ভোক্তা অধিদপ্তরের বেশকিছু অভিযান দেখলাম, যেসকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তারা অভিযান চালায় প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা হচ্ছে মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত, বা উচ্চবিত্ত।
যেমন ৪০ হাজার টাকায় শাড়ি বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানে , কাচ্চিতে কুত্তা না বিলাই দিছে এই অভিযোগ আছে এমন প্রতিষ্ঠানে।
এইসকল প্রতিষ্ঠানে গরীবদের (ভদ্রলোকদের ভাষায় নিম্নবিত্ত/নিম্নবর্গ) যাওয়ার আর খাওয়ার সুযোগ নাই। যেসকল প্রতিষ্ঠান গরীবদের জন্য সেকল প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিদপ্তর যায় না।
রাস্তার পাশের "সস্তা" ভাতের হোটেল যেখানে রিকশাচালক দিনমজুরেরা দুপুরের খাবার খায় সেখানে কোনো অভিযান দেখিনি, তারা খাবারে ভেজাল মেশাচ্ছে কি না সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ না কারণ এর ভোক্তা হচ্ছে গরীব, এরা তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণী।
কিংবা "কমদামে" যেখানে কাপড় মিলে, গরীবেরা যেখানে থেকে "ঈদ মোবারক" লেখা বাদামি কালারের কাগজের ব্যাগে করে কাপড় কেনে সেইসকল প্রতিষ্ঠান কি গরীবদেরকে ঠকাচ্ছে তা নিয়ে অভিযান হয় না।
এই না হওয়ার পেছনে কি কি কারণ থাকতে পারে?
ক) এই সকল প্রতিষ্ঠান ভেজাল খাওয়ায় না এবং উচ্চমূল্য রাখে না, তারা খুব সৎ।
খ) যেমনটি উপরে বলেছিলাম যে তারা খাবারে ভেজাল মেশাচ্ছে কি না সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ না কারণ এর ভোক্তা হচ্ছে গরীব, এরা তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণী।
গ) এইসকল প্রতিষ্ঠানে লাইটিং ভালো না, অভিযানের ভিডিও সুন্দর আসে না।
ঘ) দেশে কোনো গরীব নাই, আমি যে ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছি আদতে দেশে এই ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠানই নাই।
ঙ) এইসকল প্রতিষ্ঠানের মালিকও গরীব, তাই অভিযান করে তাদেরকে জরিমানা করলে তা গরীবের উপর জুলুম হবে, ভোক্তা অধিদপ্তর গরীবের উপর জুলুম চায় না।
চ) উপরের কোনোটাই না, আসল কারন হচ্ছে...
সঠিক উত্তরদাতার জন্য রয়েছে বিশেষ পুরস্কার ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



