শুরুটা হয়েছিল ফেসবুকের একটা পেজের মাধ্যমে। একটা বাঙ্গালি খাবারের ছবিতে কমেন্ট করে আফসোস করছিলাম যে চাইলেই আমি এই খাবারটা খেতে পারব না। রিপ্লাই করল কারণ জানতে চেয়ে সেই পেইজের এডমিন। গল্পের এক পর্যায়ে জানালাম যে আমি আমেরিকায় থাকি। কিছুক্ষণ পর Shakib Ahsan নামের আইডি থেকে রিকুয়েস্ট আসল এবং দেখলাম যে আমি উনাকে চিনি। তাই এড করে নিলাম ফ্রেন্ডলিস্টে।
সোহেল ভাইয়া একদিন উনার এক ফ্রেন্ডের কথা বলছিল কোনও এক কথার প্রসঙ্গে। তারপর সাকিবদের ভাই-বোনদের ছবি দেখাল। ছবিটায় আমার দেখার কথা ছিল অন্য আরেকজনকে, সাকিবকে না। কিন্তু ওর চোখের দিকে তাকিয়ে কেমন যেন সম্মোহিত হয়ে পরলাম। সোহেল ভাইয়া যাকে দেখতে বলেছিল তাকে চিন্তে পেরেছি কিনা বলল। আমি বললাম মাঝখানের জন। যাইহোক, তারপর উনি জিজ্ঞাসা করছিলেন সাকিব সুন্দর কিনা। আমি একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে মানুষকে যেরকম প্রশংসা করতে হয় সেরকম ভাবে বললাম যে সুন্দর। ওহ হ্যাঁ, ছবিটা আমি সেইভ করে রেখেছিলাম। চ্রপ করে শুধু ওর বোনের ছবিটা দিয়ে রেখেছিলাম। যখন সাকিব কে দেখতে ইচ্ছা করত তখন এডিট অপশনে গিয়ে জুমআউট করে দেখতাম।
আনুমানিক ১৫-২০ দিন পরেই সাকিব আমাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্টটা পাঠিয়েছিল। সাকিব পেইজের কমেন্টে বলছিল যে প্লিজ আমি আপনাকে রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছি, একসেপ্ট করুন। আমি মনে মনে বললাম, "পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম।"
ফ্রেন্ড হওয়ার পড়ে সাকিবের সাথে ওইদিন রাতে, আমার বিকালের দিকে পরিচিত হলাম। আমার একটা ছবি দিতে বলছিল আমাকে দেখার জন্য। একটু ইতস্তত করার পর ঝরনার নিচে পাথরের উপরে বসা, নেভি ব্লু কালারের বোরকা পরা একটা ছবি দিলাম। ছবিটায় আমাকে ভালোই লাগছিল, অনেক পছন্দের ছবি ছিল ওইটা। কিন্তু আমার কাছে ছবিটা নেই। থাকলে সাকিবের কাছেই থাকবে।
আমাদের প্রথম পরিচয় হয়েছিল নভেম্বরের ২৮ তারিখে। তারপর দুই একদিন কথা হয়েছিল। ডিসেম্বরে মনে হয় ওর পরীক্ষা চলছিল। ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে আবার পুরোপুরি যোগাযোগ শুরু হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৩৮