somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্মের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্ব অস্বীকার।

০৮ ই মে, ২০২০ রাত ২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে ধর্মের দোহাই দিয়ে এখনো অনেকেই বাংলাদেশকে পাকিস্তান বা ভারতে অংশ হিসেবে দেখতে চায়। কেউ চায় বাংলাদেশ ভারতের অংগরাজ্য হয়ে যাক, কেউ চায় আবার পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হয়ে যাক। এই দুই পন্থীদের কেউই বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেনা।

যারা পাকিস্তানপন্থী তাদের বেশীরভাগই মুসলিম এবং তাদের বিশ্বাস যেহেতু পাকিস্তান মুসলিম দেশ তাই তারা আমাদের ভাই, এবং আমাদের একসাথে থাকা উচিত ছিলো, এখনো পাকিস্তানের যেকোনো সাফল্যে তারা আনন্দিত হয়, ফেসবুকে ইমরান খানের বক্তৃতা শেয়ার করে,ভারত পাকিস্তানের যেকোনো কোন্দলে তারা পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন দেয়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এখন যদি বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সাথে যুক্ত করে একটি রাষ্ট্র করার প্রস্তাব করা হয় তাহলে তারা সবার আগে ভোট দিবে৷

অন্যদিকে ভারতপন্থীদের বেশীরভাগই হিন্দু (সনাতন) ধর্মালম্বী, আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে এমন অনেকেই আছেন যাদের টাইমলাইন দেখলে আপনি বুঝতেই পারবেননা যে তারা বাংলাদেশী না ভারতীয়, তাদের টাইমলাইন ভারতের সাফল্যসংবাদ, মোদির ভাষন ইত্যাদিতে ভর্তি। তারা বাংলাদেশের চাইতে ভারতের সাফল্যই বেশী খুশী হোন। একইভাবে বাংলাদেশকে ভারতের অংগরাজ্য করার প্রস্তাব দিলে উনারা দিগম্বর হয়ে রাস্তায় উল্লাসনৃত্য করবেন বলে আমার ধারণা। উনাদেরও একই বক্তব্য (যদিও উনারা তা সহজে প্রকাশ করতে চান না) যেহেতু ভারত হিন্দুরাষ্ট্র তাই আমাদের ভারতের সাথেই থাকা উচিত।

এই দুইদল বলদদের কে বুঝাবে যে ধর্মের উপর ভিত্তি করে কোন রাষ্ট্র গঠিত হতে পারেনা, যদি হতো তাহলে সমগ্র আরব এক দেশ হতো. সকল আরব রাষ্ট্র মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও কেনো আলাদা আলাদা দেশে বিভক্ত?

এই উভয় গোষ্ঠীই আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। তারা খায় পড়ে বাংলাদেশের কিন্তু অন্তরে লালন করে পাকিস্তান বা ভারত। আওয়ামী লীগের বাংগালী জাতীয়তাবাদ অথবা বিএনপির বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ যা-ই বলিনা কেনো এরা কোনটাই বিশ্বাস করেনা। এদের থেকে সতর্কতা অবলম্বন করাই কাম্য, আর আপনি যদি নিজেকে এই দুই দলের মধ্যে যেকোন একটিতে আবিস্কার করেন তাহলে নিজেকে শুধরে দেওয়ার এখনই সময়।

বি. দ্র. এই লেখায় বাংলাদেশের সকল মোসলমানকে পাকিস্তানপন্থী বা সকল হিন্দুকে ভারতপন্থী বলা হয়নি। শুধুমাত্র তাদের মধ্য থেকে ক্ষুদ্র এক অংশের কথা বলা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ২:৪৯
১৯টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×