somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অপূরণীয় আশা

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"আপু কি বলছ এসব?" সেই মানুষটাকে ভালবাসার সুযোগ করে নেয়ার ক্ষীণ আশা নিয়ে আপুকে প্রশ্ন করলাম। যদিও আশাটা অবান্তর এবং অযৌক্তিক।
"ঠিকই বলছি, তুই বড় ভাইয়াকে জিজ্ঞেস কর?"
ভাইয়া সবসময় আদিবকে সাপোর্ট করে এসেছে এমনকি আমরা যখন সম্পর্ক চুকে দিচ্ছিলাম তখনও বলেছে আদিব খুব ভাল ছেলে।
"ভাইয়া আপু কি বলছে?"
"হ্যাঁ, তোকে ছবিগুলো দেখালেই বুঝতে পারবি।"
"ওর ছবিতো আমি দেখতে চাই না।"
"দেখ না!"
"দেখলাম, তো কি হয়েছে?"
"ছবিতে ওর ব্যবহার কি নরমাল মনে হচ্ছে তোর?"
আপু যোগ করল, "তুই একেই বিয়ে করতে চেয়েছিলি। ভাগ্যিস শেষ পর্যন্ত বিয়েটা হয়নি!"
এখনই আমার ওর পক্ষে সুপারিশ করার সুযোগ যদিও আশা রাখা ঠিক নয়। "আমি অনেক আগে থেকেই জানতাম আপু কখনোই আদিবের পক্ষ টেনে কথা বলবেনা কারন আমাদের বিয়েটা হোক তা চায়নি। কিন্তু ভাইয়া আজ তুমিও সবসময় যার গুণগান গেয়ে এসেছ আজ তাকে পাগল মনে করছো?"
"নিজের চোখকে তো আর অবিশ্বাস করতে পারিনা।"
"ফান করে কি এরকম ছবি কেউ তুলতে পারেনা?"
"ফান করে তোলা ছবি আর পাগলের ছবির মধ্যে পার্থক্য আছে!"
এখন বুঝতে পারছি ওদেরকে বুঝানো অসম্ভব। আমি জানি আদিব ফানই করছিল। সেই ফাঁকেই ওর ফেন্ড ছবি তুলে পোস্ট করেছে। কিন্তু আমি আর ওদের কথাগুলো সহ্য করতে পারছিলাম না। খাবার শেষ না উঠে বাইরে চলে এলাম। আপু আমার পিছু পিছু আসলো আর ভাইয়াও বিল মিটিয়ে এসে আমাদের সাথে হাটছে। বাস স্টপটা একটু দূরে তাই হাটতে হচ্ছে। বাসায় গিয়ে একটা ঘুম দিব। মন খারাপ হয়ে গেলে আমি খুব বেশি করে ঘুমাই। এতদিন মনে মনে একটু শান্তি পেতাম যে অন্তত ভাইয়া কখনো আদিবকে নেগেটিভ ভাবে দেখেনি। মা-বাবা চায়নি বলেই আমার বিয়েটা হয়নি।
এইসব চিন্তা করতে করতে আমি অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছি বুঝতে পারছি। ইচ্ছে করছে রাস্তার মাঝখানে গিয়ে দাড়াই আর কোন একটা বাস অথবা ট্রাক এসে আমাকে পিষে যাক রাস্তার সাথে।
কিছুদূর হাটার পরেই বাঁচার সাহস পেলাম। রাস্তার অন্যপাশ দিয়ে আদিব হাটছে। যা হয় হবে, আজ আমি ফ্যামিলির কারো মতমতকে প্রাধান্য দিবনা! আমি আদিবকে ভালবাসি এবং বিয়ে করব আদিবকেই! এটাই ফাইনাল সিদ্ধান্ত। সারাজীবন তো অন্যের সিদ্ধান্তে চলেছি। এইবার নাহয় আমি মেরুদন্ড সোজা করে দাড়ালাম।
আদিবকে দেখলেই আমি কিছুটা হিপনোটাইজড হয়ে যাই। অদ্ভূত হলেও এটাই সত্যি। কখনো বিশ্বাস করতাম না সম্মোহন জিনিসটাকে! কিন্তু আদিবকে যেদিন প্রথম দেখলাম সেদিন থেকেই নিজে সম্মোহিত হয়েছি।
আর কয়েক কদম বাকি। তারপরেই আমি আদিবের হাত ধরব চিরদিনের জন্য। যত ঝঞ্ঝাই আসুক ওর হাত আমি কখনোই ছাড়বো না!

আমি আদিবকে ডাক দিলাম। হঠাৎ প্রচন্ড একটা ধাক্কা মাথায় লাগলো। মনে হচ্ছে মাথার খোল অর্ধেকটা খুলে পরে গেছে। তরপর চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছিনা; সব অন্ধকার হয়ে আসলো। শুধু শুনতে পেলাম আদিবের ডাক, "পরী!"
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×