খোলা আকাশ, দুই একটা তারা মিটমিট করে জ্বলছে....
মেয়েটির উদ্দেশ্যহীন চাহুনি । গল্পগুলো বন্দী হাতের মুঠোয় তার। ধীরে ধীরে গুটিয়ে নিচ্ছে নিজেকে। অভিনয়টা আজকাল ভালই আয়ত্তে এনেছে সে। এখন আর অভিনয়ে সে ইতস্তত বোধ করে না। তাই হয়ত খুব কাছের মানুষটাও টের পায় নি ঝড় টা কখন যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে গেছে।
মন খারাপের অসুখটা তাও মাঝে মাঝেই খুব বেশি প্রকট হয়ে যায়। পাথর চেপে যাওয়া বুকে চেপে যায় সব কিছুই যেন কিছুই হয় নি।
সে জানে আড্ডার টেবিলে অনেক হাসাহাসির কারণও সে। বোকাসোকা মেয়েটা শুনেও না শোনার ভান করে এড়িয়ে যায়।
রাতের আকাশটা অনেক প্রিয় তার। কিছু কথা,কিছু অভিমান,কিছু কান্না পাঠিয়ে দেয় রাতের খামে। কিছু কিছু আবদারের হয়ত কোন মানে নেই কারো কাছেই।
রাত শেষ হয়। দিনের আলোতে নিজের আবেগকে লুকিয়ে হাসিমুখে আবার বেরিয়ে যায়।
শত আবদার,অভিযোগের মানুষটা হারিয়ে গেছে। বদলে গেছে অনেক খানি। কাকে বলবে সে? আদৌ কী কারো কোন মাথাব্যাথা আছে কেন মেয়েটা হারিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন??
মাঝে মাঝে তার মনে হয় এমন কোথাও চলে যেতে যেখানে হয়ত তাকে আর অভিনয় করতে হবে না। সেখানে একটা রাত হবে শুধুই কান্নার। একটা রাত হবে শুধুইই ভাল লাগার। একটা রাত হবে সকল দু:খের সমাপ্তির।
হাসে মেয়েটি। ডায়েরিটা তার অনেক প্রিয়। প্রিয় মানুষটির দেয়া গিফট। সাথে অসংখ্য চিঠি। সবই মিথ্যা ছিলো। মন চায় ডায়েরিটা কেটে কুঁটে শেষ করে দিতে। যাতে এর সাথে মিশে থাকা সকল স্মৃতি ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায়।
পারে না সে। খুব প্রিয় জিনিসটার গায়ে অযথা আঁচড় দিতে গিয়ে হাতটা থেমে যায়,বুকটা ধুকপুক করে উঠে।
হোক সে মরিচীকা। একদিন হয়ত অন্ধকার রাতটা শেষ হবে। অনেক গুলো তারা জ্বলমল করবে,চাঁদটা অন্যদিনের চেয়ে আর একটু বেশি আলো দিবে। ভোরের লাল সূর্যটাকে খুব আপন মনে হবে।হয়ত একদিন.......