণ পর্দায় ভেসে বেড়ানো তরঙ্গ মাত্রা।
এ আমার অপরাধ নয়, এ আমার লজ্জা,
তোমার বেড়ে উঠা শরীরটাও যেন আজ,
ইট-পাথর এর অস্থি-মজ্জা।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭