একটা মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দ ও নিজস্বতা তার জন্মের পর থেকে পারিপার্শ্বিক অবস্থার মাধ্যমে গড়ে উঠে। মানুষের ব্যাবহারের মধ্যে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই ধরনেরই ব্যাবহার থাকতে পারে। নেতিবাচক ব্যাবহার ও ভুল শুধরানোর চেষ্টা করতেই হবে মানুষ হিসেবে ভাল হতে হলে। কিন্তু নিজস্বতা যা একজন মানুষের পরিচিতি গড়ে তুলে তা যদি একজন মানুষ হঠাৎ পরিবর্তন করে ফেলে তাহলে সেখানে সমস্যা আছে। নিজস্বতা বলতে একতা মানুষে ভাল অথবা নেতিবাচক ব্যাবহারকে বুঝায় না। একজন মানুষের নিজস্বতা হচ্ছে এমন যে, তাকে দুর থেকে দেখলেই চিনতে পারা যায় অথবা তার কথা শুনলেই বুঝা যায় সে কথা বলছে। আজকাল অনেকে মানুষ নতুন নতুন সম্পর্কে জড়াচ্ছে আর নিজেকে পালটে ফেলছে এমন ভাবে যে তাকে কাছ থেকে দেখলেও চেনা যায় না বা বিশ্বাস করা যায় না। সারাজীবন পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবদের কাছে যেভাবে গৃহীত হয়ে আসছে, তার নতুন সম্পর্কের কারণে সে তার আগের রূপ পালটে কি পায়? সাময়িক প্রশংসা, ভালোলাগার মানুষের ভালো শুনে সাময়িক ভালো লাগা! কিন্তু নিজেকে এই নতুন ছাঁচে বন্দি করার কি সময় পরেই মানুষটা হাঁসফাঁস করতে থাকে। এই বদ্ধ ছাঁচে আর থাকতে ভালো লাগে না। কারণ, এর মধ্যে সে তার নিজস্বতা হারিয়ে ফেলেছে। পরিণামে সেই সম্পর্ক থেকে মুক্তিই হয়ে যায় তার একমাত্র লক্ষ। হয়তো মুক্তি হয় অথবা হয় না। কিন্তু যে মানুষটা তার নিজস্বতা হারিয়ে ফেলেছে সে পুরোটা সময় নিজের কাছে একটা অপরাধবোধে থাকে। তাই সম্পর্কের মাধ্যমে নিজের নিজস্বতা অথবা অন্যজনের নিজস্বতাকে বিলীন না করে দেয়াই শ্রেয়।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬